কিছুই বলার নেই
অবশেষে মিলেছে শাহানার নিষ্প্রাণ দেহ
অবশেষে মিলেছে হতভাগ্য শাহানা পারভীনের নিষ্প্রাণ দেহ, যার একমাত্র সম্বল দেড় বছরের শিশু। যাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজেকে উদ্ধারের জন্য বার বার আকুতি জানিয়েছেন শাহানা। কিন্তু শত চেষ্টাতেও তাকে জীবিত উদ্ধার করা গেল না।
শাহানার নিষ্প্রাণ দেহ সোমবার বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের চতুর্থতলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই শাহানা পারভীনকে জীবিত উদ্ধার করতে ১১ ঘণ্টার মতো অক্লান্ত পরিশ্রম করেন সেনা, ফায়ার সার্ভিস ও সাধারণ উদ্ধারকর্মীরা।
তাকে উদ্ধারের শেষ মুহূর্তে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রোববার রাত ১০টার দিকে উদ্ধারের আগ মুহূর্তে ড্রিল মেশিনের অগ্নিস্ফূলিঙ্গে সুড়ঙ্গ পথে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মুহূর্তে আগুন ভেতরে থাকা কাপড় ও দাহ্য পদার্থে ধরে গেলে ভেতরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সুড়ঙ্গ পথে পানি দিলেও আগুন থেমে থাকেনি।
ভেতরে অসম্ভব তাপমাত্রা ও ধোঁয়ার সৃষ্টি হলে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে কাউকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন উদ্ধার কর্মীরা।
কান্নায় ভেঙে পড়েন যারা শাহানার সঙ্গে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন। যাকে ভাই বলে সম্বোধন করেছিলেন, সেই সেনা সদস্যও হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।
সোমবার সারাদিন অনেকেই ভেবেছেন হয়ত শাহানা বেঁচে আছেন। সে কারণে অনেকে ফেসবুকে তাদের আশার কথা জানান।
কিন্তু সব সম্ভাবনার আশাকে ব্যর্থ করে দিয়ে বিকেলে মিললো কুষ্টিয়া থেকে জীবিকার তাগিদে সাভার আসা শাহানা পারভীনের মরদেহ।
তার একমাত্র সম্বল শিশুর ভবিষ্যৎ হয়ে গেল মায়ের মতোই অন্ধকার! হতভাগ্য শাহানা, হতভাগ্য তার শিশু সন্তান।
রোববার রাতে শাহানার উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে বলা হয়-“উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু মানবতার জয় হয়েছে!” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।