সেদিনকার সকালটাও ছিল অন্যান্য দিনের মতই স্নিগ্ধ, পূর্বদিকে সূর্যটাও ছিল একইরকম লাল, ঘুম ভাঙা সকালটাতে ছিল না কোন নতুনত্ব। সবই ছিল যেমন থাকে তেমনই পুরনো, জীর্ণ সকালবেলার ঝগড়াগুলোও ছিল নিয়মিত নিয়মে, সমস্যার হুড়োহুড়ির ভীড়ে নতুন দিনের প্রস্তুতি। কাজের ভীড়ে কখনও খোশগল্প তো কখনও ছাড়াছাড়ি। তারপর গার্মেন্টসের চার দেয়ালে ব্যস্ততায় প্রবেশ, ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে ঝিম ধরা আবেশ, পরিচিত পরিবেশ,পরিচিত পরিবেশ, মনে মনে চলে ভবিষ্যতের হিসেব নিকেশ। হঠাৎ! সব হিসেবকে এলোমেলো করে অন্যরকম ব্যস্ততা, হুড়োহুড়ি,হৈ- চৈ, চোখেমুখে ভয়ের তাড়না, দিনের উজ্জ্বলতাকে আরও বাড়িয়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। ছুটছে মানুষ দিগ্বিদিক পায় না কোথাও নিশ্চয়তা। রুদ্ধ দ্বার ,রুদ্ধ হৃদয় সবাই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে, বিস্ময় নিয়ে রুদ্ধ দ্বারে বারে বারে শুধু করাঘাত করে অবশেষে যখন খুলল দুয়ার অগ্নি তখন রুদ্রমূর্তি, ভীষন প্রলয়নাচের সাথে ,রেখে যাচ্ছে সে আপনকীর্তি। সবকিছু শেষ হবার পরে এখন সবাই খুঁজছ ভুল, দোষটা কার খুঁজছ সবাই, কে দেবে সেই ভুলের মাসুল। আর কি কেউ পারবে দিতে? ফেরত আমার জীবনটাকে? মায়ের আদর ,বাবার সোহাগ পারবে কি আর ফিরিয়ে দিতে? এখন কেন ভাবছ এত,আগেই কেন নাওনি খবর? বাচাঁর স্বপ্ন দেখেছিলাম খুঁড়তে চাইনি আমার কবর কেন এমন হয় ?কার জন্য এমন হল? সেই কথাটাই সবার কাছে অনেক বেশি জানার ছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।