তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল গার্মেন্টস এর মেয়েরা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আসলে পুড়তেই তো এসেছিলো আশুলিয়ায়। মাঝে মাঝে ঐ পথে বিভিন্ন স্থানে যাই। যাওয়ার পথে গার্মেণ্টস কন্যাদের দেখি।
একদিন সকালে দেখলাম-- বাইপাইল মোড়ের টেম্পোস্ট্যান্ডে এক গর্মেণ্টস কন্যাকে উত্যক্ত করছে বাস কন্ডাক্টর। সে যখন প্রতিবাদ করলো তখনই চারপাশ থেকে আরো কয়েকজন যণ্ডা মার্কা মানুষ এসে তাকে ঘিরে ধরলো। বাসের মধ্য থেকে দেখলাম সেই মেয়েটাকে সবার সামনে কতটাই হেনস্থা তারা করছে। অন্যরাও চুপচাপ। সবাই যেনো তামাশা দেখছে।
দু এক জন ভদ্রলোক দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেলো। এর মাঝেই দেখলাম আরেকজন বয়স্ক মহিলা মেয়েটাকে উদ্ধার করে বের করে আনলো-- মেয়েটার চোখে জল।
যখন গ্রাম থেকে এসেছিল এই গার্মেন্টস এ কাজ করতে তখনও অন্তর পুড়িয়ে কাঠ কয়লা করে এসেছিল। ভাতের সন্ধানে।
যে মেয়েটি স্বামী তাকে কাজ করতে পাঠায় তাদের অধিকাংশই সন্তান সংসার ছেড়ে সারাদিন পরিশ্রম করে আর মজুরি পাওয়ার পর তা দিতে হয় স্বামীর পকেটে।
স্বামী সারাদিন গার্মেন্টস এর দরোজায় বসে চা খাবে-- অন্য আরেক গার্মেণ্টস কর্মীকে উত্যক্ত করবে আর স্ত্রীর কামাই খেয়ে বেটাগিরি করে ঘুরে বেড়াবে। এই মহিলাদের অন্তর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আগেই।
আর সেদিন--- দেহটাইতো পুড়ে গেলো। যার ভেতরটা আগে থেকেই ছাই-- তার শরীরটাও ছাই হয়ে গেলো--।
এই মেয়েদের স্বামীরা অমন বলেই তারা গার্মেণ্টস এ কাজ করে।
কেউ বা সন্তানের বাবা মার মুখের খাবারের সংস্থানের জন্য করে। আর মালিকের পয়সা উপার্জনকে নিশ্চিত করে। নিজের জন্য তো কিছুই নেই।
এদেশে শ্রমিকদের রক্তে তৈরি হয় বিশাল প্রাসাদ, কৃষকের ফসলে মহাজানের বিলাস, বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিদের অর্থে সরকারের বাহাদুরি। কিন্তু এদের জন্য ভাবার কেউ নেই।
দু এক লাখ টাকা, লাস দাফনের চাদা, এগুলো দিয়ে কি হৃদয়ের অঙ্গার নিভানো যায়?
পুরো দেশটাই এখন পুড়ে চাই। মধ্যবিত্তের বিত্ত শেষ--- নিম্নবিত্তের জীবনের দাম নেই, কৃষক ফসল ফলায় কিন্তু দাম পায় না, শ্রমিক কাজ করে কিন্তু মজুরি খুব সামান্য।
কথায় আছে যেখানে দেখিবে ছাই-- উড়াইয়া দেখো তাই। পাইলে পাইতে পারো অমূল্য রতন। তবে সেই রতন সবটাই যাবে বড়লোকের ঘরে, শিল্পপতি আর রাজনীতিকদের ঘরে।
সবার ঘরে কি আর রতন মানায়?????? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।