কিছু করি না, খালি দেখি-শুনি-পড়ি-লিখি
জন কনস্টেবল ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন প্রখ্যাত রোমান্টিক ইংরেজ আর্টিস্ট। তখনকার ইংরেজী আর্টে পুরোপুরি নতুন এক ধারা নিয়ে আসেন তিনি। তার স্পেশালিটি ছিল ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিঙের ওপর। ইংল্যান্ডের শান্ত গ্রামীণ জনজীবন আর কুমারী প্রকৃতি ছিল তার আঁকাআঁকির মূল উপজীব্য। তার ছবিতে প্রকৃতি সত্যিকার অর্থেই জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।
তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, ভদ্রলোকের ছবি আঁকার ব্যাপারে তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। ব্যাপারটা পুরোপুরি তার রক্তের মধ্যে মিশে ছিল। কমবয়সে সুযোগ পেলেই তিনি সাফোক আর এসেক্সের গ্রামগুলোতে ঘুরে বেড়াতে যেতেন। প্রথমদিকে গ্রামের টুকটাক স্কেচ করতেন। সেই স্কেচ করতে করতেই একসময় তিনি অয়েল পেইন্টিঙে হাত দেন।
তার ছবি আঁকার ক্ষমতা নিয়ে কনস্টেবল নিজে অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছেন। তার বন্ধুকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেছেন- "সাফোকের সেই অসাধারণ গ্রামগুলোই আসলে আমাকে আর্টিস্ট বানিয়েছে......মিলের জলের ঝিরি ঝিরি শব্দ, অন্ধকারে ঝাঁকড়া উইলো, বুড়ো গাছের পঁচা গুড়ি, মেঠো পথ আর ইঁটের ছোট্ট বাড়ি; এ-সবই আমার ভাল লাগে। "
প্রথাবিরোধী আঁকিয়ে ছিলেন বলে জীবদ্দশার বড় একটা অংশে তিনি প্রকৃত মর্যাদা পাননি। আর্থিক দিক থেকেও তিনি খুব একটা সচ্ছল ছিলেন না। জীবদ্দশায় তার মাতৃভূমি ইংল্যান্ডের চেয়ে ফ্রান্সে তার ছবি বেশি বিক্রি হয়েছিল।
জীবনের শেষদিকে ৫২ বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডের রয়েল অ্যাকাডেমির সভ্য নির্বাচিত হন।
কনস্টেবলের আঁকা বিখ্যাত কয়েকটা ছবি দেখুন।
দ্য হে ওয়েইন
ডেডহ্যাম ভেল
মেরি ফ্রেয়ার (কনস্টেবলের আঁকা খুব কম কয়েকটি পোর্ট্রেটের একটি)
দ্য কর্নফিল্ড
ডেডহ্যাম লক অ্যান্ড মিল
আ কটেজ ইন আ কর্নফিল্ড
স্যালিসবেরি ক্যাথেড্রাল
ক্লাউড স্টাডি
স্ট্র্যাডফোর্ড মিল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।