06:13 PM 25/11/2012
চারটা বেজে চল্লিশ মিনিট, পাপড়ি চল্লিশ মিনিট ধরে রবিন্দ্র সরোবরে বসে আছে। কিছুক্ষন আগে ও অস্বস্তিবোধ করছিল, কিন্তু এখন আর করছে না । ওর থেকে গজ কয়েক দূরে আরো একটা মেয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করছে। মেয়েটা অপরিচিত কিন্তু কেন জানি পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছে । দু জনেই একই পথের পথিক, তাই হয়তো ।
মোবাইলের রিং টোন বেজে উঠার সাথে সাথেই অপরিচিত মেয়েটা ওর দিকে ফিরে তাকিয়ে ছোট্ট একটা হাসি দিল। পাপড়ির কাচ ভাঙ্গার ঝম ঝম টুং-টাং রিংটোনটা শুনলে সবাই কৌতুহল ভরে ওর দিকে তাকায়। মানুষের কৌতুহল ভরা চোখ দেখতে পাপড়ির ভাল ই লাগে। ব্যাগ খুলতে খুলতে কলটা মিস হয়ে গেল। তপুর নামটা স্ক্রিনে দেখেই ছেলেটার উপর অভিমানে ফেটে পড়ল।
ছেলেটা সব সময় ওকে দাড় করিয়ে রাখে। পাপড়ি জানে এই অভিমানটা সে ধরে রাখতে পারবে না। তপুকে দেখলেই সে মাথা নিচু করে হেসে দিবে। তারপরেও পাপড়ি অভিমান ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশে ফিরেই চমকে উঠল।
তপু ওর পাশে এসে চুপ করে বসে আছে। পাপড়ির ইচ্ছে করছে ছেলেটাকে ইচ্ছে মত মেরে তারপর আদর করে দিতে। কিন্তু ও কিছুঈ করল না। নিচের দিকে তাকিয়ে শুধু বলল
ঃ কি রে?? লেট করলি কেন?
ঃ তোকে বসিয়ে রাখার জন্য......
ঃ (হাসি দেখে ও আর কিছু বলতে পারল না) নিজে ও হাসা শুরু করল।
এরপর তপু আর কোন কথা বলছে না।
পাপড়ি মনে মনে ঠিক ক্রে নিল সে চলে আসবে। পাপড়ি যা বলছে তপু তার উত্তরে শুধু চুপ থাক ছুপ থাক বলে যাচ্ছে। পাপড়ি চিন্তা করল শেষ কয়েকটা কথা বলে উঠে যাবে।
পাপড়িঃ আমি তোকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবো..
তপুঃ চুপ থাক
: তুই কথায় কথায় বলিস আমাকে ভালবাসিস না.....
: চুপ থাক
: হু.. এখন তো আমার কথাও শুনতে ভাল লাগেনা.....
: চুপ থাকতে বলসি নইলে কানের নিচে একটা দিব..
: দে.. ওইটাই দে.. ভালোবাসা তো দিবিনা.. কানের নিচেই দে..( পাপড়ির কান্না পাচ্ছে
: চুপ করবি নাকি সত্যি লাগাব ??
: মেরে ফেল আর কতো কষ্ট দিবি ??
: আমি তোরে কষ্ট দেই??
: হু দেস..
: তাহলে চলে যা দূরে.. আর কষ্ট পেতে হবেনা..
: সেটাই তো চাস যে আমি দূরে চলে যাই..
: হু যা ভাগ তুই...
: রাগ উঠতেছে কিন্তু..
: ওইটার অপেক্ষায় তো আসি..
: মানে??
: মানে রাগলে তোকে অনেক সুন্দর লাগে..। ।
আদর লাগে.. মন চায় বুকে চেপে ধরে রাখি অনন্ত কাল.. ♥♥
: তুই এতো ফাজিল কেন?
: তুই এতো ভাল তাই
:আমি এতো ফাজিল...এখন চুপ করে মাথা রেখে ঘুমা.. আমি তোর নিঃশ্বাস শুনি... ♥♥
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।