দেখা যত ছবি, শোনা যত শব্দ, হৃদয়ের সব উপলব্ধি, আর যত এলোমেলো ভাবনা বিশ্বাস হচ্ছেনা বেঁচে আছি, সুস্থ আছি। নারকীয় তান্ডব এর মধ্যে ছিলাম। আমাদের
বহনকারী বাসটাকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা চার
বান্ধবীর মধ্যে তিনজন চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ
দিয়ে বেঁচেছি। একজন নামতে পারেনি।
ওর কাছ
থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম। এখন খবর পেলাম,
গাড়ি ভাঙ্চুরের মধ্যে পরে ওর অনেক জায়গায়
কেটেছিড়ে গেছে, ব্যাথা পেয়েছে খুব। ওয়েলফুড
থেকে দশ কদম দূরে একটা গ্যারেজ কাম
দোকানে আটকা পড়েছিলাম। আমাদের সামনেই
ওয়েলফুড গুড়োগুড়ো করে ফেললো। সাধারণ
গাড়িতো আছেই, দমকল, পুলিশের গাড়ি আর
এম্বুলেন্সও ভাঙা হয়েছে।
আগুন
লাগিয়ে দিয়েছে গাড়িতে, দোকানে। পুলিশ টিয়ার সেল
আর গুলি ছুড়েছে বৃষ্টির মতো। টিয়ার সেল
কতটা ভয়ঙ্কর আজকে টের পেলাম। চোখ
জ্বলুনী আর মাথা ছিড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়।
নেটওয়ার্ক নেই, অসহ্য অবস্থা।
আমরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলাম, ওদেরই একটা ছেলের পা চাপা পড়ে আছে ফ্লাইওভারে। বহু কষ্টের পরও পা টা বের করতে না পারায়,
ছেলেটা পা কেটে তাকে বাঁচানোর জন্য আর্তনাদ করছে। অবশেষে সবাই সেটাই মেনে নিলো। এই অবস্থার অনুভূতিটা যে কি ভয়ঙ্কর তা বর্ণনাতীত। সবাই পাগলের মতো কল করছে।
আব্বু আটকে আছে মুরাদপুর। দাঙ্গা পুলিশ নামার পর পিকেটার রা একটু সরা মাত্র অনেকখানি পথ
হেটে আব্বুকে পেলাম। রাস্তার পরিস্থিতি এত ভয়ঙ্কর! দূর্ঘটনার আধাঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে সত্তরজন মারা গেছে বলে নিশ্চিত খবর পেয়েছি। বাসায় ফিরে টিভিতে দেখছি নিহত দুই/ পাঁচ, আহত পঞ্চাশ!!!
ধিক মিডিয়া!"" থু বাংলাদেশের রাজনীতি আর রাজনীতি বিদদের থু!!
/* চিটাগাং এর দুর্ঘটনার শিকার একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে */ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।