বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। সৌদি আরব, আরব আমিরাত তথা আসাদ বিরোধী আরব জোট যারা এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন ভুমিকা নিতে পারেনি। অথচ তারা সিরিয়ার বিষয়ে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে একটুও ভুল করেনি। ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে কার্যকরী ভুমিকা পালনে ব্যর্থ আরব জোট সিরিয়া বিষয়ক জরুরি বৈঠক থেকে বিদ্রোহীদের প্রতি অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করলেও কায়রোয় জরুরি বৈঠকে গাজা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোরালো কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। যদি সম্মিলিত ভাবে আরব নেতাদের পক্ষ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হত তাহলে ইসরাইল গাজায় একটি গুলি ছোঁড়ারও সাহস পেতো না।
যেমনটি হয়েছিল ১৯৭৩ সালে।
১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে 'ওপেক' তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দেয়ায় বিশ্ব বাজারে তেলের দাম মুহূর্তের মধ্যে বেড়ে যায়। সে কারণে ইসরাইলের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় পশ্চিমারা।
কিন্তু আদৌ কি তা সম্ভব? কায়রোয় জরুরি বৈঠকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম আলে সানি গাজায় ইসরাইলি হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, "ইসরাইলকে নেকড়ে বাঘের সঙ্গে তুলনা করে বলা হচ্ছে তারা ভেড়া খাচ্ছে, কিন্তু ইসরাইল তো নেকড়ে নয়, বরং আমরা আরবরা মাদী ভেড়া। " প্রকৃত পক্ষ্যেই কোনো কোনো আরব সরকার, নেতা ও মিডিয়া-ব্যক্তিত্ব মাদী ভেড়ায় পরিণত হয়েছে।
মার্কিন সরকার নিজের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার নাম করে তিনটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস আইউ জিমা, ইউএসএস নিউ ইয়র্ক এবং ইউএসএস গানস্টোন হল'কে জিব্রাল্টার থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তথা ইসরাইলে পাঠিয়েছে। পক্ষান্তরে আরবরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি গুলিও পাঠানোর সাহস দেখাতে পারেনি অথচ তারা সিরিয়ার মুসলিমদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করতে বিদ্রোহীদের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিতে কার্পণ্য বোধ করেনি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আরবরা সত্যি সত্যিই মাদী ভেড়ায় পরিণত হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।