আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই... হুমায়ূন আহমেদ , আজ তার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন স্যার , যে জগতে আছেন সেখানে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সময় আমি জানিনা। সময়ের হিসাব কেমন হয় তাও জানি না। জোছনা আর বৃষ্টি হয় কি না জানি না । স্যার আপনার জন্য দুঃখ হয় না , জানি ভালই আছেন।
শুধু আপনি যাবার সাথে সাথে বাংলার বখে যাওয়া বইমুখি তরুণদের বইগুলো ও মুখ থেকে কেড়ে নিলেন। আপনাকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, তবে কি স্যার আপনার আসল কদরটা বোঝা যাবে সামনের বইমেলাতে ।
হুমায়ূনহীন বইমেলা হবে বিমানহীন রানওয়ের মত . . . . ।
void(1);
হুমায়ুন স্যারের মৃত্যু আজো কাঁদায়,এখনও বিশ্বাস হয়না সামনের বই মেলায় কি হবে ??
বরষার প্রথম দিনে ...
তুমি যাবে কি ময়ূরাক্ষীতে ...
মৃত্যু নিয়ে স্যারের কিছু লেখা তুলে দিলাম বিভিন্ন জায়গা থেকে পেয়েছি
মৃত্যুর সময় পাশে কেউ থাকবে না,এর চেয়ে ভয়াবহ বোধ হয় আর কিছুই নেই। শেষ বিদা্য় নেয়ার সময় অন্তত কোনো একজন মানুষকে বলে যাওয়া দরকার।
নিঃসঙ্গ ঘর থেকে একা একা চলে যাওয়া যা্য় না,যাওয়াউচিত নয়। এটা হৃদ্য়হীন ব্যাপার।
(দেবী। পৃ:৪৮)
মৃত্যু টের পাওয়া যায়। তার পদশব্দ ক্ষীন কিন্তু অত্যন্ত তীক্ষ্ণ।
(তোমাকে। পৃ:৬৩)
বেঁচে থাকার মতো আনন্দের আর কিছু নেই।
(আগুনের পরশমনি। পৃ:৯৭)
অসম্ভব ক্ষমতাবান লোকেরা প্রা্য় সময়ই নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যায়।
(আকাশজোড়া মেঘ।
পৃ:২৭)
আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।
(মেঘ বলেছে যাব যাব। পৃ:১৫৮)
মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য।
(অপেক্ষা। পৃ:১৪৬)
যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িতেমৃত্যুর আট থেকে নয় ঘন্টা পর একটা শান্তি শন্তি ভাব চলে আসে। আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি করে চোখের পানির স্টক ফুরিয়ে ফেলে। চেষ্টা করেও তখন কান্না আসে না। তবে বাড়ির সবার মধ্যে দুঃখী দুঃখী ভাব থাকে।
সবাই সচেতন ভাবেই হোক বা অচেতন ভাবেই হোক দেখানোর চেষ্টা করে মৃত্যুতে সেই সব চেয়ে বে
শি কষ্ট পেয়েছে। মূল দুঃখের চেয়ে অভিনয়ের দুঃখই প্রধান হয়ে দড়ায়। একমাত্র ব্যাতিক্রম সন্তানের মৃত্যুতে মায়ের দুঃখ।
(হিমুর রুপালী রাত্রি। পৃ:১৮)
বিবাহ এবং মৃত্যু-এই দুই বিশেষ দিনে লতা পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়।
সামাজিক মেলা মেশা হয়। আন্তরিক আলাপ হ্য়।
(একজন হিমু কয়েকটি ঝি ঝি পোকা। পৃ:৮১)
আসল রহস্য পদার্থ বিদ্যা বা অংকে না-আসল রহস্য মানুষের মনে। আকাশ যেমন অন্তহীন মানুষের মনও তাই।
পৃথিবীর বেশির ভাগ অংকবিদ আকাশের দিকে তাকিয়েথাকতে ভালোবাসতেন। আকাশের দিকে তাকালে জাগতিক সব কিছুই তুচ্ছ মনে হয়। We are so insignificant.আমাদের জন্ম মৃত্যু সবই অর্থহীন।
(আমিই মিসির আলি। পৃ:৭৯)
মৃত্যু হচ্ছে একটা শ্বাশত ব্যাপার।
একে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমরা যে বে্ঁচে আছি এটাই একটা মিরাকল।
(কবি। পৃ:১৯১)
মানব জীবন অল্প দিনের। এই অল্প দিনেই যা দেখার দেখে নিতে হবে।
মৃত্যুর পর দেখার কিছু নেই। দোযখেযে যাবে-সে আর দেখবে কি-তার জীবন যাবেআগুন দেখতে দেখতে। আর বেহেশতেও দেখার কিছু নাই। বেহেশতের সবই সুন্দর। যার সবসুন্দর তার সৌন্দর্য বোঝা যায় না।
সুন্দর দেখতে হ্য় অসুন্দরের সংগে।
(কালো যাদুকর। পৃ:৭৮)
সব মৃত্যুই কষ্টের,সুখের মৃত্যু তো কিছু নেই।
(কোথাও কেউ নেই। পৃ:৪০)
void(1); ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।