পাঁচ মৌসুমে দুটি লা লিগা শিরোপা। চ্যাম্পিয়নস লিগ একটি। বার্সেলোনায় দুর্দান্ত পাঁচটি বছর কাটিয়েছেন রোনালদিনহো। বার্সেলোনার সত্যিকারের একটি শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে ওঠার নেপথ্যে কারিগর হিসেবে এই ব্রাজিলীয় প্লে-মেকারের অবদান যথেষ্টই।
রোনালদিনহো ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে এসেছেন সেই ২০০৮ সালে।
সম্প্রতি স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁর স্বদেশি নেইমার। ব্রাজিলের সেরা তো বটেই, বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ২১ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়কে। এর পরও একটা প্রশ্ন থেকে যায়, নেইমার কি পারবেন বার্সেলোনায় রোনালদিনহোর মতো সফল হতে?
বার্সা টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয়েছিল নেইমারকে। নেইমারের জবাব, রোনালদিনহোর সঙ্গে কারও তুলনা চলে না।
নেইমার বলেন, ‘রোনালদিনহো বার্সায় ইতিহাস গড়েছেন।
ব্রাজিল জাতীয় দলে ইতিহাস গড়েছেন। ইতিহাস গড়েই চলেছেন তিনি। আমার ক্ষেত্রে বলব, ইতিহাস গড়তে আমার কেবল পথচলা শুরু। আশা করছি, বার্সায় নিজের চিহ্ন এঁকে দিতে সক্ষম হব। ’
সান্তোস ছেড়ে এসেছেন ন্যু ক্যাম্পে।
আগামী মৌসুম থেকেই বার্সার হয়ে মাঠের লড়াইয়ে দেখা যাবে নেইমারকে। গত সোমবার আনুষ্ঠানিক পরিচয়পর্বের সময়ই ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ড জানান, ‘স্বপ্নপূরণ’ হয়েছে তাঁর। শিশুকাল থেকে যাদের খেলা দেখে শিহরিত হয়েছেন, এখন তাদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত তিনি।
সান্তোসে থাকার সময় বার্সার প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে নেইমারের। অভিজ্ঞতাটা অবশ্য সুখকর নয়।
২০১১ ক্লাব বিশ্বকাপে স্প্যানিশ জায়ান্টদের কাছে ৪-০-তে বিধ্বস্ত হয় তাঁর দল। অভিজ্ঞতা তিক্ত হলেও বার্সার ‘সহজ’ খেলায় মুগ্ধ নেইমার, ‘বার্সার খেলার ধরনটা খুব সহজ। জটিলতা নেই বললেই চলে। প্রতিটি ম্যাচেই ওরা এ ব্যাপারটা বজায় রাখে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।