সৃস্টির সেরা মানুষ তার অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানের সীমাবদ্ধতায় এ সুবিশাল মহাবিশ্বের অসীম অজানার কণাতম রহস্যও ভেদ করতে না পারার চরম ব্যর্থতায় স্রস্টাকেই অস্বীকার করার স্পর্ধা দেখায়!!! সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ
“একটি ত্রিভুজের তিনটি বাহু... এক বাহু প্রেম করে, এক বাহু প্রেমে পড়ে আর অপর বাহু প্রেমে মরে”
_________________________________________________________________________
“ছোটু, এদিকে আয় তাড়াতাড়ি” , মাত্রই ফিফটি মেরে এসে বাসায় ফিরতে না ফিরতেই মেজদার ডাক! দাদাদের রুমে ঢুকতে না ঢুকতেই বড়দার অর্ডার, “বাঁটু, পানি নিয়ে আয় এক গ্লাস” ভ্রু কুঁচকে বড়দার দিকে তাকালাম , ইয়া মোটা ফ্রেমের চশমার ভেতর দিয়ে যেন তার চেয়েও মোটা ফিজিক্স এর বইয়ে ডুবে আছে! আমার দুই বড় ভাই মোটামুটি ভয়ংকর রকমের ব্রিলিয়াণ্ট বলতে যা বুঝায় তার চেয়েও ভয়ংকর রকমের মেধাবী! কলেজিয়েটে ভর্তি হবার পর থেকেই দুভাই চরম ধারাবাহিকতার সাথে প্রতিটি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে এসেছে। শুধু একবার বড়দা রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে খুব মন খারাপ করে বাসায় ফিরেছিল কেননা সেবার নিজ সেকশনে ফার্স্ট হলেও সব সেকশন মিলে ২ নম্বরের জন্য সেকেন্ড হয়েছিল। এই মহামেধাবী দুই ভাইয়ের ছোট ভাই হয়েও আমি ক্লাস সিক্স ও নাইনে দু’দুবার কলেজিয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েও চান্স পাইনি। আর এর খোঁচা হয়তোবা আমাকে সারাজীবন শুনতে হবে। এমনকি এস এস সি তে বড়দা বোর্ডে ২য় হবার পর পুরো পাড়ায় শোরগোল ফেলে নিজের জমানো সব টাকা শেষ করে পাড়ার ছেলেদের মিষ্টি খাইয়ে বাসায় ফিরতে না ফিরতেই মেজদার খোঁচা সবার সামনেই, “এরকম বড় ভাই পেয়েও বাঁটুটা কলেজিয়েটে দুবারের একবারও চান্স পেলনা" - সত্যি বলতে কি কলেজিয়েটে চান্স না পাওয়া কিংবা এ নিয়ে মেজদার খোঁচা মারা এর কোনটাই আমাকে কখনো বিচলিত করেনা।
শুধু মাঝে মাঝে আমার এত সুন্দর নাম থাকার পরও যখন মেজদা আর বড়দা কখনো ‘বাঁটু’ কিংবা কখনো ‘ছোটু’ বলে ডাকে তখন কিছুটা মন খারাপ হয় . অবশ্য পাঁচ ফিট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার এই আমাকে বেঁটে বলে সম্বোধন করাই যায় কিন্তু চারতলার ঐশীর সামনেও যখন ‘বাঁটু’ বলে ডেকে বসে তখন ‘বামন হয়ে চাঁদ ধরার পরিকল্পনা’ থেকে ‘পরি’ অংশটুকু বাদ হয়ে শুধুই ‘কল্পনা’ হয়ে যায়। একদিন আর থাকতে না পেরে মেজদাকে বলেই বসলাম, “ঐশীর সামনে আমাকে আর ‘বাঁটু’ বলে ডাকবানা, অথৈ বলে ডাকবা!” জবাবে, ভাইয়া যা বললো মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। - “ঐশীর উচ্চতা কত জানিস? পাঁচ ফিট সাড়ে পাঁচ!” তর্কে গেলামনা কেননা এতদিন আমার মনেও কিঞ্চিত সন্দেহ ছিল ঐশী আমার চেয়ে সামান্য লম্বা হলেও হতে পারে! সেদিনের পর থেকে কোন সংশয় ছাড়াই মনকে প্রবোধ দিলাম, উপরের তলার মেয়েটি উচ্চতায়ও আমার কিছুটা উপরে! তখনো জানতাম না, এর বেশ ক’বছর পরে ফেসবুক নামক এক বিচিত্র মাধ্যমে আধা ইঞ্চি লম্বা সেই মেয়েটির সাথে নিয়মিত আধা ঘণ্টা করে চ্যাট করা হবে এবং সেই আধা ঘণ্টার বেশিরভাগ জুড়েই থাকবে তার লম্বা ও সুদর্শন কাল্পনিক স্বামীর গুণকীর্তন!
এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার সময় চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড মাঠে ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়ে একবার বাইসাইকেল পুরস্কার পাবার পর আমাদের ক্যাপ্টেন শাফিন ভাই পুরস্কার বিতরণীতে বলে বসলো, “অথৈ এবার সাইকেল চালিয়ে অনেক লম্বা হবে আর বোলারদের আরো বেশি করে ছক্কা উপহার দিবে!”
আর মেজদা যেন আরও এক ধাপ উপরে, আদরের একমাত্র ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে একবারই গিফট দিয়েছিল! আমি মহাখুশি হয়ে র্যাপিং খুলে দেখি, স্কিপিং দড়ি!!!
মা বেঁচে থাকলে হয়তোবা মেজদা এ ফাজলামী করার সাহস পেতনা! মা সবসময় তার আদরের ছোট ছেলেকে আগলে রাখতেন। অথচ সেই মা’ই আমাদের কাউকে তাকে আগলে রাখার কোনরকম সুযোগ না দিয়েই একদিন একেবারে হুট করেই বড় অসময়ে চলে গেলেন। আমার অতিরিক্ত রকমের সাদাসিধে বাবার পক্ষে এরপর কখনই সম্ভব হয়নি মা’র স্থানে কাউকে বসানো।
সুপুত্র গর্বে গর্বিত বাবা বাকী জীবনটা একাকীই কাটিয়ে দিলেন। সুপুত্র বলতে এখানে বুয়েট পড়ুয়া বড়দা আর ঢাবি পড়ুয়া মেজদাকেই বুঝিয়েছি। আত্মীয়স্বজন কিংবা বাবার কাছে সবসময় একাডেমীক রেজাল্টই মূল্য পেয়েছে অথচ ড্রয়িংরুমের শো-কেস ভর্তি আমার অনেকগুলো ম্যান অব দ্য ম্যাচের মেডেল!
বড়দা বুয়েটে ইলেকট্রিক্যালে ভর্তি হবার পরের বছরই মেজদা ঢাবিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়ে ঢাকা চলে গেলে আমাদের বাপ-বেটার কাছে চট্টগ্রামের বাসাটা হঠাৎ করেই মরুভূমির মতো জনমানবহীন মনে হতে লাগলো। বাবার একাকীত্ব দেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ চাচার বুড়ো বয়সে ২য় বিয়ে করার সংবাদটি বাবাকে শুনিয়ে শুনিয়ে পড়ার মতো ছেলেমানুষি পাগলামিটুকুও করলাম সেসময়। প্রথম প্রথম সুযোগ পেলেই প্রতি মাসে দুতিনবার করে দাদারা চট্টগ্রাম চলে আসতো বাবার টানে।
সময়ের সাথে সাথে ব্যস্ততা ও পড়াশোনার চাপে সেই যাওয়া-আসাটা কেমন করে যেন একসময় প্রতি দুতিন মাসে একবার হয়ে গেল।
বড়দা সেসময় বুয়েটের টীচার হবার স্বপ্নে বিভোর, মেজদা ব্যস্ত মাইক্রোসফট কিংবা গুগলের প্রোগ্রামার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে আর আমি নাওয়া-খাওয়া ভুলে ইনজামাম হবার নেশায় একের পর এক ম্যাচ খেলে চলেছি! সিটি কলেজে পড়ার সেই সময়ে একবার এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করবার পর ক্লাসের সুন্দরীতমার এসএমএস পেয়েছিলাম “তোমার ব্যাটিং স্টাইল পুরোই ইনজামামের মতো, কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় তোমাকে মুশফিকুর রহিম মনে হয় দূর থেকে ” আমার ক্রিকেট হিরো ইনজামাম জেনেই এই এসএমএস- আসলেই প্রতিটি সুন্দরী মেয়েই নিষ্ঠুর হবার অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে জন্মায়! নাহ, আমার কথা না...... হুমায়ূন আহমেদের কথা! শুধু ‘সুন্দরী’ শব্দটুকু আমার যোগ করা।
যে বছর আমি প্রথমবারের মত ১ম বিভাগ লীগের কোন দলের ট্রায়ালে ডাক পেলাম, সে বছরই বড়দা অনার্সে ৭ম হয়ে অল্পের জন্য বুয়েটের লেকচারার হতে পারলনা। ট্রায়ালে ডাক পেলেও বাবার সামান্য শারীরিক অসুস্থতার জন্য ঢাকায় গেলাম না। অথচ আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ১ম বারের মতো বাবা আমাকে ক্রিকেটের কোন ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছিল।
কিন্তু বাবার কারণে মন অনেক বেশী খারাপ থাকায় ঢাকায় গেলাম না। সত্যি বলতে কী বড়দা–মেজদা বাসায় না থাকার দিনগুলোতে বাপ-বেটা দুজনই দুজনের প্রতি দিনদিন অনেক বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলাম।
ঘটনাবহুল পরের বছরগুলো যেন চোখের পলকেই চলে গেল! বড়দা ফুলফ্রী স্কলারশিপ পেয়ে কানাডা চলে গেল আর মেজদা অল্পের জন্য S@ifur’s এর সাইফুর স্যারের রেকর্ড GMAT SCORE ছুঁতে পারলনা। বড়দাকে এয়ারপোর্টে দিতে যাবার সময় পুরো পথ জুড়ে আমি ট্যাক্সিক্যাবে কাঁদতে থাকলাম। সেই সুযোগে মেজদা চলে চট্টগ্রামের একটি প্রচলিত প্রবাদের সাথে একটি মজার লাইন জুড়ে দিল, “ বাঁটি শয়তানের আঁটি, বাঁটি মানেই কান্নাকাটি”।
বড়দা চলে যাবার পর বাবা অনেকটাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লো, যদিও স্কাইপে রেগুলার ভিডিও চ্যাট করতাম বড়দার সাথে বাবাসহ। কিন্তু চ্যাটের পর বাবার মন কেন যেন আরও বেশী খারাপ হয়ে যেত। আসলে মা’র চেহারার সাথে বড়দার অদ্ভুত রকমের মিল থাকায় বড়দা কানাডা যাবার পর থেকে বাবার হয়তোবা ২য়বারের মতো মা’কে হারানোর অনুভুতি হয়েছিল।
কানাডা যাবার পরপরই এক কানাডাপ্রবাসী বাঙালি মেয়ের সাথে বড়দা’র প্রেম হয়ে গেলে এক বছরের মাথায় তারা বিয়েও করে ফেলল। আসলে সমবয়সী হবার কারণে আর মেয়ের বাসায় বিয়ের অনেক প্রস্তাব আসছিল বলে তাদের আর অন্য কোন উপায়ও ছিলনা।
এভাবে হুট করে বড়দার নিজে নিজে বিয়ে করে ফেলাতে বাবা অনেক কষ্ট পেয়েছিল কেননা, যেহেতু নিজের কোন মেয়ে নেই তাই মা বেঁচে থাকতে বাবা সবসময় মা’কে বলত তিন ছেলের বউকে আপন মেয়ের চেয়েও শতগুন বেশী ভালবাসবে।
দুবছর পর মেজদাও আমেরিকায় স্কলারশিপ পেয়ে গেলে আমি রীতিমতো মহাবিদ্রোহ ঘোষণা করলাম। মেজদা’র হাতে পায়ে ধরে পাগলামি করতে থাকলাম, “তুমি এত অল্প বয়সে দেশেই ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি কর, তোমার বিদেশে যাবার দরকার নেই! তুমি দেশেই অনেক কিছু করতে পারবা। আর যদি যেতেই হয়, অন্তত বিয়ে করে যাও। আমাদের কোন বোন নেই, এ নিয়ে বাবার মনে আজীবন যে দুঃখ তা কিছুটা হলেও লাঘব কর”, মেজদা শুনে এটুকুই বলো, “ধুর পাগল! তুইতো আছিস, তুই আছিস বলেই আমি আর বড়দা এত নিশ্চিন্ত।
আমাদের ‘ছোটু’ এখন আর সেই ছোট্টটি নেই! HE IS VERY BIG & RESPONSIBLE GUY NOW”.
এবার আর মেজদা’কে বিদায় দিতে এয়ারপোর্টে গেলাম না। বরং যাবার দিন মোবাইল অফ করে সারাদিন বন্ধুদের বাসায় কাটিয়ে দিলাম।
প্রায় বছরখানেকের মাথায় বাবা প্রথমবারের মতো স্ট্রোক করলেন আর আমার মাথায় যেন শুধু আকাশ না পুরো মহাকাশ ভেঙ্গে পড়লো। বাবার বয়স তখন ৬৫ ছুঁইছুঁই, আল্লাহ্র রহমতে সে যাত্রা কোন অঘটন না ঘটলেও বাবার শরীর এরপর অনেকটাই ভেঙ্গে পড়লো। বড়দা’র পাঠানো টাকার বেশিরভাগই খরচ হতে থাকলো বাবার দামী দামী ওষুধের পেছনে।
বিয়ের দুবছরের মাথায় ‘সুহায়লা’ নামের এক পরী এল বড়দা’র সংসারে। বড়দা’র মেয়ে হবার সুসংবাদে বাবা যেন অর্ধেকটাই সুস্থ হয়ে গেল, বাকী অর্ধেকটাও সুস্থ হবার ব্যবস্থা মেজদা করে ফেলল, গুগলে প্রোগ্রামার হিসেবে জয়েন করে। পরপর বেশ ক’টি সুসংবাদ পেয়ে আমিও বেশ ক’বছর পর আমার ক্রিকেটের কীটগুলোয় জমে থাকা ধুলো সরানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
কিন্তু ক্রীজে নেমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবার আগেই বাবার কিডনিতে জটিল এক রোগ ধরা পড়লো। বড়দার পাঠানো কানাডিয়ান ডলার আর মেজদার পাঠানো আমেরিকান ডলারের উপর ভরসা করে ঢাকার স্কয়ারে দেশের অন্যতম ব্যয়বহুল অপারেশনের ব্যবাস্থাও করে ফেললাম বেশ দ্রুত।
অপারেশনের চার ঘণ্টা আগে জানলাম সেই ভয়ংকর তথ্যটি, বাবার রক্তের গ্রুপ নাকিও নেগেটিভ! ইয়া খোদা! আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজদা’র রক্তের গ্রুপও ও নেগেটিভ। ভয়ংকর দুঃস্বপ্নেও কখনো কল্পনা করিনি, বাংলাদেশে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত এতটা দুষ্প্রাপ্য ..................। ---- এই পর্যায়ে এসে রোহানের কিছুটা শিরশিরে অনুভূতি হতে লাগলো। কেননা তার নিজের রক্তের গ্রুপও ও নেগেটিভ! শিরশিরে অনুভূতির ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই হঠাৎ করে ঝড়ের বেগে মা রুমে ঢুকে রীতিমতো হুংকার দিয়ে রোহানের হাত থেকে বইটি কেঁড়ে নিয়ে বললো, “রাত আড়াইটা বাজে আর এখনও শুয়ে শুয়ে বই পড়া হচ্ছে! কাল সকাল আটটায় কোথায় যেতে হবে সে খেয়াল আছে? এক্ষুনি ঘুমিয়ে পড়” বলেই বাতি নিভিয়ে বইটি হাতে নিয়ে প্রতিদিনের মতো মা চলে গেল। বইটি পড়তে পড়তে রোহানের আসলেই কিছুক্ষণের জন্য খেয়াল ছিলনা, ADB’র SCHOLARSHIP হয়ে যাওয়ায় আগামীকাল তাকে ভিসার জন্য এমব্যাসি যেতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাবা-মার একমাত্র সন্তান রোহান আগামী ম্যাসেই অস্ট্রেলিয়া ঊড়াল দিবে। অন্ধকারে রোহান শুয়ে শুয়ে অনেক চিন্তা করেও ভেবে পেল না, বইটির একদম শুরুতে লেখা, “একটি ত্রিভুজের তিনটি বাহু... এক বাহু প্রেম করে, এক বাহু প্রেমে পড়ে আর অপর বাহু প্রেমে মরে”- এর সাথে ‘সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ’ গল্পটির সম্পর্ক কী! সে এও ভেবে পেল না, অস্ট্রেলিয়া যাবার আগের মাসেই অতিরিক্ত রকমের লাজুক প্রকৃতির মামাতো বোন তিথী-ই বা কেন তাকে এই গল্পের বইটি গীফট করলো!
-----O-----
“অনেক সাহস করে জীবনের প্রথম ও খুব সম্ভবত শেষ গল্পটি লিখে ফেললাম। লেখাড় পর উপলব্ধি,ছোট গল্প শেষ হইয়াও হইল না শেষ কিংবা কখনো কখনো একেবারে হুট করেই শেষ! গল্প লেখার চেয়ে কবিতা লেখা অনেক বেশী সহজ। তবে গল্প লেখার আনন্দ সহস্র গুন বেশী”। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।