স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশন শুরু হলে পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেন।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘আমাদের সরকার পুঁজিবাজারকে একটি শক্তিশালী পুঁজির উত্স হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সে জন্য প্রথম থেকেই আমরা পুঁজিবাজারের দিকে নজর দিই। আমি বর্তমান সরকারের প্রথম বছরে স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের প্রস্তাব ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাই।
তাঁরা সব সময় অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেন। অবশ্য ২০১১ সালের শেষে যখন ধস নামলো, তখন তাঁরা মত পরিবর্তন করলেন। এখন তাঁদের উদ্যোগেই ডিমিউচুয়ালাইজেশন বিল মহান সংসদে পাস হয়েছে। আমার মনে হয়, পুঁজিবাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। তবে একটি বিষয় সম্পর্কে আমাকে বলতেই হবে যে, আমরা যে উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজারকে সংস্কার করার চেষ্টা করেছি, তা সফলতার মুখ দেখছে।
২০০১-০২ থেকে ২০০৫-০৬ অর্থবছর পর্যন্ত প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে (আইপিও) পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকার পরিমাণ ছিল ৪৩০ কোটি। এর বিপরীতে ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উত্তোলিত টাকার পরিমাণ চার হাজার ২৮০ কোটি। একইভাবে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত টাকা ৩০২ কোটির বিপরীতে বর্তমানে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। বস্ত্র খাতে বিশেষ করে পোশাকশিল্পে যে ব্যাপক অগ্রগতি হচ্ছে তার অন্যতম উপাদান হচ্ছে পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি উত্তোলন। ’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন কার্যক্রম শুরু হলে অস্থিতিশীলতা আরও কমে আসবে।
তবে মনে রাখা ভালো যে, পুঁজিবাজার সারা পৃথিবীতেই ঝুঁকিপূর্ণ বাজার। ’
এ ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।