ইংরেজিতে attention span বা বাংলায় মনঃসংযোগ বলা হয় আপনি ঠিক কতটুকু সময় ধরে একটি জিনিসের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন। এটি পড়ালেখা কিংবা যেকোনো কাজের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। আমরা অনেক সময় ভাবি অমুকের মেধা কম বলে অনেক পরেও ভালো করতে পারছেনা । কিন্তু আপনি খেয়াল করলে দেখবেন তাদের বেশিরভাগের ই মনোযোগ কম। ধরুন আপনি এই লেখাটি ৫ মিনিটে শেষ করতে পারেন।
দুই মিনিট পড়ার পর পানি খেতে গেলেন, এসে আবার ভুলে গেছেন কোথা থেকে শুরু করতে হবে। আবার একটু পরে খেলার স্কোরটা দেখে আসলেন এসে শেষ করলেন। আর আপনার বন্ধুটি এক নিঃশ্বাসে পরে আরামসে খেলা দেখতে গেল। ২ ঘণ্টা পর দেখবেন আপনার কিছুই মনে নাই আর আপনার বন্ধু প্রায় হুবুহ বলে দিতে পারছে কি পরেছিলেন।
তাহলে এবার মনোযোগ বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস -
১।
টিভি, এফ এম রেডিও, খেলা দেখা , ছবি, ফেসবুক, বিনোদনমূলক ওয়েবসাইট এই সব কিছুই আপনার মনোযোগ নিয়ে নিচ্ছে। চিন্তা করে দেখুন পড়ার সময় আপনার যতটুকু মনোযোগ একটা ছবি দেখার সময় তার চেয়ে কতগুণ বেশি। আপনি যদি আপনার সব মনোযোগ ছবি দেখেই শেষ করেন তাহলে কাজের সময় মনোযোগ আসবে কি করে? তাহলে কি সবকিছু বন্ধ করে দিবেন? না আগের মতই চালিয়ে যান। শুধু পূর্ণ মনোযোগ টা দিবেন না দয়া করে। সবচেয়ে ভালো physically active বিনোদন খুজে বের করা।
আপনি খেলতে পারেন, ব্যায়াম করতে পারেন, বন্ধুদের সাথে আড্ডাও দিতে পারেন।
২। একটু আগে বলেছিই ব্যায়াম করার কথা, ব্যায়াম করলে শরীর ও মনঃ দুটোই ভালো থাকবে, মনোযোগ ও দিতে পারবেন।
৩। meditation করুন।
নানান বই টই পড়ে অথবা কোন কোর্সে ভর্তি হয়ে করার দরকার নেয়। শুধুমাত্র প্রতিদিন দুই বেলা একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে যেকোনো একটি জিনিস নিয়ে চিন্তা করুন। easy হয়ে বসুন অথবা শোন কিন্তু এমন আরামে না যেন ঘুমিয়ে পরবেন। তারপর শুরু করুন। প্রথমে খুবই কম সময় ধরে করুন।
হাত ঘরিতে অ্যালার্ম দিন সময় শেষ হলে meditation শেষ। এবার কি চিন্তা করবেন। যেকোনো একটি জিনিস। ধরুন ক অক্ষর টি নিয়ে চিন্তা করবেন। তাহলে ক এর পড়ে কি, ক দেখতে কি রকম, চতবেলায় ক, খ কে শিখিয়েছে কিছু না শুধু ক।
অন্য চিন্তা আসবে ফিরে এসে আবার ক এভাবে করুন।
ধরুন প্রথমে ২ মিনিট টার্গেট করলেন। দুই মিনিট এ সফল হওয়ার পর মিনিট বারান। প্রতিদিন দুই বেলা। করতে থাকুন একসময় আপনি নিজেই তের পাবেন।
৪। মনোযোগ বাড়ানোর আরেকটি উপায় হল যেখানে মনোযোগ দেওয়া খুবই কঠিন সেখানে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা। ধরুন রাস্তায় ট্রাফিক এ আটকিয়ে আছেন। সময়টুকু বিরক্ত না হয়ে কাজে লাগান। বই পড়ার চেষ্টা করুন মনঃযোগ দিয়ে।
বাসায় গান ছেড়ে দিয়েও চেষ্টা করা যেতে পারে।
তারপরেও না কাজ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।