আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জর্দান সফর (পৃথিবীর দেশে -মাওলানা জালাল উিদ্দীন সাহেবের বই থেকে নেওয়া)

জর্দান সফর (শাওয়াল, ১ ৪৩১ হিজরী, সেপ্টেম্বর, ২০১০ ঈসায়ী) الحمد لله رب العا لمين، والصلوة والسلام على رسوله الكريم وعلى آله واصحابه أجمعين. যাবতীয় প্রশংসা সেই মহান সত্তার, যিনি এ বিশ্বজগতকে অস্তিত্ব দান করেছেন। এবং দরূদ ও সালাম তাঁর শেষ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর, যিনি পৃথিবীতে সত্যের বাণী সুউচ্চে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জর্দানে আমার ইতিপূর্বের দুই সফরের ইতিবৃত্ত ‘উহুদ থেকে কাসিউন’ সফরনামায় লিখেছি। ‘জাহানে দীদাহ’র মধ্যে তা প্রকাশিত হয়েছে। এর পরেও সেখানে বার বার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

তবে শাওয়াল ১৪৩১ হিজরীতে জর্দানে আমার যে সফর হয়, সেখানে দু’টি বিষয় নতুন জানতে পারি। বক্ষমান প্রবন্ধে সংক্ষেপে তা পাঠকসমীপে তুলে ধরছি। জর্দান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘মুয়াসসাসাতু আলিল বাইতি লিল ফিকরিল ইসলামী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার প্রধান ব্যক্তি শাহযাদা গাযী বিন মুহাম্মাদ (জর্দানের বাদশা মালিক আব্দুল্লাহর চাচাতো ভাই ও বিশেষ উপদেষ্টা)। তিনি অত্যন্ত বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিত্ব।

আমার আরবী ও ইংরেজী কিতাবসমূহের সুবাদে আমাকে দূর থেকে চেনেন শুধু তাই নয়, বরং অত্যন্ত মহব্বতও করেন। তাঁর সঙ্গে পত্রযোগাযোগও রয়েছে। তিনি কয়েক বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত দিয়ে আসছেন। কিন্তু আমি বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সে সব অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। এবার শাওয়াল মাসে তিনি সে প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ‘ইসলাম ও পরিবেশবাদ’ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

ঘটনাচক্রে আমার জন্যে এ সময় যাওয়া সহজ ছিলো। আমি ‘পরিবেশবাদ’ বিষয়ে শাস্ত্রীয় তথ্যও সংগ্রহ করতে চাচ্ছিলাম। আমার কিছু আরবী কিতাব ছাপার বিষয়ে জরুরী কাজও ছিলো। এ সব কারণে আমি সেখানে অংশ গ্রহণের নিয়ত করি। ১৫ শাওয়াল শনিবার দুপুরে আম্মান পৌঁছি।

সেই বৃক্ষটি বিকাল পাঁচটায় শাহযাদা গাযী আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে হোটেলে আসেন। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার মাঝে তিনি বলেন যে, জর্দানের সেই জায়গা আবিষ্কৃত হয়েছে, যেখানে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিশোর বয়সে চাচা আবু তালেবের সঙ্গে তাশরীফ এনেছিলেন। যেখানে বুহাইরা পাদ্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিলো। সেখানে ঐ বৃক্ষটি এখনো রয়েছে, যার ছায়ায় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবস্থান করেছিলেন। আপনি যদি আমার সঙ্গে সেখানে যেতে চান তাহলে আমি আপনাকে নিয়ে যাবো।

আমার জন্যে এটি ছিলো অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। আমি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এ দাওয়াত কবুল করি। সুতরাং সম্মেলন শেষ হতেই শাহযাদা গাযী আমাকে একটি সামরিক বিমানবন্দরে নিয়ে যান। সেখানে একটি বড়ো হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিলো। তাতে প্রায় দশজন মানুষের বসার ব্যবস্থা ছিলো।

শাহযাদার সঙ্গে তার পরিবারের কিছু শিশুও ছিলো। আমি ছাড়া নতুন শাইখুল আযহার আহমাদ আত তাইয়্যেব, মিসরের মুফতী আলী জুমুআ এবং শাহযাদার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার লোকেরাও হেলিকপ্টারে আরোহণ করে। হেলিকপ্টার আম্মান থেকে উত্তরদিকে সফর করে প্রায় পঞ্চাশ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে। পুরো পথটি ছিলো লতাপাতাশূন্য মরুভূমি। যার মধ্যে কোথাও কোথাও ছোট ছোট শুষ্ক টিলা এবং মাটির সাথে লেপটানো ছোট ছোট ঝোপ-ঝাড় অবশ্য ছোখে পড়ে।

সেগুলোও রোদে পুড়ে ঝলসানো ছিলো। পঞ্চাশ মিনিটের সফরের পর হেলিকপ্টার যখন অবতরণ করে, তখন আদিগন্ত বিস্তৃত বালুকাময় মরুপ্রান্তরের মাঝখানে একটি সবুজ-শ্যামল বৃক্ষ চোখে পড়ে। কুলকিনারাহীন এ মরুভূমিতে যা ভাস্বর হয়ে দেখা দিচ্ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে যে, এর ছায়াতেই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ এনেছিলেন। প্রথমে সংক্ষেপে ঘটনাটি বর্ণনা করা মোনাসেব মনে করছি।

ঘটনাটি হাদীস ও সীরাতের বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছ। জামে তিরমিযীতে শক্তিশালী সনদে হযরত আবু মূসা আশআরী রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়াত লাভের পূর্বে তাঁর চাচা আবু তালেব কুরাইশের আরো কিছু গুরুজনের সাথে সিরিয়া সফরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাঁর সাথে ছিলেন। (মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক রহ.-এর বর্ণনায় আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই তাঁর সাথে যাওয়ার জন্যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। হাফেয ইবনে কাসীর রহ. ‘আস সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ’ ১/১৪০-এ লিখেছেন, তখন তাঁর বয়স বারো বছর ছিলো।

) যখন তাঁরা সিরিয়া অঞ্চলে পৌঁছেন, তখন সেখানে এক খ্রিস্টান পাদ্রীর (গীর্জার) নিকট যাত্রা বিরতি করেন। (মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক রহ.-এর বর্ণনায় সে পাদ্রীর নাম বুহাইরা বর্ণনা করা হয়েছে) এ বিষয়ে সব বর্ণনা একমত যে, সিরিয়ায় সফরকালে কুরাইশের লোকেরা ইতিপূর্বেও এই পাদ্রীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করতো, কিন্তু ইতিপূর্বে কখনো তিনি নিজের গীর্জা থেকে বের হতেন না বা তাদের দিকে মনোযোগ দিতেন না। কিন্তু এবার যখন তারা এখানে যাত্রা বিরতি করে, তখন এই পাদ্রী তাদের মধ্যে ঢুকে পড়েন এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র হাত ধরে বলতে আরম্ভ করেন- ‘ইনি সারা জাহানের সরদার, ইনি রাব্বুল আলামীনের পয়গম্বর, যাঁকে আল্লাহ তাআলা রহমাতুল লিল আলামীন বানিয়ে পাঠাবেন। ’ কুরাইশের লোকেরা জিজ্ঞাসা করে- আপনি কী করে তা জানতে পারলেন? পাদ্রী বলেন- তোমরা যখন সামনের প্রান্তরে এলে, তখন প্রত্যেক বৃক্ষ ও পাথর তাঁকে সিজদা করছিলো। বৃক্ষ ও পাথর নবী ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করে না।

তাছাড়া আমি তাঁকে ‘মহরে নবুয়াত’ দ্বারা চিনতে পারছি। যা তাঁর কাঁধের হাড্ডির নিচে আপেলের ন্যায় বিদ্যমান রয়েছে। তারপর তিনি কাফেলার লোকদের জন্যে খাবার তৈরী করেন। তিরমিযী শরীফের বর্ণনায় আছে যে, তিনি খাবারগুলো বৃক্ষের নিকটে নিয়ে আসেন। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উট চরাতে গিয়েছিলেন।

তিনি যখন ফিরে আসেন, তখন সবাই গাছের ছায়ার নিচে বসে পড়েছে। গাছের ছায়ায় বসার মতো আর কোন জায়গা ছিলো না। কিন্তু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ আনলে গাছের ডাল ঝুঁকে গিয়ে তাঁকে ছায়া করে দেয়। তখন পাদ্রী সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, দেখো! গাছ তাঁর দিকে ঝুঁকে গিয়ে ছায়া করে দিচ্ছে। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন- এঁর অভিভাবক কে? লোকেরা বলে- আবু তালেব।

তখন পাদ্রী আবু তালেবের নিকট জোর দাবি জানান যে, আপনি তাঁকে সম্মুখে নিয়ে যাবেন না। কারণ, রোমের লোকেরা তাঁকে চিনতে পারলে হত্যা করে ফেলবে। তখন হযরত আবু বকর রাযি. তাঁকে হযরত বেলাল রাযি.-এর সঙ্গে ফেরৎ পাঠিয়ে দেন। (জামে তিরমিযী, আবওয়াবুল মানাকিব, বাবু বাদয়ি নুবুয়্যাতিন নাবিয়্যি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হাদীস নং- ৩৬২০) তিরমিযী শরীফের এ বর্ণনার রাবীগণকে মুহাদ্দিসীনে কেরাম ‘সেকা’ তথা নির্ভরযোগ্য বলেছেন। তবে বর্ণনার শেষাংশে উক্ত ‘যখন রাহেব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ফিরে পাঠানোর পরামর্শ দেন, তখন হযরত আবু বকর রাযি. ঐ কাফেলায় ছিলেন।

তিনি হযরত বেলাল রাযি.-এর সঙ্গে তাঁকে ফেরৎ পাঠান। ’ এ অংশটিকে মুহাদ্দিসীনে কেরাম নিশ্চিতভাবে ভুল আখ্যা দিয়েছেন। কারণ, যে সময়ের এ ঘটনা, তখন হযরত বেলাল রাযি.-এর হয় জন্মই হয়নি। না হয় তিনি এতো ছোট ছিলেন যে, তার সঙ্গে ফেরৎ পাঠানোর প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযি. তাঁকে ক্রয় করেছিলেন তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার পর।

আর এ ঘটনা ঘটেছিলো হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়তের অনেক পূর্বে। এ কারণে কেউ কেউ এ বর্ণনাকে বিশুদ্ধ মানতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু কতিপয় মুহাদ্দিস যেমন হাফেয ইবনে হাজার রহ. বলেন- এ কারণে পুরো বর্ণনাকে ভুল বলা ঠিক নয়। কারণ, হাদীসের সনদ শক্তিশালী। তবে শেষাংশে কোন রাবীর ‘ওয়াহাম’ হয়েছে বলে মনে হয় (তুহফাতুল আহওয়াযী, ১০/৯৩) সহীহ বর্ণনাসমূহের মধ্যে এধরনের আংশিক ভুল অনেক সময় হয়ে থাকে।

বর্ণনার মূল বক্তব্যের উপর তার কোন বিরূপ প্রভাব পড়ে না। এ কারণে পুরো বর্ণনাকে ভুল বলা যায় না। এই একই বর্ণনা মুসনাদে বাযযারের মধ্যেও এসেছে। সেখানেও ঘটনার বিবরণ সেভাবেই বর্ণিত হয়েছে, যেভাবে বর্ণিত হয়েছে তিরমিযী শরিফে। কিন্তু সেখানে ‘হযরত আবু বকর রাযি. হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হযরত বেলাল রাযি.-এর সঙ্গে ফেরৎ পাঠান’ কথাটি নেই।

(মুসনাদে বাযযার, মুসনাদে আব মুসা আল আশায়ারী, ১/৪৬৭, হাদীস নং ৩০৯৬) মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাকের বিভিন্ন বর্ণনায় ঘটনাটি এভাবে বিবৃত হয়েছে যে, কাফেলাটি যখন বুহায়রা রাহেবের গীর্জার নিকট পৌঁছে, তখন বুহায়রা দেখেন যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর একটি মেঘখন্ড ছায়া বিস্তার করে আছে। গাছের ডালও তাঁর দিকে ঝুঁকে আছে। এটি দেখে বুহায়রার অন্তরে অনুসন্ধিৎসার সৃষ্টি হয়। তিনি কফেলার লোকদের দাওয়াত দিয়ে বলেন- আমি আপনাদের জন্যে খাবার তৈরী করেছি, আপনারা সবাই আমার এখানে খেতে আসুন। সকলেই আসলো।

কিন্তু হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ আনলেন না। বুহাইরা লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন- আপনাদের সকল সাথী এসেছে কি? তারা বললো- সবাই এসেছে, তবে অল্প বয়স্ক একটি ছেলে হাওদার মধ্যে রয়ে গেছে। বুহাইরা পীড়াপীড়ি করে তাকে ডেকে আনালেন। তিনি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনেক প্রশ্ন করলেন। তাঁর পবিত্র কাঁধে নবুয়তের মোহর দেখতে পেলেন।

আবু তালেবকে জিজ্ঞাসা করলেন এ ছেলে আপনার কী হয়? আবু তালেব বললেন- এটি আমার ছেলে। বুহায়রা রাহেব বললেন- এটি আপনার ছেলে নয়। তার বাবা জীবিত থাকতে পারে না। তখন আবু তালেব বললেন যে- এটি আমার ভাতিজা। তাঁর মা-বাবার ইনতিকাল হয়েছে।

বুহায়রা তখন পরামর্শ দিলেন যে, আপনি ‘এঁকে ফেরত নিয়ে যান’। ইহুদীদের হাত থেকে এঁকে হেফাজত করুন। আবু তালেব নিজে তখন তাঁকে ফেরত আনলেন। (সীরাত ইবনে হিশাম, ১/১৮২-১৮৩) হাফেয ইবনে আসাকির রহ. তারীখে দামেস্কের মধ্যেও ঘটনাটি সমস্ত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে কিছু রয়েছে তিরমিযীর বর্ণনার অনুরূপ, আর কিছু রয়েছে ইবনে ইসহাকের বর্ণনার অনুরূপ।

(তারীখে ইবনে আসাকির, ৩/৪-১২) যাইহোক, ঘটনার বিস্তারিত বিবরণের মধ্যে বর্ণনাসমূহের বিভিন্নতা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সমস্ত বর্ণনা একমত যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সফরে বুহায়রা রাহেবের গীর্জার একটি গাছের নিকটে অবস্থান করেছিলেন। এবং গাছের ডালগুলো তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছিলো। এছাড়াও তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়তের আরো কিছু আলামত দেখতে পান। যে কারণে তিনি কাফেলার লোকদেরকে দাওয়াত দেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাকে তিনি শেষ নবীরূপে চিনতে পেরে আবু তালেবকে তাঁকে ফেরত পাঠানোর পরামর্শ দেন। মূলত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবীরূপে আগমন করার সংবাদ তাওরাত ও ইঞ্জীলে সুস্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছিলো। অনেক বিকৃতি সত্ত্বেও বাইবেলে আজও কিছু কিছু ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। সেসব ভবিষ্যদ্বাণীর লক্ষ্য হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। হযরত মাওলানা রহমতুল্লাহ সাহেব কীরানবী রহ. তাঁর ‘ইযহারুল হক’ কিতাবে সেগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন।

গ্রন্থকারের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ ‘বাইবেল সে কুরআন তক’ নামে উর্দুতে তার অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আরো অনুমিত হয় যে, এ সব ভবিষ্যদ্বাণী ছাড়াও বিভিন্ন নবী মৌখিকভাবেও হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেক আলামতের কথা বলে গেছেন, যা বংশপরম্পরায় আহলে কিতাবের নিকট মুখস্থাকারে সংরক্ষিত হয়েছে। একথাও প্রমাণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের পূর্বে আহলে কিতাবগণ শেষ নবীর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলো। মূর্তিপূজারীদের সাথে তাদরে যুদ্ধ বাঁধলে তাঁকে দ্রুত প্রেরণ করার জন্যে তারা আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ করতো। কুরআনে কারীমে সূরায়ে বাকারার ৮৯ নং আয়াতে এ কথা বর্ণিত হয়েছে।

এমতাবস্থায় বুহায়রা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ সমস্ত আলামত প্রত্যক্ষ করে নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করেন যে, ইনিই শেষ নবী। শাহযাদা গাযী বলেন- সেই বৃক্ষটি কোন্ জায়গায় ছিলো তা উদ্ঘাটনের জন্যে বাদশাহের পক্ষ থেকে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ যাচাই করার তিনি আমাকে নির্দেশ দেন। সুতরাং আমি সরকারের নিকট সংরক্ষিত এতদসম্পর্কিত দলিল-দস্তাবেজসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরম্ভ করি। সম্ভবত ওসমানী খেলাফতের যুগ থেকে সংরক্ষিত এ সমস্ত দস্তাবেজের মধ্যে আমি সেই বৃক্ষের উল্লেখ পাই, যার নিচে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবস্থান করেছিলেন।

আমি আরো উল্লেখ পাই যে, সেই বৃক্ষটি এখনোও তাজা রয়েছে। দস্তাবেজের আলোকে আমি তা অনুসন্ধান করে জানতে পারি যে, কিছুদিন পূর্বে তেলের পাইপ লাইনের সার্ভে করার সময় সে সড়ক আবিস্কৃত হয়েছে, যা কোন এক বাইজেন্টাইন বদশাহ হেজাযের ব্যবসায়ীগণ যেন নিশ্চিন্তে সিরিয়া সফর করতে পারে, সে উদ্দেশ্যে বানিয়েছিলেন। এ তথ্য উদঘাটনের ফলে আমি আরো সহযোগিতা পাই। এ সড়ককে ভিত্তি বানিয়ে এতদঞ্চলের সার্ভে করলে বিরল-বিস্ময়কর এ বৃক্ষটি আবিস্কৃত হয়। যা ছিলো শত শত বর্গ কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত মরুপ্রন্তরের মাঝে একমাত্র সজীব ও সবল বৃক্ষ।

সেই বৃক্ষ থেকে কিছু দূরে একটি ভবনের ধবংসাবশেষও দেখতে পাই। যা বুহায়রা রাহাবের গীর্জা হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। আশেপাশের বসবাসকারী বেদুইনদের কাছে তথ্য তালাশ করলে তারা বলে যে, আমাদের খানদানের মধ্যে একথা ‘তাওয়াতুরে’র পর্যায়ে প্রসিদ্ধ রয়েছে যে, এ বৃক্ষের নিচে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবস্থান করেছেন। এ সমস্ত দলীল-প্রমাণের আলোকে জর্দান সরকার জায়গাটি সংরক্ষণের জন্যে এর চতুর্দিকে প্রচীর তৈরী করেন। শাহযাদা গাযী প্রথম যখন এ বৃক্ষ আবিষ্কার করেন, তখন তা পুরো সজীব ছিলো।

তবে ডালগুলো কিছুটা শুকিয়ে গিয়ে ছিলো। পরে যতেœর সাথে তাতে পানি দেয়া হয়। ফলে তা পরিপূর্ণ রূপে সবুজ ও সজীব হয়ে ওঠে। সেখানে গিয়ে দেখার পর সুস্পষ্টই চোখে পড়ে যে, এটি অসাধারণ একটি বৃক্ষ। কারণ, শত শত বর্গকিলোমিটারের মধ্যে কোথাও কোন গাছের চিহ্ন পর্যন্ত নেই।

সেখান পর্যন্ত পানি পৌঁছার কোন পথও চোখে পড়ে না। তাই এটি কোন অসম্ভব বা অবাক বিষয় নয় যে, এ বৃক্ষের মাধ্যমে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি মোজেযা প্রকাশ পেয়েছিলো এবং তার ভিত্তিতে বুহায়রা রাহেব হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে শেষ নবীর অনেক আলামত দেখতে পেয়েছিলেন, যে কারণে আল্লাহ তাআলা অলৌকিকভাবে বৃক্ষটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বিশেষ করে এ বৃক্ষ থেকে একশো মিটার দূরে এমন একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষও রয়েছে, যার সম্মুখ ভাগ রয়েছে এই বৃক্ষের দিকে। এ ঘটনার অবস্থানস্থল সম্পর্কে সীরাতের কিতাবসমূহে উল্লেখ আছে যে, বুহায়রার সঙ্গে সাক্ষাতের এ ঘটনা সিরিয়ার বসরা শহরে ঘটেছিলো। হাফেয ইবনে কাসীর রহ. ইবনে আসাকিরের উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন যে, বুহায়রা রাহেব ‘কাফ্ফার’ নামক একটি জনবসতিতে বাস করতেন।

যা ছিলো বসরা থেকে ছয় মাইল দূরে। এখানে এ কথাটি পরিষ্কার করা ভালো যে, সে যুগে প্রত্যেক জনবসতীকে ‘কাফ্ফার’ বলা হতো। সেগুলোর পরস্পরকে পৃথক করার জন্যে ‘কাফ্ফার’ শব্দের সঙ্গে অন্য কোন শব্দ যোগ করা হতো। যেমন, ‘কাফ্ফারে নাহুম’। বর্তমানেও সিরিয়া ও জর্দানের অনেক জনবসতীর নাম ‘কাফ্ফার’ রয়েছে।

বুহায়রার জনবসতী বসরা থেকে ছয় মাইল দূরে, একথা মেনে নেয়া হলে বৃক্ষের এ জায়গাটি বাহ্যত সে জায়গা নয়। কারণ, বসরা শহর এখান থেকে বেশ দূরে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। এ অঞ্চলের মানচিত্র দ্বারা জানা যায় যে, এখানকার সবচেয়ে নিকটবর্তী এলাকা হলো ‘আযরাক’। সেখান থেকে সিরিয়ার সীমানা শুরু হয়। তারপর প্রথম শহর হলো বসরা।

বসরা এখান থেকে কতো দূরে তা আমি যাচাই করতে পারিনি। তবে এ কথা স্পষ্ট যে, এর দূরত্ব ছয় মাইলের অধিক। তবে বসরা যেহেতু সে সময় অনেক বড়ো শহর ছিলো, তাই বসরা শব্দটি ঐ শহরের জন্যেই শুধু নয়, বরং তার শহরতলীর বিস্তৃত এলাকার জন্যেও বলা হতো। তার মধ্যে ‘আযরাক’ এবং এ জায়গাটিও অন্তর্ভুক্ত। তারপরও নিম্নোক্ত আলামতগুলো এ আবিষ্কারের পক্ষে পাওয়া যায়।

১. হিজায থেকে সিরিয়া যেতে বানিজ্যিক কাফেলা সে যুগে যে সড়কটি ব্যবহার করতো, এ জায়গাটি তার নিকটে অবস্থিত । ২. এটি উত্তর-পূর্বের সে দিকেই অবস্থিত, যে দিকে অবস্থিত বসরা শহর। ৩. এর মাঝে এবং বসরার মাঝে বড়ো কোন শহর নেই। ‘আযরাক’ ছোট একটি জনপদ। ৪. এতদঅঞ্চলের লোকদের মধ্যে এ কথা ‘তাওয়াতুরে’র পর্যায়ে প্রসিদ্ধ যে, এটি সেই বৃক্ষ, যার নিচে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্রাম করেছিলেন।

৫. এ লতাগুল্মহীন ঊষর মরুপ্রান্তরে এ বৃক্ষটি সজীব থাকা নিশ্চয়ই একটি অসাধারণ ঘটনা। ৬. এ বৃক্ষের নিকটেই এখনো পর্যন্ত একটি পুরাতন গীর্জার ভাগ্নাবশেষ রয়েছে। ৭. শাহযাদা গাযী পুরাতন দলিল-দস্তাবেজে এ জায়গার যে আলামত পেয়েছেন, তা এ আবিষ্কারের সঙ্গে মিলে যায়। ৮. সুদূর বিস্তৃত গাছের শিকড় এর প্রাচীনতার আলামত বহন করে। এ সব কারণে চূড়ান্ত নিশ্চিত হওয়া যায় না ঠিক, তবে জোরালো সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে যে, এটিই সে বৃক্ষ।

আর এ জোরালো সম্ভাবনা একজন প্রেমিকের চোখকে শীতল করার জন্যে যথেষ্ট। সুতরাং আমরা ঐ বৃক্ষ যিয়ারতের সৌভাগ্য লাভ করি। এটি একটি পেস্তা বৃক্ষ। শাহযাদা গাযী বললেন, এতে এখনো পেস্তা ধরে। আমি তা খেয়েছি।

গাছের ছায়া এমনিতেও মনোমুগ্ধকর হয়ে থাকে, কিন্তু কল্পনার চোখ এখানে যে হৃদয়-প্রেমাস্পদকে উদ্ভাসিত দেখতে পায়, তা এ ছায়ার মধ্যে এমন মাধুর্য সৃষ্টি করে, যা অন্য কোথাও হতে পারে না। اللهم صل على سيدنا و مولانا محمد و على أله و اصحابه اجمعين এ বৃক্ষ ও তার পরিবেশে কিছু সময় কাটানোর পর আছরের নামাযের সময় হয়ে যায়। আল্লাহর মেহেরবানীতে এর ছায়াতেই আছরের নামায আদায়ের তাওফীক লাভ হয়। নামায ও দুআর পর আমরা পুনরায় হেলিকপ্টারে করে আম্মানে ফিরে আসি। দ্বিতীয় আবিষ্কারঃ হেরাক্লিয়াসের নিকট রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পত্র মুসলমানদের সিরিয়া বিজয় সম্পর্কে এ পর্যন্ত যেসব কিতাব আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গবেষণামূলক কিতাব সেটি, যা সা¤প্রতিক কালের এক গবেষক আহমাদ আদিল কামাল ‘আত্ তরিক ইলা দামেশক’ নামে লিখেছেন।

১৪০০ হিজরী সনে ‘দারুন নাফাইস’ বৈরুত থেকে প্রথমবার তা প্রকাশিত হয়। এর লেখক একজন সমরবিদ। তিনি অত্যন্ত পরিশ্রম করে ঐতিহাসিক বর্ণনাসমূহকে যাচাই-বাছাই করেছেন। নকশার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। জর্দানের এ সফরেই আমার ইয়ারমুক যুদ্ধের ময়দানে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ হয়।

ময়দানটি আরবাদ শহরের নিকটে জাওলান পাহাড়সারির সম্মুখে অবস্থিত। এবার যেহেতু আমি ঐ কিতাবটি পড়েছিলাম, তাই রণাঙ্গনের চিত্র বুঝতে তার দ্বারা খুব সহযোগিতা পাই। কিতাবটি অধ্যয়নকালে আমি (তার ১৩৮ পৃষ্ঠায়) দেখেছিলাম যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোম সম্রাট হেরাক্লিয়াসের নিকট যে পত্র লিখেছিলেন, তার সে মূলপত্রটি আবিষ্কৃত হয়েছে। তিনি লিখেছেন- এক শাহী খান্দানের আরব মহিলা লন্ডনে বাস করতেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, হেরাক্লিয়াসের নামে লেখা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পত্রটি তার নিকট সংরক্ষিত আছে।

যা বংশানুক্রমে তার খান্দানের মধ্যে চলে আসছে। তিনি এ শর্তে তা উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন যে, কোন মুসলমান শাসক ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি যেন এতে হস্তক্ষেপ না করে। তার এ দাবি শুনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মিসরীয় বংশোদ্ভূত ডঃ ইয্যুদ্দীন সরকার ঐ মহিলার নিকট যান এবং চিঠির মৌলিকত্ব যাচাই করার জন্যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন করেন। যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এটি আসল চিঠি। এর পক্ষে তিনি নিম্নোক্ত প্রমাণসমূহ তুলে ধরেন- ১. চিঠির বক্তব্য আদ্যপান্ত তাই, যা হাদীস ও ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে।

২. বিভিন্ন প্রকারের পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা জানা যায় যে, পত্রটি যে চামড়ায় লেখা হয়েছে, তার শোধন সেই প্রাচীন পদ্ধতিতে করা হয়েছে, যা হিজরী প্রথম শতব্দীতে প্রচলিত ছিলো। চামড়া শোধনের অধিকতর শক্তিশালী পদ্ধতি হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীতে প্রচলিত হয়। যেমন বৃটিশ যাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ দ্বারা তা প্রমাণিত হয়। এই চামড়ার শোধন পদ্ধতি এ রকম নয়। ৩. বেগুনি রশ্মি ফেলে দেখা হলে তার কালি অনেক পুরাতন বলে প্রমাণিত হয়।

তাছাড়া একথাও প্রমাণিত হয় যে, এই চামড়ার উপর এ চিঠির ‘ইবারত’ ছাড়া অন্য কিছু লেখা হয়নি। ৪. কালির উপাদান পৃথক করায় এ কথা প্রমাণিত হয় যে, কালি অত্যন্ত গাঢ়। এখনো তা স্পষ্টভাবে পড়া সম্ভব। এটি সেই কালি, যা সে যুগে অন্যান্য লেখনীতে ব্যবহার হতো। যার অনেক সাক্ষী এখনো বিদ্যমান রয়েছে।

ডঃ যায়েদ এসব গবেষণা চালিয়েছেন। তিনি চামড়া গবেষণা ও তার বিশ্লেষণে বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন যে, এ চামড়ার বয়স কম পক্ষে এক হাজার বছর। (অর্থাৎ, এক হাজার বছরের অধিক হতে পারে, কম নয়। ) ঐ কিতাবের মধ্যে কথাটি পড়েছিলাম ঠিক, কিন্তু আমার জানা ছিলো না যে, এখন চিঠিটি কোথায় এবং কার কাছে রয়েছে।

তবে জর্দানের এ সফরে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদেরকে জর্দানের ঐতিহাসিক নিদর্শনের পরিচয়সম্বলিত একটি পুস্তিকা দেয়া হয়। তাতে লেখা ছিলো যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ পবিত্র চিঠি এখন জর্দান সরকারের নিকট রয়েছে। জর্দান সরকার একটি যাদুঘরে তা সংরক্ষণ করেছেন। আমি চিঠিটি দেখতে আগ্রহী হয়ে শাহযাদা গাযীর নিকট এ বাসনা প্রকাশ করি। কিন্তু তিনি বলেন যে, চিঠিটি এখনো আমরা সাধারণভাবে দেখানোর জন্যে খুলতে পারিনি।

(কারণ, তা সংরক্ষণের জন্যে আরো কিছু কাজ হচ্ছে) এ কারণে এ সফরে তার যিয়ারত সম্ভব হয়নি। তবে এটি গবেষকদের কাজের একটি ময়দান। যখন তা সামনে আসবে, তখন এর সম্পর্কে তারা নিজেদের গবেষণার ফলাফল উম্মতকে অবহিত করবেন। رب العالمين وأخر دعوانا أن الحمد لله  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।