আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

! বাস্তবতা !

প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত বুদ্ধিমত্তা ও বিচার ব্যাবস্থার সঠিক ব্যবহার করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। কিন্তু আমরা কয়জনই বা সেটা করি বলুন? সবার মধ্যেই আল্লাহ্‌ সমান বুদ্ধি প্রদান করেছেন। সমস্যা শুধু পরিবেশের যেখানে আমরা বড় হই। এই পরিবেশ আমাদের মানসিকতা কে যা শেখায় আমরা তাই শিখি। মানুষের সব দিন একরকম যায় না।

কখনও ভাল যায় কখনও খারাপ যায়। সব সময় এই বৃত্তের ছক্রে ছলে সবার জীবন। সারাজিবন কেউ একরকম কাটাতে পারেনা। তবু কেন যে মানুষ অহং কার করে! আমাদের সমাজে প্রায়শই দেখা যায় যে অধিকাংশ ধনি লোক তাদের অর্থ এবং প্রাচুর্য নিয়ে কতই না তামাশা করে! কিন্তু তারা এটা ভুলে যায় যে তারা যে প্রাচুর্যে বসবাস করছে তার সঠিক ব্যাবহার না করলে তাদের ও এসব আরাম আর থাকবে না। কারন জগতে কন কিছুরই কোন ভরসা নেই।

আজ আছে তো কাল নেই। কিন্তু তারপর ও মানুষ তার ক্ষণিকের ওই সম্পদের দম্ভ ত্যাগ করতে পারেনা। তারা পারেনা সকল কে সমান চোখে দেখতে। এটাও আমাদের সমাজের দোষ। যদিও প্রিথিবির কোন সমাজই এই নিয়মের বহির্ভূত নয়! কিন্তু সব কিছুর পরেও যার কিছুই নেই, যদিও কিছুই নেই বললে ভুল হবে, যার খুব সামান্য আসে তাদের কে ছোট করে দেখার কিংবা অপমান করার কোন অধিকার নেই ঐসব অলস অহঙ্কারি লোকের।

কারন তাদের বর্তমান সম্পদের কোন নিশ্চয়তা নেই যে তা চিরস্থায়ী। অবশ্যই আমি তাদের খারাপ কামনা করছি না, আমি শুধুই তাদের ব্যাবহার এর কাঠামো বদলাতে অনুরধ করছি। তারা যেন অন্তত একবার হলেও ভেবে দেখে জ তাদের সাথেও এমন হতে পারে। আবার আমাদের সমাজের কিছু সমালোচক আছেন যারা শুধু অন্যের ভুল এবং চরিত্র সম্পরকে কটূক্তিই করতে জানেন অথচ নিজেরা হাজার ভুল বয়ে বেড়ান। আমি তাদের মধ্যে পড়তে চাই না।

অন্যের ভুল ধরার আগে সবারই উচিত নিজের ভুল গুলোকে পুষ্টি দান করা। অন্নের চরিত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি কম করে আগে আমাদের নিজের জায়গায় নিজেকে ঠিক রাখা জরুরি। প্রত্তেকেই যদি তার নিজ দায়িত্ব ঠিকমত পালন করেন তবে হয়ত একটা আদর্শ পৃথিবী উপহার দিতে পারব আমরা আমাদের আগামী প্রজন্ম কে। তবে দুঃখের বিষয় হল নিজের ভুল বুঝতে পারে এমন লোকের খুব অভাব এই পৃথিবীতে। আর নিজের স্বভাব ঠিক করার ক্ষমতা তো আরও কম মানুষেরই আছে।

সমাজে সমালোচক তো অনেক পাওয়া যাবে তবে তাদের মধ্যে খুব কমি আছে যারা সমালচনার সাথে সাথে তা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন। সমালচনা করা যতটা সহজ তার সমাধান করা তেমনই কঠিন। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।