বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত .. আমি সেই দিন হব শান্ত .... বিশ্বমন্দার এত বৈরি পরিবেশেও দেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধি (GDP) সন্তোষজনক। - বিশ্বব্যাঙ্ক ও আইএমএফ প্রতিবেদন।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ব ব্যাংক কার্যালয়ে বাংলদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক জনাকির্ন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আইএমএফ যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করেছে তাতে প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে বিশ্বের ১৫০টি সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারও মোটামুটি স্থিতিশীল।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহের গতি খুবই ভাল। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন, রফতানি আয়ও সন্তোষজনক, কর্মসংস্থান বেড়েছে (ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে) রাজস্ব আদায় পরিস্থিতিও ভাল।
“এ সব তথ্যে প্রতীয়মান হয় যে, ইদানিং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আর এ কারণেই বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা সঙ্কটের মধ্যেও ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিকে বিশ্ব ব্যাংক ‘স্বাস্থ্যকর’ প্রবৃদ্ধি মনে করছে।
বিশ্ব ব্যাংক মনে করে গত কয়েক বছরের ভালো প্রবৃদ্ধির ধারা চলতি অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে। ”
এর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৬ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয় বাংলাদেশের জন্য।
গত বছর বিশ্বব্যাঙ্ক ৬ শতাংশের কম হবে বলে পুর্বাভাস দিয়েছিল কিন্তু
গত ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল।
এবছরের প্রবৃদ্ধির টার্গেট ছিল ৭.২
কিন্তু বিশ্বব্যাঙ্ক মনে করে বাংলাদেশের সক্ষমতা থাকলেও ইউরো জোনের অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং বিশ্বমন্দার কারনে এতটা হয়তো সম্ভব হবেনা।
গ্যাস সঙ্কট পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে সতর্ক করে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ বলেন, “আমাদের কাছে (বিশ্ব ব্যাংক) তথ্য আছে, ৪০ থেকে ৪২টি নতুন কারখানা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বসে আছে।
এমনকি অর্ডারও নিয়েছে। কিন্তু গ্যাস সঙ্কটের কারণে উৎপাদনে যেতে পারছে না। ”
এসব কারখানা উৎপাদনে গেলে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ত বলেও মন্তব্য করেন। বিদ্যুত উত্পাদন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর পরও সংকট কাটেনি বিভিন্ন সমস্যার কারনে। অনেক বিদ্যুতকেন্দ্র গ্যাস সঙ্কটের কারনে চালু করা জাচ্ছে না।
যোগাযোগ ও রেল যোগাযোগ অবকাঠামোর কোন দৃশ্বমান উন্নতি নেই। অতি গুরুত্বপুর্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এখনো জানজট লেগে থাকে, এর বিকল্প রাস্তাও নেই
অভ্যন্তরীণ এই সমস্যাগুলোর সমাধান হলে ৭/৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হত। ”
এ সামান্য পজেটিভ খবর শুনে গত মধ্যরাতের টক শোতে আফিফ নজরুল, পিয়াস করিমদের পিত্তি জলে গেছে। আসিফ মিয়া তো প্রকাশ্যেই বলে ফেললেন (বাংলাভিশন) \"এসব উন্নতিতে সরকারের কোন কন্ট্রিবিউশন নাই\"
সুত্র- বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজ২৪ ও বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন এডিশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।