বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে অ্যামেজিং স্পাইডারম্যান থ্রিডি দেখলাম। সিনেমার কাহিনী হিসাব করলে গতবাধা হলিউডি সুপারহিরো মুভি। তবে থ্রি ডি তে দেখায় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে; যার অনুভুতি ব্যখ্যা করা কঠিন।
আমার কাছে থ্রিডির বড় বৈশিষ্ট হল- আগে সিনেমা দেখার সময় কেবল পর্দার উপর নীচ বা ডান বামে খেয়াল করতাম। কিন্তু থ্রিডিতে পর্দার সামনে ও পেছনে বলতে আলাদা একটা জিনিসের অস্তিত্ব টের পেলাম।
মানে আগে যেই জিনিসের অস্তিত্ব আমরা টের পেতাম কিন্তু দেখতাম না। থ্রিডিতে সেগুলোও দেখা গেল। কখনো কখনো মনে হল- আগে দেখতাম একটা পর্দা, আর এখন দেখলাম একটা মঞ্চ, যেখানে খুব দ্রুতই দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে। ঘটনাপটে কে সামনে কে পেছনে, তা পরিষ্কার বুঝা গেল। আবার পর্দাটা কখনো এক জায়গায় স্থির থাকলো না।
চোখের একেবারে সামনে চলে আসল, আবার আগের জায়গায় ফিরে গেল।
আমার কাছে মনে হয়েছে সাই-ফাই সিনেমায় হলোগ্রাফিকের ব্যবহারে সিনেমার চরিত্রগুলো যে আবহ পায়। আমরা থ্রিডি সিনেমার দর্শকরা সেই অনুভুতি পাই। কয়েকটা দৃশ্যকে মনে হল আমি মাত্র ২ ফিট দূরত্ব থেকে দেখছি। কখনো কখনো মনে হল, পর্দা থেকে বেরিয়ে হলের মাঝখানে এসে লাফাচ্ছে স্পাইডারম্যান।
কখনো তার পয়েন্ট অব ভিউ আসলে আমাদেরই।
প্রথম থ্রিডি দেখার সৌভাগ্য হয়বছর খানেক আগে বসুন্ধরা সিটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে সনির থ্রিডি টিভিতে। তখনই থ্রিডির প্রতি দুর্বলতা তৈরি। সনির টিভিতে দেখেছিলাম একটা অ্যানিমেটেড মুভির ক্লিপ। এটা বলার কারন অ্যানিমেটেড মুভি আর নন অ্যানিমেটেড মুভি তুলনা করে আমার কাছে মনে হচ্ছে অ্যানিমেটেড মুভিই থ্রিডিতে দেখতে মজা বেশি হবে।
যাই হোক এক কথায় অনুভুতি বলে বিদায় নিচ্ছি- আগে সিনেমা দেখলে ভয়ের অনুভুতি হত, আসলে ভয় পেতাম না। আর থিড্রিতে কিছু দৃশ্য দেখে সত্যি সত্যি ভয় পেয়েছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।