আমি মানুষ হতে চাই। (স্বাস্থ্যবতী/মোটু আপুরা আপনাদের আঘাত করার জন্য এই লেখা নয় বরং আপনাদের পক্ষে যুক্তি সহকারে লেখা। )
আমরা বাংলা সিনেমার নায়িকাদের সমালোচনা করি আর উপহাস করে তাদের আখ্যা দেই মোটা/ মুটকি / আটার বস্তা / ময়দার বস্তা ইত্যাদি ইত্যাদি । এই শব্দগুলো উচ্চারন করতে অনেকে আবার কিছুটা বিকৃত সুখও পাই।
আমরা আফসোস করি “আহা! ইন্ডিয়ান/হলিউডের নায়িকারা কত্ত স্লিম , হট ! হায় ডিপিকা/কারিনা/আনুশকা/জোলি/ক্রিসটেন/পেনেলোপ/নাটালি/এমা ঈশ কি যে স্লিম!!!
যারা এই কথাবলি তারা নিজেদেরকে রূচিবান,এলিট বলে মনে করি।
ধরুন আপনি হিপহপ গান পছন্দ করেন না তাহলে কি আপনি ঐ জাতীয় গান মোবাইলে/আইপড এ সাথে নিয়ে ঘুরবেন বা ল্যাপটপ/পিসিতে রাখবেন? নিশ্চয়ই রাখবেন না, তাই না।
আবার ধরুন আপনি বাড়ির মালিক(ব্যাচেলর ফোবিয়া আছে) আর ভাড়াপ্রার্থী ব্যাচেলর । তাহলে নিশ্চয়ই বাসাভাড়া দিবেন না, তাই না।
কিংবা আপনি খারাপ চেহারাওয়ালা কালো মেয়ে/ছেলে অপছন্দ করেন ,তাহলে কি তাকে বিয়ে করবেন?নিশ্চয়ই না, তাই না।
আপনার চারপাশে একবার তাকান দেখবেন মোটু মেয়েদের সংখ্যা মোটেই কম নয়।
৮০% বাংলাদেশী মেয়ে বিয়ের ২/৩ বছরের মধ্যে দেশি নায়িকাদের মত বা তাদের থেকে বেশি মোটা হয়ে যা্য,৫/৬ বছর পর কি হয় তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। দেশি নায়িকারা আবার খুব বেমানান বড় পেটওয়ালা কমই হয় কিন্তু দেশি বিবাহিত মেয়েরা বেশিরভাগই এমন।
তাহলে জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রুচিবানেরা আটার বস্তার মত বউ থাকার পরও কেন দেশি নায়িকাদের শরীর নিয়ে মস্করা করেন??????????
স্বাস্থ্যবতী বউ নিয়ে সংসার করা যায় আর নায়িকারা স্বাস্থ্যবতী হলে গায়ে আগুন লাগে????
বিদ্রঃএক ছোট ভাই মোটা মেয়ে পছন্দ বলে তার বন্ধুরা নাকি তাকে ভীষণ জব্দ করেছে ,তাই মেজাজটা খারাপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।