আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিনমুখ পিলার যেখানে বাংলাদেশ,ভারত ও মায়ানমারের সিমানা গিয়ে মিশেছে।

গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী ত্রিদেশীয় সীমান্ত তিনমুখ গুগল ম্যাপে দেখুন] খাগড়াছড়ি থেকে বান্দরবান, তারপর রুমা বাজার। বাজারের একটি হোটেলের খাবার টেবিলে পরিচয় হয় দুজন ত্রিপুরা আদিবাসীর সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারি তিনমুখের কথা। সেখানে একটি সীমানা খুঁটি আছে, যার গায়ে বাংলাদেশ, ভারত ও বার্মা লেখা। বিষয়টি শুনে আমার জানার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল।

তাদের কাছে জায়গাটির বর্ণনা জানতে চাইলে তারাই যা জানালো, আমি সেখানে যাইনি। সেখানে গিয়ে কী করবো। সেখানে তো কিছু নাই। ভারত থেকে বিএসএফ আসে ওখানে। কোনো টুরিস্ট সেখানে গিয়েছে কি না জানতে চাইলে সে জানায়, ঢাকা থেকে রুবেল ভাই এসেছিল আমাদের পাড়ায়।

আমাদের পাড়ার কয়েকজনকে নিয়ে সীমানা পিলার দেখতে যায়। ছবি তোলে। রুবেল ভাইয়ের অনেক সাহস। ভয় পায় না। ঢাকার রুবেল ভাই নামটি শুনে মনে মনে ভাবলাম এই রুবেল ভাই ঢাকার নেচার অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ওয়াদুদ মহসিন রুবেল নাতো? রুমা বাজারের কেওক্রাডাং হোটেলে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেল।

তার সঙ্গে কথা বলে তিনমুখ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় তা হলো_ তিনমুখ পিলারটি মূলত রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমার সীমানায় অবস্থিত। এই তিনকোণা পিলারটির তিনদিকে বাংলাদেশ, ভারত ও বার্মা লেখা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সীমানা পিলার যা তিন দেশের সীমানা নির্ধারণ করেছে। যদিও এটি রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত, তবুও এখানে বান্দরবান জেলার রুমা হয়ে যাওয়াটাই তুলনামূলকভাবে সহজ। ২০০৭ সালের ২ জানুয়ারি নেচার অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব থেকে আব্দুল হক, শশাঙ্ক শাহা, শহীদুল্লাহ ও ওয়াদুদ মহসিন রুবেল যাত্রা করেন তিনমুখ পিলারটির উদ্দেশে।

পথে একাধিকবার সমস্যায় পড়লেও আমরা পিছপা হইনি। বরং বেশ কিছু পাহাড়ি গ্রামে যেতে হয়েছে যেখানে পূর্বে কোনো টুরিস্টের সমাগম ঘটেনি। কোনো পাড়ার লোকজনই তিনমুখ পিলারটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে আমরা তিন হাজার ফিট উঁচু লুকুহ পাহাড় অতিক্রম করে আসি। এ পাহাড়টির চূড়ায় দাঁড়িয়ে আমরা প্রথমবারের মতো দেখতে পাই বাংলাদেশে সবচাইতে উঁচু পাহার 'সাকা হাফং'।

তার পর পথচলি তিনমুখ পিলারটির সন্ধানে। এ পর্যায়ে তিনমুখ পিলারটির সম্পর্কে তথ্য পেয়ে ছুটে যাই বি-ক্রেসফাই নামক একটি খুমি-পাড়ায়। এ পাড়ার কারবারি পরদিন সকালে আমাদের নিয়ে যায় একটি সীমানা পিলারে। আমরা সীমানা পিলারটিতে পেঁৗছে বুঝতে পারি, এটি তিনমুখ সীমানা পিলার নয়। পরে আমার বেরিয়ে পড়ি তিনমুখ পিলারটির সন্ধানে।

ততদিন বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে যায়। এমন সময় ত্রিপুরা এক লোকের মুখে জানতে পারি তিনমুখ পিলারটির অবস্থানের কথা। ছুটে চলি তার দেখানো পথে। অবশেষে পেঁৗছে যাই ধুপ্পানিছড়া পাড়ায়। এ পাড়ায় কারবারি সাদিজন ত্রিপুরা আমাদের জানান, এ পাড়া থেকেই যেতে হয় তিনমুখ পিলারটিতে।

এ পাড়ার জনা ত্রিপুরা আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় তিনমুখ পিলারটিতে। তিনমুখ পিলারের জায়গাটি অনেকটা ইংরেজি ডবিস্নউ অক্ষরের মতো। ডবিস্নউর মাখখানের অংশে তিনমুখ পিলারের অবস্থান। আর দুপাশে লাইস্রা হাফং ও হাক্সে হাফং নামক দুটি পাহার। তিনমুখ থেকে খাড়া নেমে গেলেই ভারত ও মিয়ানমার।

গুগল ম্যাপে দেখুন  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।