আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

✔✔স্বামীকে মুক্ত করতে নয়, জিন্সের প্যান্ট-টপস আর কয়েকটি মেমোরি কার্ডের জন্য......

যখন দেখি চাওয়া পাওয়া শূন্যতে মিলায় তখন আমি এই শহরে কষ্টে বেঁচে খাই ১৭ মাস বয়সী পুত্রকে বিক্রি করে দিয়েছেন জন্মদাত্রী মা মোবাইল ফোন, জিন্সের প্যান্ট-টপস আর কয়েকটি মেমোরি কার্ডের জন্য নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন জন্মদাত্রী মা। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের ওড়িষ্যা রাজ্যে। ওইসব ‘দরকারি বস্তু’র জন্য প্রয়োজনীয় ৫ হাজার রুপির বিনিময়ে মা রাখী নাড়িছেড়া ধন ১৭ মাস বয়সী পুত্রকে তুলে দেন অন্যের হাতে। এ ঘটনায় উচ্চ আদালত রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে শিশুটিকে খুঁজে বের করে সমাজ সেবা দফতরে হস্তান্তর করার জন্য। এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় আদালত জানায়, সন্তানের দেখভাল করার যোগ্যতা ওই মায়ের নেই এটা প্রমাণ হয়েছে।

খবর পিটিআই'র। তাই শিশুটিকে সমাজ সেবা’র দায়িত্বে দেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, ওড়িষ্যার জজপুর জেলার মুণ্ডমালা গ্রামের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী ওই মায়ের নাম রাখী পাত্র। পুলিশ প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে উদ্ধার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তিনি নিজের অপরাধের দায় স্বীকার করে জানান, ছেলেকে তিনি ফিরিয়ে নিতে চান না।

তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমদিকে মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছিল, শিশুটির বাবা মনোজ পাত্র একটি চুরির বিচারাধীন মামলায় গ্রেফতার হয়ে গত জুলাইয়ের ২ তারিখ থেকে কারাবন্দি। স্বামীকে জেলমুক্ত করার জন্যই রাখী এই নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নেন। অপরদিকে নাতীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে— খবর জানার পর রাখীর শাশুড়ি কণকলতা পাত্র থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টি মিডিয়ায় তোলপাড় তুললে হাইকোর্ট এ ঘটনাকে এখতিয়ারে এনে শিশুটিকে উদ্ধার ও প্রকৃত ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয় পুলিশকে। এরপর জজপুরের এসপি দীপক কুমার ঘটনা তদন্তের সূত্রে আদালতকে জানান, রাখী স্বামীকে মুক্ত করার জন্য সন্তানকে বিক্রি করেননি।

কারণ তাহলে সেই টাকায় জিন্সের প্যান্ট, মোবাইল আর মেমোরিকার্ড কিনতেন না তিনি। রাখীর কেনা মোবাইল ফোন, পোশাক আর মেমোরিকার্ড আদালতে উপস্থাপনকালে এসপি দীপক আরও জানান, রাখী তার কাছে স্বীকার করেছেন যে সন্তান বিক্রি করা টাকায় তিনি এসব জিনিস কিনেছেন। তবে ঘটনা জানাজানির প্রথমদিকে মিডিয়ায় প্রচার করা হয়, স্বামী-স্ত্রী রাখী আর মনোজ দু’জনই দিনমজুরি করে সংসার চালান। একপর্যায়ে চুরির দায়ে মনোজকে যেতে হয় জেলে। এরপর রাখী সন্তান বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।

রাখী তখন বলেন, হ্যাঁ, স্বামীকে জেল থেকে ছাড়াতে টাকার প্রয়োজন পড়ায় আমি ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু পরে জানা যায় ভিন্ন ঘটনা। ✔✔Odisha Woman Sells 17-Month-Old Son to Buy Mobile and Jeans "Rakhi Patra of Mundamala village who sold her 17 month-old son for Rs 5,000 purchased a new mobile phone, a pair of jeans, few new tops (to go with the jeans) and memory cards for her mobile with the money," A 22-year-old mother in Odisha's Jajpur district has allegedly sold her 17-month-old son for Rs 5000 last month to meet legal expenses of her imprisoned husband. After investigating the matter police revealed on Wednesday that the mother, Rakhi Patra from Mundamala village, used the money to buy a phone and a pair of jeans. The investigation into the sale of the toddler was carried out after a division bench of Orissa High Court took suo moto notice of media reports and ordered the police to recover the baby and hand him over to his mother. "Rakhi Patra of Mundamala village who sold her 17 month-old son for Rs 5,000 purchased a new mobile phone, a pair of jeans, few new tops (to go with the jeans) and memory cards for her mobile with the money," Press Trust of India quoted Jajpur superintendent of police Deepak Kumar as saying. In Septemeber, there were reports that Rakhi sold her baby boy to Babuli Behera and his wife from Gurujanga village near Tangi, Cuttack. Dharanidhar Mallick, a rickshaw puller, mediated in the sale of the child, OIC (Japur Road police station) Ashwini Kumar Sahoo said. After selling the infant, Rakhi paid Rs 500 to the lawyer to get her husband released from the jail. She used the remaining money to buy a shirt and a pant for her husband, as well as a mobile phone for herself to keep in touch with him , according to police. Kanak Patra, Rakhi's mother-in-law, had earlier filed an FIR at Jajpur Road police station stating that her daughter-in-law sold her grandson in Cuttack. "I was forced to sell my son as I need Rs 5,000 to release my husband from jail," Rakhi told TOI Superintendent of police Deepak Kumar rejected Rakhi's claim and said that the new purchase of a mobile and jeans served as evidence of the fact that she did not sell her son due to poverty. Kumar said the mother later confessed to police that she brought all the things from the money she got after selling her baby, adding that the items were later seized from her. On Tuesday evening, police handed over the baby to Rakhi, who is now living in a state-run stay home in Jajpur. Rakhi and her husband, Manoj Patra, were working as a daily wage labourers near the industrial hub at Kalinganagar in Jajpur district. Police arrested Manoj two months ago in a theft case.  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.