স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে নির্যাতনকারী স্বামী পরমাননকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করেছে ভারতের তামিল রাজ্যের এক নারী। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটানোর পর ২১ বছর বয়সী পারভীনা নামের ওই নারী নিজেই রক্তমাখা অস্ত্রসহ স্থানীয় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ বলেছে, নিহত এস পরিমানন অটোরিকশা চালক ছিল। গত কয়েক বছর ধরে সে সমাজবিরোধী নানা কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছিল। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, হত্যা, ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা ছিল।
জেলার বিভিন্ন থানাতে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
পরমানন এর আগে মথুমারি নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিল। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। সে মথুমারির সঙ্গে থাকার পরেও পারভীনাকে বিয়ে করে। তাদেরও একটি সন্তান রয়েছে।
মথুমারি ও পারভীনা দুজনেই পরিমাননের সমাজবিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে নাখোশ ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। পুলিশ প্রায়ই তার খোঁজে বাড়িতে তল্লাশি চালাতো।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে প্রায়ই পরিমানন স্ত্রীদের মারধর করতো। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে দুই স্ত্রীই বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিল।
শুক্রবার রাতে পারভীনাদের বাড়িতে গিয়ে মদ খাওয়ার টাকার জন্য পরিমানন ঝগড়া করতে শুরু করে। ক্ষুব্ধ পারভীনা তাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। কিন্তু পরিমানন গালমন্দ অব্যাহত রাখায় পারভীনা তার মুখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারে। এরপর পরভীনা তাকে জবাই করে। আত্মসমর্পণ করার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।