আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এতো শোকের মাঝে ও আমি আজ কিছুটা পরিতৃপ্ত

আজ এতো শোকের মাঝেও কিছুটা পরিতৃপ্তি পাচ্ছি কারন আজন্ম শুনে আসা ঘরকুনো ভেতো বাঙালী আজ কিছুটা হলেও মানবতাবোধ শিখেছে। না আমি সরকার,বিরোধীদল বা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের কথা বলছি না আমি আমার মত আমবাঙালিদের কথা বলছি। প্রথমেই ওই সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের কথা বলি যারা একবেলা রিকশা না চালালে বা কাজে না গেলে হয়তো পরেরদিন ভাত জুটবে না কিন্তু তার পরেও জীবনের ঝুকি নিয়ে ইট বালি আর ধ্বংস স্তুপ সরাতে ব্যস্ত,যদি কোন একজনকে জীবন্ত উদ্ধার করা যায়। না ওরা প্রশংসার ফুলঝুরি ,ভোট কিম্বা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসে নি ওরা এসেছে মানবিক চেতনাবোধ থেকে। সাভার থেকে জাহাঙ্গীরনগর খুব বেশী পথ না তবে কয়েক কিলোতো হবে,পায়ে হেটে তরূনরা রানা প্লাজা ও এর আশেপাশের ক্লিনিকগুলোতে গেছে নিজেদের গায়ের রক্ত দিতে ,যদি তাতে কিছু প্রান অন্তত বেচে যায়।

এবার আসি হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের ব্যাপারে,সাভারের একটা হাসপাতালে নেগেটিভ একটা গ্রুপের রক্তের দরকার জানাল একজন রক্তসংগ্রাহক সাথে সাথে শখানেক হেফাজতকর্মী হাজির সেখানে রক্ত দেওয়ার জন্য। আসলে ধর্মীয় চেতনা মানবতাবোধকে আর বেশী জাগিয়ে তোলে তা আরো একবার প্রতিফলিত হলো। এবার আশি গণজাগরন মন্ঞ্চের কথায়,বিভিন্ন স্থানে গনজাগরণ মন্ঞ্চের উদ্যোগে যে রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় । আসলে মানুষের বিপদে পাশে দাড়ানোই তো প্রকৃত স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীদের প্রধান বৈশিশ্ঠ হওয়া উচিত। হেফাজতে ইসলাম বলি আর গনজাগরণ মন্ঞ্চ বলি তারা সবাই কিন্তু মানবতার খাতিরে অভিন্ন ,একই ভাবে আমাদের বড় বড় শ্রদ্ধেয় নেতারা আর গুনীজনেরা যদি নিজেদের সার্থে গলাবাজি না করে মানবতার সার্থে অভিন্ন হতেন তাহলে হয়তো তাজরীন ফ্যাশন বা রানা প্লাজা ট্রাজেডি দেখে অশুসজল স্বজন আর সন্তানহারা মায়ের আহাজারি শুনতে হতো না।

আস্তে আস্তে পুরো বাংলাদেশ জেগে উঠছে এখনই সময় ঘুম ভাঙার,এখনই সময় শুধরে নেওয়ার । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।