বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণেই আদালতে মামলাজট তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারপ্রার্থী জনগণের অর্থ ও সময় বেশি খরচ হয়। এসব কারণে জনগণও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আসতে ভয় পায়। ’
দেওয়ানি কার্যবিধি (সংশোধন) আইন ২০১২ অনুযায়ী বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির বাধ্যতামূলক বিধান প্রয়োগসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় আইনমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শনিবার এই সভার আয়োজন করে আইন ও বিচার বিভাগ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শফিক আহমেদ বলেন, আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআর ব্যবস্থায় দ্রুততার সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব। এ কারণেই বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করে পুরোনো দেওয়ানি কার্যবিধি আইন সংশোধন করা হয়েছে। ছোটখাটো ফৌজদারি বিরোধও এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধান রেখে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হলে জনগণ আদালতমুখী হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এডিআর ব্যবস্থাপনায় বিবদমান পক্ষগুলোর সম্মতিতে মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় বিরোধ নিষ্পত্তি হয়।
এর ফলে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে, যা সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ২৪ লাখ ৫৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। এডিআরের মাধ্যমে বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তি হলে মামলাজট কমবে। এডিআরের প্রতি জনগণকে আগ্রহী করে তুলতে তিনি বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্থগিতাদেশের কারণে নিম্ন আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বিত্তশালীরা উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলার স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন।
আর এই স্থগিতাদেশের কারণে নিম্ন আদালতে অনেক মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ স্থগিতাদেশের প্রবণতা দূর করতে হবে।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মজিদ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু আহমেদ জমাদার। সাংসদ রাশেদ খান মেনন ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক প্রমুখ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় কর্মরত বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি ও আইনজীবীরা মতবিনিময়ে অংশ নেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।