ছবি নেই একটি হাস্যকর দাবি!!! যে ভিক্কুরা মিয়ানমারে মুসলিম নিধন চালাচ্ছে বিশ্ব মানবতাকে উপেক্ষা করে সেই একই ভিক্কুরা বাংলাদেশে বৌদ্ধদের হামলার ক্ষতিপূরণ দাবি করছে!!!! তবে হা বাংলাদেশে সকল ধর্মালম্ভীদের ধর্মপালন সহ সকল জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া সরকার সহ আমাদের সকলের ঈমানি দ্বয়িত্ব।
মিয়ানমারে চলমান মুসলিম-বিরোধী ততপরতার ধারাবাহিকতায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো মুসলিম আধ্যুষিত আকিয়াব (সিটওয়া) শহরে দু’ঘন্টার হরতাল কার্যকর করেছে সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠন- রাক্ষাইন ন্যাশনাল পার্টি (আরএনপি)। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হরতাল চলাকালে মুসলিম নাগরিকরা তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখেন ও সতর্কতার সাথে চলাফেরা করেন।
হরতালকারীরা মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিল, আকিয়াবে ওআইসি’র কার্যক্রম বন্ধ এবং বাংলাদেশে বৌদ্ধদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। এর আগে গতকাল মুসলিম অধ্যুষিত আকিয়াব শহরে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ডাকে ৩ ঘন্টা হরতাল পালিত হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে চার মাস আগে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা শুরু হলে সেদেশের সেনাবাহিনী আরএনপি’র সামরিক শাখা আরাকান আর্মিদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এবং মুসলিম নিধনে উৎসাহ যোগায় । একই সঙ্গে বাংলাদেশ যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহানুভুতি না দেখায় সেজন্য চাপ সৃষ্টির কৌশল নেয় মিয়ানমারের সেনা সরকার ।
এদিকে আজো সীমান্ত শহর মঙডু থেকে ৩৫ মাইল উত্তরে লালঘাটি বলে পরিচিত ফকিরাবাজার আর্মি ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী আসমপাড়া থেকে মুসলিম নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে ।
গতরাতে ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক মো. হারুনকে (২৭) নাসাকা কমান্ডাররা ধরে নিয়ে গেছে । গ্রামের মধ্যে সবচেয়ে বেশী শিক্ষিত (গ্রাজুয়েট) এ ব্যক্তিকে একমাস আগে সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে যায় এবং ৭০ হাজার কিয়াট ( মিয়ানমার মূদ্রা) মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয় ।
অন্য এক ঘটনায়, আজ সকালে ফকিরাবাজার ক্যাম্পের কমান্ডার স্যু সু তার দলবল নিয়ে আসমপাড়ায় আবুল হোসেনের (৪৭) বাড়ীতে তল্লাসি চালায় । বাড়িতে মোবাইল ফোন রাখার আভিযোগ প্রায় একঘন্টা ধরে তল্লাসি চালিয়েও কিছু না পেয়ে সৈন্যরা আবুল হেসেন ও তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। # ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।