আরবি ভাষায় সুপণ্ডিত থাকা সত্ত্বেও সালাতের সময় ইমাম আবু হানিফা নিজের আপন মাতৃ ভাষায় কোরআনের অনুবাদ ব্যবহার করতেন। ইমাম আবু হানিফা জীবনীগ্রন্থ পড়লে তার বিস্তারিত তর্থ্য পাওয়া যায়। তিনাকে এ বিষয় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সালাত পালনের সময় বাক্যের অর্থের চেয়ে ব্যাকরণের দিকে তার খেয়াল চলে যেত বেশী। তিনি ফতোয়া দিয়েছিলেন যে, নামাজ নিজের মাতৃভাষায় পড়া হলে সে নামাজ পড়া জায়েজ হবে। আরবি কোরআনের পরিবর্তে কোরআনের অনুবাদ পড়লেও নামাজ সিদ্ধ হবে। এমনকি তকবিরে তাহরীমা নিজ ভাষায় বললেও নামাজের ত্রুটি হবে না। এতে দেখা যায় যে ইমাম আবু হানিফা কোরআনের নির্দেশ অনুসরণ করেই উক্ত ফতোয়া দিয়েছিলেন। আপনাদের অভিমত কি? আপনারা যদি আবু হানিফার এই নির্দেশ না মানেন তাহলে তিনার অন্য নির্দেশ মানা কি যক্তিযুক্ত? আমরা যারা তিনার মাযহাব মানি তাহলে তিনার অন্য নির্দেশ কেন মানবেন না? তথ্যসূত্র: গরিয়ান ফোরকান; আব্দুল জব্বার; ‘কৈফিয়ত’ অধ্যায়,পৃ: ৫।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।