############
আত্মরক্ষাই ধার্মিকদের কর্তব্য
*****
অতিধার্মিক এবং ধর্মদ্রোহীদের মাঝে ঢুকে চিড়েচ্যাপ্টা হবার আত্মঘাতী শখ কিম্বা ঘৃণ্য প্রবণতা ধার্মিকদের জন্যে বেমানান।
ধার্মিকেরা অতিধার্মিকদের দৃষ্টিতে ধর্মহীন। ধার্মিকেরা ধর্মদ্রোহীদের দৃষ্টিতে মহামূর্খ।
ধার্মিকদের দৃষ্টিতে, ধর্মদ্রোহী এবং অতিধার্মিক, উভয়ই, অসুস্থ আবেগাক্রান্ত ফ্যাসাদকামী যুক্তিবাদী মানবসন্তান।
বিশৃঙ্খলাকে, উচ্ছৃঙ্খলতাকে কিম্বা কোনো ধরণের উন্মত্ততাকে নয়, বরং শৃঙ্খলাকে কেন্দ্র করেই টিকে থাকে সভ্যতা।
সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিধানে অত্যাচারী (জুলুমকারী) বা জালিম হওয়াকে শান্তিপূর্ণভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ভালো বা মন্দ, যেকোনো ধরণের অত্যাচারকেই ভদ্র ভাষাতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
নিজেদেরকে স্বেচ্ছাচারী রেখে অন্যদেরকে ধর্মাচারের মধ্যে শৃঙ্খলিতরূপে পাবার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অত্যাচারীরা ধার্মিকের বেশ ধারণ করে। প্রতারকের ধর্মাচারের লোকভুলানো আনুষ্ঠানিকতায় অজ্ঞরা যতই মুগ্ধ হয়, ওতে প্রতারকেরাই আত্মপ্রতারিত হয়। ধার্মিকদের ফুৎকারে প্রতারকদের খোলস যতবার খসে পড়ে, ততবারই উলঙ্গ অত্যাচারী চরিত্রগুলো সমধিক ব্যস্ততায় তাদের খোলস পাল্টায়।
প্রকাশিত এবং চিহ্নিত হবার পরও তাদেরকে সমাজে নিরাপত্তা দিয়ে এতটুকু প্রত্যাশা নিয়েই থাকতে দেওয়া হয় যে, সুশিক্ষা পেলে হয়তোবা ওরাও আচরণে সভ্য সাধারণ ধার্মিকদের মতো হ’য়ে উঠবে।
গণমানুষের সমন্বিত চাওয়া আর চেষ্টার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে সভ্যতা। ব্যক্তি থেকে মানুষে উন্নীত না-হওয়া পর্যন্ত, অতিধার্মিক এবং ধর্মদ্রোহী, উভয়ই মানুষের দয়ায় বেঁচে থাকে। এখানে গণমানুষ ধার্মিক জন্যেই, ধৈর্যধারী এবং সহ্যশীল, পরিণতি ভাবনায় সমৃদ্ধ জ্ঞানে নিত্য চলমান।
নিশ্চয়ই অত্যাচারীরা অস্থির-অশান্ত-বিশ্রামহীন,
--নিজেদের যন্ত্রণার জ্বালা নিয়ে রাত কাটায় তারা।
শান্তিকামীরা শান্তিতেই থাকে।
দিনের নিজের গতিতেই পার হয় দিন।
করণিক : আখতার ২৩৯
রঙ্গপুর : ০২/১০/২০১২খ্রি:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।