জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি মুয়াজ্জিনের সুললিত কন্ঠের সুমধুর আজানের ধ্বনি শুনতে প্রবাসী অনেকেরই মনটা হাহাকার করে উঠে। কিন্তু, করলে কি হবে, অমুসলিম ভূমিতে সরকারগুলো যে তার অনুমতি দেয়নি এতো দিন! তাই, সে আশায় গুড়ে বালি। তবে, এর পরিবর্তন শুরু হলো বলে। অতি সম্প্রতি, সুইডেনের একটি মসজিদ জুম্মার নামাজের সময় আজানের অনুমতি পেয়েছে। মসজিদের মাইক থেকে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যখন স্টোকহোমের আকাশে-বানাসে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো, তখন উপস্থিত অনেক মুসলিমই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। যে ভুমিগুলো থেকে এক সময় মুসলিমদের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্রুসেড চালিত হয়েছিলো, সেইখানেই আজ ইসলামের আহবান প্রকাশ্যে আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে! তাই, আনন্দাশ্রু তো চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে পড়বেই! ধন্যবাদ সুইডিশ সরকারকে তাদের এহেন একটি পদক্ষেপের জন্যে। আবিসিনিয়ার নাজ্জাশী কিংবা রোমান সম্মান হেরাক্লিয়াস যেমন ইসলামের পতাকাতলে না এসেও তাকে সম্মান জানিয়েছিলেন, সুইডিশ সরকার তারই ধারাবাহিকতার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। সেজন্যে আমরা মুসলিমরা তাকে কেন সাধুবাদ জানাবো না? প্রত্যেকটি মুসলিম দেশের পক্ষ থেকে স্থানীয় সুইডিশ এম্বেসীগুলোতে জন-সাধারণের স্বাক্ষরযুক্ত একটি 'ধন্যবাদ পত্র' পাঠানোর ব্যবস্থা কি করা যায় না?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।