আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনে আছে সেই তালের পিঠা আর খেজুর রসের পায়েসের কথা?

ছন্দহীন জীবন বড়ই নীরস গ্রামে গেলে সমবয়সীদের মুখে লোকজ ছড়া শুনতাম, মোল্লাবাড়ির তল্লা বাঁশ ফাটলে করে ঠাস ঠাস মোল্লার বৌ গিন্নি ...দে রান্দে শিন্নি কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম। চার লেনের রাস্তা করতে গিয়ে দেখলাম হাজার হাজার খেজুর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। ফরিদপুরেও এখন নতুন করে তাল গাছ কেউ লাগায় না। আগের মুরুব্বিদের একটা স্বভাব ছিলো, রাস্তার পাশে তাল-খেজুরের বিচি ফেলে রাখতেন। এখন এসব ফালতু কাজ করার সময় কোথায় আমাদের? এবার একটি কিশোরকবিতা। খেজুরপাতার পাটির ওপর সন্ধ্যাবেলা বোনের সাথে পড়ার ফাঁকে ধাঁধার খেলা মায়ের হাতের তালপাখাটা পেছন থেকে বাতাস দিতো ভ্যাপসা তাপে কালবোশেখে বাড়ির পিছের পুকুরপাড়ের মাটির সাথে তালের পাতার ডাঁটের করাত চাচীর হাতে উঠোন মেঝে ঘরের পিঁড়ে সপ্তাশেষে সমান হয়ে লেপন পেয়ে উঠতো হেসে জানলা খুলে খেজুর গাছের ডাঁটের গড়া শিকগুলোকে শক্ত হাতের মুঠোয় ধরা ভাগ্নে নিজের কলধ্বনির তালে তালে নাচতো কেমন বৃষ্টি দেখে বর্ষাকালে ‘ভোরবেলা যে করতি ব্যায়াম আড়ায় ঝোলা সেই আড়াটাও তালগাছেরি; বুঝলি পোলা?’ স্মৃতির রেখা দিলেন জুড়ে আব্বা আবার এখন তো সব তাল-খেজুরের বৃক্ষ সাবাড় তালপুকুরের সেই ছবি দুই চক্ষে ভাসে আর যে ছিলো খেজুরবাগান বাড়ির পাশে শিন্নি রসের গুড়ের পিঠার জোয়ার ফিরে আসুক আবার তাল-খেজুরের গাছের ভিড়ে এখন তালের মৌসুম চলছে। আসুন, তাল গাছ না লাগাতে পারি, অন্তত রাস্তার পাশে বিচি ফেলে রাখি। খেজুরের বেলায়ও একই কথা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।