........ গতরাত পর্যন্ত সাভারের রানা প্লাজা থেকে ৪৩৭টির মত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জেনেছিলাম । সেই ৪৩৭ এখন প্রায় ৫২০ এর দিকে চলে গেছে । অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও এ নিয়ে তেমন কোন স্ট্যাটাস চোখে পড়ল না । একটা লাশ মানে কি শুধুই একটা সংখ্যা নাকি??? মানুষের দেহ নশ্বর ঠিক আছে, তাই বলে এভাবে দালানচাপা পড়ে ৯-১০ দিন ধরে এভাবে বিকৃত হতে থাকবে??? এত বড় একটা গণহত্যা হয়ে গেল অথচ এখনো ঐ কুত্তার বিরুদ্ধে ৫০০র বেশি মানুষ খুন করে ফেলার জন্য কোন মামলা হয়নাই । এই কুত্তার লাল চোখের রাঙ্গানি দেখে যে শ্রমিক ভয়ে ভয়ে কাজে গিয়েছিল পেটের দায়ে সেই পেটে দশদিন খাবার না গেলেও মরার পরে নয়দিন ধরে পেটে ঠিকই গ্যাস জমে ফুলে ফেঁপে উঠেছে, ডিকম্পজিশনের টাইম লাইন অনুসারে ফেটেও গিয়ে থাকতে পারে ।
যে চোখে রানার মত শুয়োরদের হুমকির কারণে ভয় খেলা করত সে চোখ ঠেলে বেরিয়ে এসেছে এইকয়দিনে, এমনকি অনেক অভাগার লাশের লিঙ্গ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না অতিরিক্ত পচনের কারণে । অনেকের স্বজনেরাই হয়ত তাদের কাছের মানুষটির লাশ আর চিনতে পারবেন না । অনেকে বেঁচে থেকেও বিপদে, কারো হাত নেই, কারো পা নেই, কেউ কেউ হারিয়েছেন মানসিক ভারসাম্য । রানারা এখনো হুমকি দেয়, তাদের রাজনৈতিক বাপেরা আইনের উর্ধ্বে থাকে ।
কিছুদিন আগে একটা মুভি দেখেছিলাম- “The Green Mile” নামে ।
সেখানে এক বদ পুলিশ অফিসার তার সাথে পুরানো শত্রুতা আছে এমন এক কয়েদিকে ইলেকট্রিক চেয়ারে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সময় তাকে চেয়ারে বসানোর দায়িত্ব নেয় । আসামীর মাথায় ক্যাপ বসানোর আগে তার নিচে স্পঞ্জ ভিজিয়ে দেয়ার নিয়ম থাকলেও ওই অফিসার স্পঞ্জ শুকনা রেখে দিলে কি হয় তা দেখার জন্য শুকনা স্পঞ্জই কয়েদির মাথায় বসিয়ে ইলেকট্রিক চেয়ারের ক্যাপ বসায় । ফল হয় অতি বীভৎস, কয়েদির দেহ জীবন্ত ফ্রাই হতে থাকে, একপর্যায়ে লাশ বিস্ফোরিত হয় এই সময়টাতে অন্যান্য পুলিশরা ভিলেনটিকে সেদিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করে । তো বলি কি, সাভারের এই শুয়োরটাকে সেভাবে প্রতিটা লাশ উদ্ধার করার সময় লাশগুলার দিকে তাকিয়ে থাকতে ও গলিত লাশগুলোকে কোন ধরণের মাস্ক ছাড়া নিজ হাতে বের করার দায়িত্ব দেয়া হোক । আঞ্জুমানে মফিদুলে পাঠিয়ে প্রতিটা বিকৃত বেওয়ারিশ লাশ গোসল করানোর দায়িত্ব ও তাদের কবর খোঁড়ার দায়িত্ব দেয়া হোক ।
তার তেজ তখন কোথায় যায় তখন সেটা আমরা দেখব ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।