আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বায়োলজিক্যাল শব্দ ছাড়া কি শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব ? -সামুর মডারেটগণ বোধ করি বায়োলজিক্যাল শব্দ পছন্দ করেন না

মাতৃগর্ভে শিশুর প্রথম পদাঘাত মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটা লেখা পোস্ট করি। পরের দিন সামু কর্তৃপক্ষ লেখাটি ব্লগ থেকে উঠিয়ে নেয়। অথচ পাঠকদের কেউ কেউ লেখাটিকে স্টিকি করারও প্রস্তাব রেখেছিল। লেখাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল, টয়লেট ব্যবহারের সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার। মূলতঃ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছিল।

লেখার মধ্যে দু’একটা বাক্য ছিল, যা সব শ্রেণীর পাঠকের কাছে সুন্দর মনে হবে না। তবে যাঁদের জীববিজ্ঞান বা চিকিৎসা শাস্ত্রের ধারনা আছে, তাদের কাছে মোটেও শ্শ্রুতিকটু মনে হবে না। আমি বেসিক্যালি বায়োলজি মানসিকতার মানুষ। বায়োলজিরই শিক্ষক হিসেবেই অনার্স ও এম.এস-সি শ্রেণীতে পাঠদানে অভ্যস্ত। আর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়েই বর্তমানে ডেপুটেশনে গবেষণায় সম্পৃক্ত।

সেজন্য জীবের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের সাথে সংশ্লিষ্ট শব্দগুলো আমার বা আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়। লেখার মধ্যে অনেক সময় পাঠকের অপছন্দনীয় বায়োলজির শব্দ এসে যায়। পাঠকগণ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। জানি সামুতে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠক আছেন। তাঁদের কথা আমার স্মরণ রাখা উচিত।

তারপরেও বলব আমার সেই লেখায় এমন কোন অসভ্য শব্দ ব্যবহার করি নাই যে লেখাটি ওয়েবসাইট থেকে উঠিয়ে নিতে হবে। সামুতে আমার লেখালেখির বয়স ২ বছর ১ মাস। মোট লেখা দিয়েছি ৬৩টি। সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ দিনে ৮টি লেখা পোস্ট করেছি। সবগুলো লেখাই মানুষের জীবনঘনিষ্ট।

তার পরেও সেই লেখার জন্য সামু আমাকে দুইটি শাস্তি দিল। এক : লেখা প্রকাশের পরের দিন লেখাটি উঠিয়ে নিয়েছে, দুই : লেখক হিসেবে আমার গ্রেড অবনমিত করেছে। ছিলাম নিরাপদ শ্রেণীতে। অবনমিত করেছে সাধারণ শ্রেণীতে। ব্যাপারটি দেখে মনে দারুণ কষ্ট অনুভব করেছি।

সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সামুতে আর কখনো লেখব না। জানি আমার মতো হাজারো লেখক না লেখলে হয়ত সামুর কিছুই হবে না। কিন্তু এমন একটা ব্লগে লিখে নিজের মনের সৃষ্টিশীলতাকে গলা টিপে হত্যা করতে চাই না। সামু আমার লেখক মনের যে ক্ষতি করেছে-তা থেকে নিজেকে উদ্ধার করতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না ! সেই থেকে আর কোন লেখা পোস্ট করিনি। একদিন দেখলাম সামু নিজের থেকেই আমার গ্রেড ফিরিয়ে দিয়েছে।

আবার আমাকে লেখক হিসেবে নিরাপদ শ্রেণীতে রেখে সম্মানিত করেছে। ধন্যবাদ সেজন্য। কিন্তু আমার সেই লেখাটি ওয়েবসাইটে আর ফিরিয়ে দেয়নি। তাই সামুর কাছে আমার বিনীত আবেদন-সামু যেন আমাকে এই ওয়েবসাইট থেকে একেবারে বাতিল করে দেয় অথবা আমার সেই লেখা আবার ফিরিয়ে দেয়। প্রিয় পাঠক সেই লেখাটি যদি পড়তে চান তবে এই ঠিকানায় আমাকে ই-মেইল করুন।

পাঠিয়ে দেব আপনার ঠিকানায়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।