এক সুন্দরী তরুণী পঞ্চাশ তলা উঁচু এক ভবনের ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গেল।
পড়তে পড়তে দশ তলা পার হয়ে সে যখন ঠিক চল্লিশ তলা পর্যন্ত আসল তখন এক বৃটিশ ভদ্রলোক বারান্দা থেকে হাত বাড়িয়ে তাকে ধরে ফেলল। এভাবে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় মেয়েটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করেই বাংলা সিনেমার ডায়লগের মতো গড় গড় করে বলল
: আপনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন; কাজেই আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনার ঋণ শোধ করার জন্য আপনি যা চাইবেন আমি তাই দিব। বলুন আপনি কি চান?
বৃটিশ দেখল এ যেন না চাইতেই একেবারে মধু।
কাজেই সে সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে বলল,
: আমি বেশি কিছু চাই না - শুধু তোমাকে চাই।
বৃটিশের এ অন্যায় আবদার শুনে বিন্দুমাত্র চিন্তা-ভাবনা না করে তরুণী বলল
: শয়তান, ইতর, বদমাশ, জানোয়ার! ভেবেছিস এত সহজ? আমার জীবন বাঁচিয়ে এখন তার বিনিময়ে এই চাইছিস? দরকার নেই আমার এ জীবনের। তোর মতো পাপিষ্ঠের সাথে যাওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। ছেড়ে দে আমাকে শয়তান। ছেড়ে দে ...
কাজেই বৃটিশ লোকটা তাকে ছেড়ে দিল এবং সে আবার পড়তে লাগল।
পড়তে পড়তে আরো দশ তলা পেরিয়ে সে যখন ত্রিশ তলা পর্যন্ত এল তখন এক আমেরিকান ভদ্রলোক হাত বাড়িয়ে তাকে ধরে ফেলল। আগেরবারের ঘটনা থেকে তরুণীর যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। কাজেই সে বেশি কিছু না বলে আমেরিকানকে শুধু তার জীবন বাঁচানোর জন্য একটা ধন্যবাদ দিল। কিন্তু আমেরিকানটা বৃটিশটার চেয়েও এক ডিগ্রী বেশি অসভ্য। সে নিজে থেকেই বলল,
: দেখ মেয়ে আমি এখনও তোমাকে বারান্দা থেকে সরিয়ে নেই নি।
তুমি যদি আমার সাথে থাকতে রাজি থাক, তাহলেই কেবল তোমাকে আমি সরিয়ে নিব। নইলে কিন্তু দিলাম ছেড়ে।
আমেরিকানের কথা শেষ হওয়ার আগেই তরুণী বলল,
: পেয়েছিস কি তোরা? মেয়ে দেখলেই ভোগ করতে ইচ্ছে করে? দরকার নেই তোর দয়ার। ছেড়ে দে আমাকে। তোর হাতে যাওয়ার চেয়ে মাটিতে পড়ে মরাও অনেক ভালো।
ছেড়ে দে বদমাইশ লোফার..
কাজেই আমেরিকান লোকটাও তাকে ছেড়ে দিল এবং সে আবার পড়তে লাগল।
পড়তে পড়তে তরুণীটি আরো দশতলা পেরিয়ে গেল কিন্তু এবার আর কেউ তাকে হাত বাড়িয়ে ধরল না। এই সময় তার একটু আফসোস হতে লাগল। তার মনে হল, ঐ দুজনের কথামতো তাদের সাথে বিছানায় গেলে কি এমন ক্ষতি হতো! অন্তত মারা যাওয়ার চেয়ে সেটাতো খারাপ হতো না! ইস, কেন যে সে ওদের কথায় রাজি হল না! তা হলে তো আর জীবনের আনন্দগুলো উপভোগ করার আগেই বিদায় নিতে হতো না হায় আর কেউ কি নেই তাকে বাঁচানোর? বিনিময়ে সে এবার সব দিতে রাজি আছে
এসব ভাবতে ভাবতে সে যখন আরো দশতলা অর্থাৎ মোট চল্লিশ তলা পেরিয়ে ঠিক দশতলা উচুঁতে আসল, ঠিক তখন এক আরবীয় তাকে হাত বাড়িয়ে ধরে ফেললেন। মেয়েটি এবার খুশিতে গদগদ হয়ে বলল
: আপনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন! চলুন আমি আপনার সাথে থাকবো
মেয়েটির মুখে এরকম নির্লজ্জ কথা শুনে আরবীয় হতভম্ব হয়ে গেলেন।
নিজের অজান্তেই “আসতাগফিরুল্লাহ” শব্দটা উচ্চারণ করে তিনি মেয়েটিকে হাত থেকে ছেড়ে দিলেন।
জোকসটি নেট থেকে সংগ্রহ করা।
সামুতে লিখার শখ ছিলো অনেক আগে থেকেই। সেটা ভেবেই নিক খুলছিলাম। আজ হঠাৎ দেখি আমাকে জেনারেল করা হয়েছে।
এই আনন্দে সবার জন্য রই মাগনা মুভেনপিক আইসক্রিম। যে যত পারেন খেয়ে নিন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।