আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এয়াপোর্টের আশপাশের এলাকার আকাশে প্রচন্ড শব্দদূষণ, রাতে ঘুমানো যায় না। বিমানগুলো কি মেয়াদউত্তীর্ণ?

খবরে ধান্দাবাজি থাকি জোয়ার সাহারা এলাকায়। রাতে বিমানের শব্দে ঘুমাতে পারি না। এয়ারপোর্টের আশপাশের এলাকা যেমন উত্তরা, উত্তরখান, নিকুঞ্জ ১, কুড়িল, জোয়ার সাহারা, ক্যান্টনমেন্ট, খিলক্ষেত, বনানী, আশকোনা, কালাচাঁদপুর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও গুলশানের কিছু অংশে প্রচন্ড মাত্রায় শব্দ দূষণ হয়। শুধু শব্দ দূষণ না, প্রচন্ড শব্দে যখন ওপর দিয়ে বিমান যায় তখন ভবনগুলো হাল্কা মাত্রায় কাঁপে। তিন মাস আগে আমি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ছোট্ট একটি রুমে ছিলাম।

রুমটা ছিল আমার সিলিং ফ্যানের সমান প্রস্থ। যখন ওপর/ পাশ দিয়ে বিমান যেতো, তখন ফ্যান ওয়ালের সঙ্গে হাল্কা ধাক্কা লাগতো। প্রথম কয়েকদিন আমার ভয়ে ঘুম ভেঙে গেছে। ভয়ে ওই রুম ছেড়ে নতুন বাসা নিলাম জোয়ার সাহারা এলাকায়। এখানে মধ্য/ শেষ রাতে জানালা-দরোজা খোলা থাকলে বিমানের প্রচন্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।

প্রথম দিন তো ভয়ে লাফিয়ে উঠেছিলাম। যারা তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’ দেখেছেন অথবা এই এলাকায় থাকেন তারা ব্যপারটা ভালো বুঝতে পারবেন। আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তর কেন ঢাকার আকাশকে শব্দ দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না? এটা কি তাদের কাজের আওতার মধ্যে পড়ে না? কয়েকদিন আগে গ্রাম থেকে এক শিশু রোগী এসেছিল বাসায়। রাতে যখনই কাছ দিয়ে বিমান গেছে সে চোখবন্ধ করেই কান্নাকাটি শুরু করেছে। ভয়ে পাশের জনকে জড়িয়ে ধরেছে।

বাসায় ওঠার কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়িওয়ালাকে বলেছিলাম, আঙ্কেল বাসায় থাকবো না। রাতে ঘুমাতে পারি না। বাড়িওয়ালা বলেছিল, কয়েকদিন থাকেন ঠিক হয়ে যাবে। তিনমাস থাকলাম। এখনো ঠিক হলো না।

ভাবছি, এই এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে কীভাবে বাস করছেন? একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম, সব বিমানে সমান শব্দ হয় না। কিছু কিছু বিমান আছে খুব বেশি শব্দ হয়। পুরাতন ঘরঘর আওয়াজের ইঞ্জিনের মতো। ঢাকার বাস/সিএনজির মতো কি বিমানগুলোও মেয়াদউত্তীর্ণ? প্রচন্ড শব্দে যখন বিমান ভবনের দিকে ধেয়ে আসে তখন আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার সেই ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এই বুঝি ভবনের মাঝবরাবর ঢুকিয়ে দেবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।