পূর্নিমা মানেই আমাদের কোথাও যেতেই হবে । হবে আড্ডা আর খাবার । পূর্নিমায় ক্যাম্পিংয়ের সাথে সাইক্লিং ইভেন্ট শুরু করেছে আবু বকর । তাই এবারের পূর্নিমাকে উপভোগ করতে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন একটা জায়গায় যাব । সাইক্লিং ও ক্যাম্পিং হবে এক সাথে ।
যারা সাইক্লিং করবে না তারা বাসে যাবে । এক বছর আগে একবার জায়গাটা ঘুরে এসেছিল আবু বকর । রাজশাহীর টি-বাধেঁর মত নাকি জায়গাটা । তাই যেতেই হবে ফাইনাল ছিল ।
চট্রগ্রামে "বিশ্ব পর্যটন দিবস" উপলক্ষে আয়োজিত "বিউটিফুল বাংলাদেশ" এ অংশগ্রহনের জন্য ভ্রমণ বাংলাদেশের প্রিন্স , তাহসিন ও মনা ছিল চট্রগ্রামে ।
তাই একা আবু বকর দ্বায়িত্ব নিল সাইক্লিংয়ের । মাসুদ, রকিব, তাহসিন আর আমি যাব বাসে ।
নারায়ণগঞ্জ এর তারেক ভাই, রুহি আর রাফসানকে সাথে নিয়ে আবুবকর সাইক্লিং শুরু করে বাসাবো বৌদ্ধমন্দিরের সামনে থেকে । সন্ধ্যা ৭.১৫ রওনা দিলো তারা আর আমরা চারজন রওনা দিলাম ৮.৩০টায় বাসে ।
প্রচুর জ্যাম ঠেলে বাস আমাদের মেঘনা ব্রিজে নামিয়ে দিলো রাত পৌনে এগারোটায় ।
হাঁটতে হাঁটতে ব্রিজটি পার হয়ে গেলাম "মেঘনা ভিলেজ" রেষ্টুরেন্টে । যেয়ে দেখি আবু বকর, রাফসান আর রুহি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে । তারেক ভাই নেই কেন জানতে চাইলাম । বলল কাল সকালে মিটিং আছে তাই তিনি নারায়ণগঞ্জ চলে গেছে ।
সাথে অপেক্ষায় ছিল রেষ্টরেন্টের বেয়ারারা ।
কারণ তারা রেষ্টরেন্ট বন্ধ করবে রাত ১১টায় । আমরা পৌছানো মাত্র খাবার অর্ডার করলাম । ইলিশ মাছ. রুই মাছ, গরুর গোশত আর ডাল ছিল আমাদের রাতের খাবার । খাবার শেষ করে আমরা রওনা দিলাম মেঘনা নদীর পাড়ে ।
মূল সড়ক থেকে পাঁচ কিমি দূরে নদীর ঘাটটি ।
রাতের অধাঁরের সাথে ছিল আমাদের ভালবাসার চাঁদ । গ্রামের আকাঁবাঁকা পথ দিয়ে হেঁটে পৌছালাম । রাত তখন বারটা চল্লিশ । জায়গাটাকে দেখেই কৃতজ্ঞতায় মন ভরে উঠলো আবু বকরের প্রতি । এমন রাতটা কাটানোর জন্য আর্দশ জায়গা ।
সমান জায়গা দেখে তাবু ফেললাম । মাসুদ, আবু বকর , রাফসান রাতের আঁধারে গোসলের মজা নিলো । প্রথমে গোসলে আপওি করা তাহসিন আর রুহিও গোসলের সিদ্ধান্ত নিলো ।
রাত তিনটা পর্যন্ত গল্প করলাম । এরপর ক্লান্তিতে ঘুমের কোলে গেল সবাই ।
জেগে রইলো শুধু চাঁদ ।
সকাল সোয়া পাঁচটা শুনি নানা রকম শব্দ । উঠে দেখি গ্রামের অনেক মানুষ সাথে বাচ্চাদের সাথে নিয়ে হাজির । উকিঁ দিয়ে দেখছে কেমন করে ঘুমাই আমরা আর তাঁবু জিনিসটাই বা কি ?
অনেক প্রশ্নের জবাব দিলো সবাই মিলে । আবার গোসল দিলাম মেঘনার জলে ।
এবার ফেরার পালা । সকালে কয়েকটি ট্রলার হাজির হয়েছিল ঘাটে । তাদের একজনকে নিলাম মেঘনা ব্রিজের কাছে আমাদের নামিয়ে দিতে ।
কয়েকটি নৌকায় মাছ ধরছিল কয়েকজন জেলে । তাদের কাছ থেকে মাছ কেনার চেষ্টা করলাম কিন্তু তেমন মাছ না থাকায় কেনার আশা বাদ দিতে হলো ।
মেঘনার জলে বিশ মিনিটের ট্রলার জার্নি শেষ করে ফিরলাম মেঘনা ঘাটে । নাস্তা শেষ করে বাসে উঠলাম আমরা চারজন । আবু বকর , রুহি আর রাফসান চালানো শুরু করলো তাদের সাইকলে ।
{একটু এডিট করবো পরে । }
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।