সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীসহ নানা অভিযোগ করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, সহকারী অধ্যাপক মো: এসএম মফিজুর রহমান, মো: জাকারিয়া, প্রভাষক মো: মাহমুদুর রহমান (বাহালুল)। বিভাগের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তাদের যৌন নিপীড়ন এবং অনৈতিক আচরণের প্রতিকার দাবি করে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদের ডিন সদরুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী, বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক এবং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিকুল হায়দার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, 'তিনজন শিক্ষকের অনৈতিক আচরণের প্রতিকার দাবিতে একটি চিঠি আমার কাছে এসেছে। এটি বিভাগীয় পর্যায়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত্ম নেয়া হবে। '
চিঠিতে বলা হয়- উল্লিখিত তিনজন শিক্ষকের মধ্যে মফিজ বাকি দুইজনকে অনৈতিক কাজে সহায়তা করে থাকেন। তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিশেষ যোগাযোগ আছে বলেই কোন প্রতিকার হচ্ছেনা বলে শিক্ষার্থীরা চিঠিতে উল্লেখ করেন।
ইদানিং তাদের এ ধরণের কর্মকান্ড বেড়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা শত চেষ্টা করেও পরীক্ষায় ভালো করতে পারছেনা শুধু এসব শিক্ষকের দৌরাত্মের কারণে। শিক্ষক মফিজ ও বাহালুলের মেয়েপ্রীতি সবচেয়ে বেশি।
সম্প্রতি ছাত্রীদের পরীক্ষায় নম্বর বেশি দেয়ার নামে একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন বাহালুল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনোকামনা পূরনের পর তিনি কাউকেই বিয়ে করেন না।
এসব ঘটনা ইসলামের ইতিহাস বিভাগে এখন প্রায় সববর্ষের ছাত্রছাত্রীর মুখে মুখে।
তাই অবিলম্বে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে সংশিস্নষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। না হলে পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি ভিন্নরকম হয়ে যাবে যা কেউ চায় না।
বাহালুল নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেন। প্রায় তিন বছর হলো ইসলামের ইতিহাস বিভাগে 'রাজনৈতিক বিবেচনায়' শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ওই সময় বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক মো: আখতারুজ্জামান।
যিনি সরকারী দলের সমর্থক। কিন্তু বাহালুল বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার পর থেকেই নিজেকে বেশ পন্ডিত হিসেবে প্রকাশ করার প্রচেষ্টা করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চিঠির ব্যাপারে শিক্ষক বাহালুল কিছু জানেনা মন্ত্মব্য করে বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। এ সংক্রান্ত্ম কোন কথা বলার জন্য এই প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করতে বলেন তিনি।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন জাস্ট নিউজকে বলেন, 'ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তিনজন শিক্ষকের অনৈতিক আচরণের প্রতিকার দাবি করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমার কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিভাগের চেয়ারম্যান আমার কাছে বিষয়টি এখনো জানায়নি। বিষয়টি খতিয়ে না দেখলে বেশি কিছু বলা যাচ্ছেনা। '
বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: আখতারুজ্জামান জাস্ট নিউজকে বলেন, এরকম কোন অভিযোগপত্র আমি এখনো হাতে পাইনি। তিনি প্রতিবেদকের কাছে এরকম ঘটনা প্রথম শূনেছেন বলে জানান।
বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তৌফিকুল হায়দারকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলীকে মোবাইল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।