আগামী ১০ মে গাজীপুরে এবং ১৮ মে ময়মনসিংহে সামবেশ করবে জাগরণ মঞ্চ। এরপর ৩১ মে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
এসব কর্মসূচি সফল করতে মঞ্চের সংগঠকরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে সারা দেশে জনসংযোগ করবেন বলে জানান ইমরান।
প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা বিভাগ থেকে জেলা, জেলা থেকে উপজেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যন্ত গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিন।
ইতোমধ্যেই আমরা অনেক দূর পৌঁছেছি, সামনের দিনগুলোতে আরও এগিয়ে যেতে চাই।
তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সাতটি বিভাগের জন্য সাতজনকে দায়িত্ব দেয়া হবে বলে জানান ইমরান।
এছাড়া গণজাগরণ মঞ্চের ওয়েবসাইটে খবর প্রকাশের জন্য info@gonojagoronmoncho.com ই-মেইলে সব তথ্য পাঠানোর জন্য সারা দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
৩ মে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মবার্ষিকী হওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি সম্মেলন তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। ১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া জাহানারা ইমামের নেতৃত্বেই নব্বই দশকের শুরুর দিকে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আত্মপ্রকাশ করে, ‘গণআদালতে’ ঘোষণা করা হয় গোলাম আযমের ফাঁসির ‘রায়’।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে শহীদ জননীর সংগ্রামের কথা তুলে ধরে ইমরান বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য যে অবিনাশী আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তার সূত্রপাত হয়েছিল শহীদ জননী জাহানারা ইমামের হাত ধরে। ”
‘চেতনায় জ্বালো মুক্তিযুদ্ধের আলো’ স্লোগান নিয়ে দুপুরে গণজাগরণ মঞ্চের সারা দেশের প্রতিনিধিদের এই সম্মেলন শুরু হয়।
দুপুর পৌনে ১২টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরুর পর সাভারে ভবন ধসে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। একটি শোক প্রস্তাবও পাঠ করা হয় তাদের উদ্দেশ্যে।
স্বাগত বক্তব্যে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের বৃহত্তর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
“এই লক্ষ্যে গণজাগরণ মঞ্চ তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। দলমত নির্বিশেষে যে কোনো সরকারের কাছে এই দাবি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চ আপোষহীন থাকবে।
ইমরানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এস এম শুভ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি প্রবীর সাহা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হুসাইন আহমেদ তফসির, ছাত্র ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক সোহান সোবহান অংশ নেন।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনের প্রথাম ভাগে ইমরান এইচ সরকারের পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ের কয়েকজন প্রতিনিধি তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। জুমার নামাজের পরে জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।