অনুবাদ করতে ভালবাসী । তবে অনুবাদে ভাত আছে বলে মনে হয় না। facebook ও Mail এ আমি ঃ-sampad1987@yahoo.com
আমাদের ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও কুমিল্লার মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ফলগুলোর একটি হল বিলিম্বি ফল। কি টক কি চাটনি যে কোন খাবারে বিলম্বির জুরি নেই। আমাদের ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও কুমিল্লা অঞ্চলে এটা সুপরিচিত হলেও বাংলাদেশের অনেক জায়গায়ই এটা অপরিচিত।
এখন চলুন বিলিম্বি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।
ফুলঃ-
বেলেম্বু গাছ দেখতে অনেকটা কাম্রাঙ্গা বা অরবরই গাছের মত। কামরাঙ্গা পরিবারের এ গাছের পাতা, ফুল ও ফল দেখতে খুবই সুন্দর। গাছে নতুন পাতা গজালে সে পাতাকেও আবার ফুলের মত মনে হয়। গাছ প্রায় একই রকম তবে ফল আকারে লম্বা-২/৩ ইঞ্চি, রঙ সবুজ।
দেখতে আঙুরের মত হলেও সুন্দর। এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় খুব টক হলেও রান্নার পর বা চাটনি কিংবা আচার তৈরি করার পর টক থাকে না। পুষ্টিমানে আমিষ, শ্বেতসার, চর্বি, খনিজ, ভিটামিন, কারোটিন, ক্যালোরি সবই আছে। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমাবার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এতে।
ফুল থেকে ফলঃ-
এ গাছে প্রচুর ফল আসে।
নিয়মিত পাতা ছেটে ও ডালপালা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে সারা বছরই এ গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। শীতকালে বিলিম্বি গাছের পাতা ঝরে পড়ে তবে বসন্তের আগমণে আবার নতুন কুঁড়ি ও পাতা গজাতে থাকে। একটি পূর্ণ গাছে বছরে প্রায় ৩০০ কেজি বিলিম্বির ফলন হয়।
ছোটো ফলঃ-
কুমিল্লা, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এর ফলন বেশি। ।
বিলিম্বি ছোট মাছ, বড় মাছের মাথা বা মাছের ডিম দিয়ে রান্না করে খেলে স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যায়। ডাল বা মাংশতেও বিলিম্বি ব্যবহার করা যায়। একটি বিলিম্বি গাছ বাড়িতে থাকলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সারা বছরই পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলি করা যায় আমার নানুর বাড়িতে যা হয় আরকি। । অপ্রচলিত এ ফলটি এখন বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
বিক্রিও হয় বেশ চড়া দামে। পরিচিতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর চাহিদাও বাড়ছে দিনে দিনে।
আমার মা ও নানুর প্রিয় ফল এটা । আমার প্রথমে ভাল লাগতনা তবে এখন লাগে।
বি।
দ্রঃ- উপরের ছবি গুলা আমার তোলা (একদম প্রথমের গাছের ছবিটা ছাড়া। ) আর তথ্য গুলো সংগ্রহিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।