আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দক্ষিন-অঞ্চলের অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক "মরহুম সিদ্দিকুর রহমান"এম পি কে সাবেক পৌর মেয়র ( শাহাজাহান) ডাকাত বলায় ফুঁসে উঠেছে বরগুনার সাধারন মানুষ ।

খুব সাধারন এক মানুষ। ভালবাসি সাধারন মানুষের জন্য কিছু করতে। নিজেকে হাইলাইট করতে অপরের চরিত্র হনন করা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। আমি জানি, বিশ্বাস করি- ইতিহাস কাউকে কোনদিনও বঞ্চিত করেনি, করেনি ক্ষমাও। ইতিহাসকে বিকৃত করে সাময়িক ফায়দা লোটাও ইতিহাস হয়ে থাকে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে কার কী অবদান ছিল নতুন প্রজন্মকে এখনও পরিপূর্ণভাবে জানাতে পারেনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকার অথবা কেউ। তবে অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। সাধুবাদ জানাই তাদেরকে। যারা অন্তত কিছুটা হলেও চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি নিন্দা জানাই তাদেরকেও, যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে তুলে ধরার অপচেষ্টা করেছে।

প্রসঙ্গে আসা যাক---- শুনলাম, সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনে বরগুনার বিশিষ্ট কিছু নাগরিকদের নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বরগুনার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের অন্যতম একজন মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য মরহুম সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সিদ্দিকুর রহমান নাকি ডাকাত ছিলেন এমন কথা বলা হয়েছে। যতদূর জেনেছি যে, বরগুনায় আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি হিসবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন মরহুম সিদ্দিকুর রহমান। তার হাত ধরে অনেকেই যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিতে ভারত গিয়েছিলেন।

এদের অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণেরও সুযোগ পাননি। এর আগেই দেশ শত্রু মুক্ত হয়। স্বাধিনতা অর্জনের পরপরই 'বঙ্গবন্ধু' সিদ্দিকুর রহমানকে বরগুনায় আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার দায়িত্ব দেন। এরপর সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এক কথায় বরগুনার মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামীলীগ মানেই ছিলেন তিনি।

সে ধারায় এখনও এখানে আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাঁটি। 'কিন্তু নিয়তি যে কারও অধিনে নয়' অকালে প্রায়ান হয় সিদ্দিকুর রহমানের। তাঁর মৃত্যুতে শোকে বিহবল হয়ে বরগুনার মানুষ। এর অন্যতম কারন ছিল, সকল বিতর্কের উরধে ছিলেন ব্যক্তি সিদ্দিকুর রহমান। মানুষের মনের ভাষা বুঝতেন নিমিষেই।

সকল বিতর্কের উরধে থাকা এ মানুষটিকে নিভৃতে চলে যাওয়ার এত বছর পর তাঁকে নিয়ে বরগুনার সাবেক মেয়র ও একজন আইনজীবির 'ডাকাত' মন্তব্য শুনে 'আমরা রীতিমত অবাক, বিস্মিত ও হতবাক। আমরা জানিনা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে তাঁকে নিয়ে এমন মন্তব্য সম্ভব কিনা!! জানিনা আসলে তিনি কী বলতে চেয়েছেন!!! তবু বিতর্ক করবোনা। কারন জিনি সিদ্দিকুর রহমানকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি সিদ্দিকুর রহমানের যোগ্যতার মাপকাঠিতে চুনোপুঁটি। আর আগেই বলেছি' ইতিহাস কাউকে কোনদিনও বঞ্চিত করেনি, করেনি ক্ষমাও' । আমাদের প্রত্যাশা থাকল, যিনি এমন মন্তব্য করছেন তিনি বরগুনাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইবেন।

বরগুনাবাসী ক্ষমা করলেও ইতিহাস তাঁকে ক্ষমা করবে কিনা আমার জানা নেই। নইলে যে মৃত্যুর পরও সিদ্দিকুর রহমানের আত্মা কষ্ট পাবে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।