ন্যাকামো ভীষণ অপছন্দ, যদিও বাধ্য হয়ে সহ্য করি!
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ও পিপিপি’র প্রেসিডেন্ট বিলাওয়াল ভুট্টো চুটিয়ে প্রেম করছেন। একের প্রেমে অন্যজন এতটাই মজে গিয়েছেন যে, এখন তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চান! বিয়ে করেই দেশের বাইরে যেতে চান। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, বিলাওয়ালের পিতা আসিফ আলী জারদারি। তবে বিলাওয়াল তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে তিনি রাজনৈতিক পদ ছেড়ে দেবেন।
‘উপমহাদেশের ডায়ানা’ হিনা দু’সন্তানের মা।
একজন অনন্যা। অন্যজন দিনা। তাঁর স্বামী ফিরোজ গুলজার। তিনি কোটিপতি। কিন্তু সেই স্বামীকে ত্যাগ করতেও এখন দ্বিধা করছেন না হিনা।
হিনা ও বিলাওয়ালের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১১ বছর। দু’জনের মধ্যে হিনা বড়। কিন্তু বয়সের কাছে প্রেম হার মেনেছে! হিনার সঙ্গে বিলাওয়ালের মন দেয়া-নেয়া চলছে। এক পর্যায়ে তা হাতেনাতে ধরে ফেলেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। তিনি তাঁদের সম্পর্ককে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ জন্য তিনি নিজের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছেন। কিন্তু তিনি ছেলেকে হিনার কাছ থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ এরই মধ্যে হিনা তাঁর স্বামী ফিরোজের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিলাওয়ালকে বিয়ে করে তাঁরা সুইজারল্যান্ডে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিলাওয়ালকে হিনার প্রেমপত্রও লিখেছেন।
এর একটিতে হিনা নিজে লিখেছেন:
আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং শিগগিরই আমরা এক হতে যাচ্ছি।
বিলাওয়াল এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে হিনার কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেয়েছেন। পেয়েছেন ফুলের তোড়া। তাতে হাতে লেখা:
আমরা অনেক সময়ক্ষেপণ করেছি! তবে এখনই আমাদের অপেক্ষার ইতি টানার সময় নয় - ঈদ মুবারক!
এদিকে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর বেচারা ফিরোজ গুলজার তাঁর স্ত্রী হিনার ফোন কল লিস্ট চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আবেদন জানিয়েছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।