জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
আজ থেকে ১০/১৫ বছর আগে ছেলেদেরকে পরিবারের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করতে হতো। খুব কম সংখ্যক ছেলে পাত্রী দেখার সুযোগ পেত। ছেলেরা পরিবারের গার্ডিয়ানদের উপর আস্থা রেখে বিয়েতে সম্মতি দিত। সেই সময় বিয়ের অনুষ্টান না হওয়া পর্যন্ত কনের সাথে দেখা করা, কথা বলার কোন সুযোগ ছিল না।
কিন্তু আজকাল সেই চিত্র পাল্টিয়েছে। এখন ছেলেরাই নিজেদের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করার জন্য পরিবারে চাপ সৃষ্টি করে। অনেকে বিয়ের আগে দলবল নিয়ে একটার পর একটা মেয়ে দেখতে থাকে। ইসলামে পাত্রী দেখতে নিষেধ করেনি। রাসুলুল্লাহর (সাঃ) বিয়ের আগে পাত্রী দেখে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জাবের ইবন আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
তোমাদের কেউ যখন নারীকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, অতপর তার পক্ষে যদি ওই নারীর এতটুকু সৌন্দর্য দেখা সম্ভব হয়, যা তাকে মুগ্ধ করে এবং মেয়েটিকে (বিবাহ করতে) উদ্বুদ্ধ করে, সে যেন তা দেখে নেয়। ’ (বাইহাকী, সুনান কুবরা : ১৩৮৬৯)
বিয়ের আগে পাত্রী দেখতে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু আজকাল পাত্রী দেখার পর কি হচ্ছে?
আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, বিয়ের আগে প্রস্তাব দেয়া নারীর সঙ্গে নির্জন অবস্থান বা তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, মোবাইলে কথা বলাও বৈধ নয়। কেননা, এখনো সে অপরিচিত নারীই রয়েছে। পরিতাপের বিষয়, আজ অনেক মুসলমানই তার মেয়েকে লাগামহীন ছেড়ে দিয়েছেন।
ফলে তারা প্রস্তাবদানকারী পুরুষের সঙ্গে ঘরের বাইরে যায়! বাইরে ঘুরে বেড়ায়! ভাবখানা এমন যে মেয়েটি যেন তার স্ত্রী হয়ে গেছে। অনেকে পাত্রীর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে দিনের পর দিন কথা বলতে থাকে।
তাই আমি মনে করি পাত্রী পছন্দ হওয়া মাত্র একটি দিনক্ষন ঠিক করে আকদ করে নেয়া ভাল। আকদের পর স্বামী-স্ত্রী ঘুরাফেরা-ফোনালাপ করতে কোন নিষেধ নেই।
একটি বাস্তব ঘটনাঃ আমার পরিচিত এক প্রবাসী বন্ধুর জন্য তার মা-খালা পাত্রী ঠিক করেছেন।
পাত্রী পক্ষ ছেলের ছবি দেখে বিয়েতে রাজী হয়েছে। অন্যদিকে ছেলে এখনো পাত্রীকে দেখেনি। পাত্রীর ছবিও দেখেনি। পাত্রীর এক আত্বীয় ছেলেকে পাত্রীর সাথে ফোনালাপ করার সুযোগ করে দিয়েছে। তারপর থেকে দুজনই প্রতিদিন ফোনালাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
একজন আরেকজনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। পাত্রী তাকে দ্রুত বিয়ে করে ঘরে তুলার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। ছেলে তাকে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে বলছে।
কোন কারনে এই ছেলের সাথে যদি মেয়েটির বিয়ে না হয়? ছবি দেখার পর ছেলেটি যদি মেয়েটিকে পছন্দ না হয়? তখন মেয়েটির কি হবে? মেয়েটি কি কষ্ট পাবে না?
ব্লগে বেশীর ভাগ ব্লগার অবিবাহিত। এই বিষয়টি নিয়ে তারা কে কি ভাবছেন? তাদের মতামত জানতে চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।