আজ ভোর হয়নি। হয়তো কাল-ও হবেনা। চারিদিকে ভীষণ কাল। ভোর হবার প্রতিক্ষায়.... ব্যাপার কি?!?
ঠ্যাং কাঁপে ক্যান!
কি মুশকিল!আরে বাবা ভার্সিটির প্রথম দিন-ই তো!এতে এত কাঁপাকাপির কি আছে?
নাহ নিজের কাছে অবিবেচক দুর্বলতার সুরাহা মেলে না...
নাম তপু রায়হান।
নামের পাশে কিছু ভাল রেজাল্ট এবং তার পুরষ্কার দেশের স্বনামধন্য একটি পাবলিক ভার্সিটির ছাত্রত্ব।
আর পরিচয় দিতে গেলে বলা যায় শখের ফটোগ্রাফার। সঙ্গী মা'এর দেয়া একটা nikon DSLR...
তবুও যে ছেলের কাঁপুনি থামেনা!
পথে ইচ্ছে করেই রিক্সা নেয়া নি। নিজের ক্যাম্পাস বলে কথা। আর এর আগে তেমন ঘুরে দেখা হয়নি ক্যাম্পাসটাকে।
তপু একা নয় তার আগে পিছে কিংবা সমান্তরালে হাঁটছে অনেকেই।
বাহ!
ক্যাম্পাসটা এত্ত সুন্দর!
চারিদিকে যেন সবুজের কার্পেট!
ঘাসের উপরে শিশিরগুলো এমন ভাবে চিকচিক করছে যেন এটা রাস্তা নয় স্বর্গে যাবার ছায়াপথ!এমন সব কিছু দেখেও কি DSLR-টা আর ব্যাগের ভেতরে অলস বসিয়ে রাখা যায়?
চমৎকার ভিউ!
ঘাসফড়িঙ-টা এমন ভাবে শিশির গুলোর সাথে খেলছে যেন এক তুখোড় ম্যাজিশিয়ান!ভাবখানা এমন যেন শিশির কণাগুলো তার জন্যই খাস করে বানানো হয়েছে!
কিছু ছবি উঠে গেল এবং এই সাথে আবিষ্কৃত হয়ে গেল আরও কিছু চমৎকার প্লট...
ক্লিক পড়ছে তো পড়ছেই।
লেন্স-টা একটু উপরে উঠতেই ক্যামেরা মালিক সমেত স্থির হয়ে গেল...
ঠিক দেখছে তো?
অপূর্ব সুন্দর দুটি চোখ!
হ্যাঁ!শুধু অপূর্ব বলা বোধ হয় ভুল হচ্ছে!
আজ কি তবে সবই সুন্দর লাগছে?
না!এমন সুন্দর চোখ তপু কখনই দেখে নি!
কি আছে ওই চোখে?
(ভেতর থেকে ধমক!)আরে ব্যাটা,শুধু চোখেই আটকে গেলি?মানুষ-টাকে চিনতে হবে তো!
মানুষ-টাকে দেখার আগেই কিছু একটা হয়ে গেল...
এই ছেলে!
এই ছেলে কানে শোনো না?!?(ঝাজ মিশ্রিত কন্ঠ)
-(অপ্রস্তুত হয়ে)জি!জি বলুন?
এই সাত সকালে ক্যাম্পাসের মধ্যে DSLR তাক কইরা কি দেখ?হ্মম!১/১ নাকি?
-জি ভাইয়া।
ও!তাই তো কই!DSLR আছে বইলাই কি ভাব ধইরা সবাইরে দেখাইয়া বেড়াইতে হইবো!কই থেইকা যে এই সব আবাল পোলাপান আসে!
-সরি ভাইয়া...
সরি মানে!কিসের সরি!তুমি মিয়াঁ যা করছ তার কোন মাফ হয়!১/১এই এত ভাব!চল আমার সাথে ওই টং ঘরে!কথা আছে...
-তপু বাধ্য ছেলের মতো অনুসরণ করতে থাকল...তবে তখনো সে সম্বোহিত হয়ে আছে সেই মায়াকাড়া চোখে...
(এরপরের কাহিনীটুকু পাঠকদের নিজ দায়িত্বে বুঝে নিতে হবে... )
এরপর তপু তাহার ক্যাম্পাস জীবন শুরু করিয়াছে...
এবং কিয়দকাল পার করিয়া তাহার সুনয়নার দেখাও পাইয়াছে...
প্রথম দর্শনে সুনয়নার যে চিক্কণ বাণী নিক্কণ তুলিয়া তপুর মনে খান খান বিক্রিয়ার প্রারাম্ভ্য শুরু করিয়াছিল............
-আমি ******। তোমার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র আপু।
এখনও তাহাদের নিয়মিত দেখা হয়...
আর তপু ভাবে...আগে জানলে এক্কেরে কেলাশ থিরি-তে ভর্তি হইতাম!
ইহা নিতান্তই বাস্তব গল্প!
কারও কল্পনা/ফিকশনের সাথে মিলিয়া গেলে তাহা নিতান্তই কাক নয়তো কোকিলতালীয়...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।