আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"কয়েকটা ফালতু কথা"

আমি কেবলই আমার মতো প্লেটো কইছিল তিন ধরনের মানুষের কথা। প্রথমত শাসক এবং শাসক মানেই দার্শনিক হবে। দ্বিতীয়ত সাহসী মানুষের কথা কইছে যারা কি-না নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তৃতীয়ত কইলেন উৎপাদক শ্রেণীর কথা যারা সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকবে। অবশ্যই গড়ে সবাই-ই আলোকিত মানুষ হবে।

এরপরে আইল ধনী আর গরীবের বিষয়। দুনিয়া হতে শুরু করল অর্থনীতি নির্ভর। অথবা অর্থনৈতিক কারনেই দুই শ্রেনী ধরা হইল। কিন্তু একসময়ে সেটাও হালে পানি না পেয়ে তিন রকম করা হইল। ধনিক শ্রেনী, মধ্যম শ্রেনী এবং গরীব শ্রেনী।

চলছে নানান ভাগাভাগি। এই তিনটারে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কম করে হলেও বারোটা তো হবেই। উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত এরকমভাবে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের ক্ষেত্রেও এরুপ করলে হয়ত অনেকগুলো শ্রেনীই পাওয়া যাবে। আসলে এসব শ্রেনীর উত্থান এবং বিভাজন ক্ষমতার ভাগ নিতেই। এইসব শ্রেনী তৈরি করে এবং এদের উপরে সওয়ার হয়ে ক্ষমতার ভাগ নেয়াই আসল উদ্দেশ্য।

নইলে এদেশসহ নানা দেশেই কত শ্রেনীর মানুষই ক্ষমতায় গেলেন! কই তাতে তো ক্ষমতার ভাগীদারের দুদিন আগের সাগরেদেরও কোন লাভ হয় নাই। সবার উন্নয়নের জন্যও এসব শ্রেনী ফ্রেনীর উত্থান ঘটে নাই। প্লেটোর উদ্দেশ্য কল্যান রাষ্ট্র বা যাই থাকুক না কেন অন্তত কোন অন্যায় উদ্দেশ্য যে ছিলনা এতে সন্দেহ নাই। এটাকে যারা প্রথমে ভেঙ্গে তিন শ্রেনী করল তাদেরও কোন অন্যায় উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে হয় না। কিন্তু সমস্যা হইছে যারা এগুলোকে বাস্তবে রুপ দিতে গিয়ে 'শ্রেনী'র প্রতিনিধি করার রাজনীতি করছে তাদেরকে নিয়া।

যার যা খুশি করুক ভালো কথা। কি আর করা! আসল কথা হইল সবাইকে ক্ষমতার ভাগ দিতে হবে। এই থিউরি কপচাইয়া যে যেটার যোগ্য নয় তাকে সেটাই দিতে হয়েছে। এরকম হতে হতে গনেশ এখন পুরাই উল্টাইয়া গেছে। যোগ্য যায়গায় অযোগ্যরাই পশ্চাদদেশ লাগাইয়া বসেছে।

সে আবার আরেকটা তারচেয়েও অযোগ্যরে ধরে আইনা বসায়। এই করতে করতে দুনিয়াটা চলছে বেশ মন্দ নয়। আসলে অর্থনীতি নিভর সমাজে দর্শন নিতান্তই খেলো বিষয় হয়ে গেছে। সাহিত্য কোনরকমে টিকে আছে টাকামুখী হয়ে। ইতিহাস সে-তো রীতিমত ফালতু বিষয়ে পরিনত হইছে।

এখানে আবার দশন এলো কেন? এটা এই কারনে যে প্লেটোর সেই ভাবনাসহ অপরাপর ব্যক্তিগনের নতুনতর ভাবনা মুলত দাশনিকতা। আর ইতিহাসই বা কেন? কারন এই যে আমি স্মরন করলাম প্রায় আড়াই হাজার বছরের কিছু ঘটনাপ্রবাহের কথা এটাই ইতিহাস। ওহ হ্যা এই একথা কয়টা লিখে যে নির্মল আনন্দ উপভোগ করছি মননে যে উচ্ছাস এসে অনুরনন বাজাচ্ছে এখানে লেখার জন্য এটাই তো সাহিত্য নাকি? যদিও আমরা বলার সময় এগুলোকেই বেশি করে উল্লেখ করি। এটাও একটা প্রতারনা নয় কি! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।