আমি একজন ছাএ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে এক মাস ধরে সমাবেশ করতে না পেরে অবশেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ করছে বিএনপি। উল্লেখ্য, গত ১১ এবং ১৫ মে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পায়নি বিএনপি। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর রাজধানীতে এক মাস সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। বিএনপি একমাস পরই আবার সমাবেশ করার অনুমতি পায়।
সমাবেশ যদি শান্তিপূর্ণভাবে হয় তাহলে তো কোন কথাই থাকেনা। কিন্তু বিগত দিনে বিরোধীদল যতগুলো সমাবেশ করেছে তা কি তারা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেছে? বিগত দিনে বিরোধীদল যদি তাদের কথা রাখত তাহলে সরকার অবশ্যই তাদের কথা শুনত। গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার সকল দলেরই আছে। কিন্তু শান্তির নামে অশান্তি করলে কোন সরকারই তার দায়বদ্ধতা নিবে না। আমরা সবাই যদি জনগণের জানমাল রক্ষায় সচেষ্ট থাকি তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সম্প্রতি তথাকথিত সভা-সমাবেশের মোড়কে জনগণের সম্পত্তি যেভাবে বিনষ্ট করা হচ্ছে এটা কিন্তু কোন ভাবেই কাম্য নয়। তাই বিরোধী দলের প্রতি আবেদন থাকবে আপনারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেন এতে সাধারণ জনগণের কোন কষ্ট নেই। তবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে ভাংচুর, জ্বালাও, পোড়াও করে জনগনের জানমালের ক্ষতি সাধন করে দেশে সুস্থ গণতন্ত্রের ধারাকে ব্যহত করবেন না। আর আপনাদের কাছে আমাদের সকলের এটাই প্রত্যাশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।