আপনার সম্পর্কে কিছু লিখুন-এভবে আসলে বলা যায় না। মানুষ ত আর যন্ত্র না যে সব সময়ই একরকম। আসলে আমরা নিজেরাই প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষন করি আমরা কি রকম। অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পারলেন সলমন রুশদি। কিন্তু সেই ভুল বুঝতে লেগে গেল ২৪টি বছর! ১৯৮৮ সালে ভারতে রুশদির বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধ করা হয়।
চটে যান ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক। বইটি নিষিদ্ধ করার সমালোচনা করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে একটি কড়া চিঠিই লিখে বসেছিলেন তিনি। এত বছর পরে ৬৫ বছর বয়সী লেখক স্বীকার করলেন, এই ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো তাঁর উচিত হয়নি। এই প্রতিক্রিয়া ছিল তাঁর ‘ঔদ্ধত্য’ এবং ‘রাগের’ বহিঃপ্রকাশ। সদ্য প্রকাশিত নিজের ৬৩৩ পাতার স্মৃতিকথা ‘জোসেফ অ্যান্টন’-এ এটি স্বীকার করেছেন রুশদি।
বলেছেন, “এক জন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঔপন্যাসিক হিসেবে এ রকম ব্যবহার করা আমার মোটেই উচিত হয়নি। ” ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার ‘অপরাধে’ ইরানের ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেইনি রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিলেন। বিশ্ব জুড়ে লেখকের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ। সেই কারণে বেশ কয়েক বছর আত্মগোপন করে থাকতে বাধ্য হন রুশদি। সদ্য প্রকাশ্রিত বইটিতে এই সব স্মৃতি রোমন্থনের পাশাপাশি ভারতের কথাও উঠে এসেছে বিতর্কিত লেখকের লেখায়।
রুশদি লিখেছেন, তাঁদের পারিবারিক বন্ধু সলমন হায়দার ছিলেন তৎকালীন লন্ডনে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার। তিনি রুশদিকে ডেকে জানিয়েছিলেন, ভারতে ‘দি স্যাটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রুশদির কথায়, ভারতে বইটি নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ভাবে যন্ত্রণা দিয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।