আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে ছুটিতে যাচ্ছেন মসিউর!

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটির আবেদন করেছেন তার অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটির এ আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, সোমবার বিকেলে ড. মসিউর এক মাসের ছুটির আবেদন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ছুটির আবেদনপত্রে বিদেশে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বলেও সূত্র জানায়।

সোমবার সকাল থেকে শোনা যাচ্ছিল তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটি চাইতে পারেন। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বিরোধের একটি কারণ ছিলেন মসিউর রহমান। বিশ্বব্যাংক তার পদত্যাগ চাইছিল। মসিউর রহমান ছুটিতে গিয়ে শেষ শর্তটি পূরণ করলে পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি পুনর্বহাল করা হবে—অনানুষ্ঠানিকভাবে এ কথা বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে। তার ছুটিতে যাওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংকের শেষ শর্তটি পূরণ করতেই তিনি এ কাজ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মসিউর রহমান পদত্যাগ করবেন না বলে অনড় ছিলেন। অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং মসিউরের ঘনিষ্ঠজনেরা পদ্মা সেতু ও দেশের স্বার্থে তাঁকে ছুটিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপানের উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধিরাও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি কারও কথাই শোনেননি, বরং প্রধানমন্ত্রী সরাসরি না বলায় মসিউর উপদেষ্টার পদ থেকে সরে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এদিকে, সর্বশেষ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকেও পদ্মা সেতুর স্বার্থে মসিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠাতে দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানানো হয়।

দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই আহ্বান জানালে দলের অন্য নেতারাও তাতে সমর্থন দেন। এরপর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। দেশের বৃহত্তম এই প্রকল্পের জন্য সময় আছে মাত্র চার দিন। ২১ সেপ্টেম্বর জাইকার ঋণচুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকাকে চিঠি না দিলে ঋণচুক্তি আর পুনর্বহাল হচ্ছে না।

যদিও এডিবির ঋণের মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকছে। কিন্তু একটি দাতা সংস্থা ঋণচুক্তি বাতিল করলেই এর প্রভাব অন্য দাতাদের ওপর পড়েসুত্র ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।