পথ হারা পাখি কেঁদে ফিরি একা!!! অতি প্রচলিত জ্বীন-পরী, ভূত-প্রেত নিয়ে ৩ টি ছোট্ট কাহিনী শুনুন।
১. আমার মনে হয় প্রায় সবাই দাদা, ননীর বয়সীদির কাছ থেকে শুনে থাকবেন। সাদা কাপড় পরা এক বুড়ি দেখেছেন কিংবা বিড়াল, কুকুর সহ অন্য কোনো কোনো প্রাণী দেখেছেন যা আসলে ভূত। সাদা কাপড় পরা ভুতের গল্পই প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় বেশী শোনা যায়।
কিন্তু সাদা কাপড় আবিস্কারের বহু বহু আগে জ্বীন ভুত সৃষ্টি হয়েছে।
২. আগের দিনের মিষ্টির দোকানদার সহ সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করতেন জ্বীন-পরী ও ভূতেরা নাকি মিষ্টি ভিষন পছন্দ করে। তারা রাতে এসে মিষ্টি খেয়ে যায়। ছোট বেলায় দেখেছি ও শুনেছি এজন্য আগে প্রায় সারারাত মিষ্টির দোকানের একটি ঝাপ হলেও খোলা রাখা হতো আর অদৃশ্য জ্বীন-পরী ও ভূতেরা মিষ্টি খেয়ে যেতো। তবে ওদের লেনদেন ভালো মিষ্টি খেয়ে নাকি টাকা ক্যাস বক্সের মধ্যে দিয়ে যেতো। আবার এমন কথাও প্রচলিত ছিলো জ্বীন-ভুতেরা মানুষের বেশ ধরে মিষ্টি খেতো ও মানুষের মাঝে চলে বেড়াতো।
কিন্তু মানব সভ্যতায় মিষ্টির দোকান চালু হওয়ার অনেক অনেক আগে জ্বীন-ভূতের সৃষ্টি হয়েছে।
৩. বুড়ো বুড়িরা বলেন সুন্দর ছেলেদের ধরে পরীতে আর সুন্দরী নারীদের ধরে জ্বীনে। যাদের ভালো লাগে তাদের মধ্যে আশ্রয় নেয়। এমন কি মানুষ বেশেও দেখা করে।
৪. একজন মাদ্রাসার ছাত্র ।
তার সহপাঠী সহ মাদ্রাসার একটি হোষ্টেলে রুমে থাকে। একদিন রাতে দু’জনই বিছানায় শুয়ে পড়েছে। ছাত্রটি তার রুমমেটকে বললো বাঁতি টা বন্ধ করে দিতে। রুমমেট কিছুক্ষণ বাদে বাঁতি নিভালো। বাঁতি নেভানোর সময় ভেবেছে ছাত্রটি ঘুমিয়ে গেছে।
ছাত্রটি সহপাঠির বাঁতি নিভানোর কৌশল দেখে ভয়ে চুপসে গেল। বাঁতিটি নেভানো হয়েছে বিছানায় শুয়ে, হাত লম্বা হয়ে সুইচের কাছে গিয়ে সুইচ অফ করা হয়েছিলো। পরের দিন ঘটনাটা ছাত্রটি সবার মাঝে বললেন। জানাজানি হয়ে গেলো ওই সহপাঠী আসলে মানুষ না জ্বীন। এরপর থেকে সহপাঠীটি হাওয়া হয়ে গেলেন।
এখনও নাকি জ্বীনরা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে বলে প্রচলিত আছে। তবে কারও কাছে ধরা পরে গেলে চলে যায়। জ্বীনদের আবার দু’ভাবে ভাগ করা হয় ভলো জ্বীন আর বদ জ্বীন। ভালো জ্বীনেরাই মাদ্রাসায় পড়ে জ্ঞান অর্জন করে।
কিন্তু মাদ্রাসা সৃষ্টির বহু বহু আগে জ্বীন সৃষ্টি হয়েছে।
যাই হোক দেখা যাচ্ছে মানব সভ্যতার আধুনিকায়নের সাথে সাথে জ্বীন-ভূতরা তাদের কৌশল বদলাচ্ছে। এখন তথ্য প্রযুক্তি চরম অগ্রগতির যুগ। অনেক শিক্ষিত জ্বীন ব্লগের লেখা পড়ে বা নিজে ব্লগ লিখে মজা পাচ্ছে। যারা নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম না। সুন্দর পুরুষ কিংবা সুন্দরী নারীর সাথে জ্বীন ভুত থেকে থেকে তাদের ইন্টারনের ব্যবহার করা দেখে নিজেরাও আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
ফেসবুক, সামু সহ ইন্টারনেটের মজাদার সর্বক্ষেত্রে জ্বীন, পরী, ভূত, প্রেত ও প্রেত-আত্মার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। যদি কোনো দিন দেখেন আপনার মনিটরের ভিতর দিয়ে সোজা মুখমন্ডল বেড় করে কেউ আপনার সাথে কথা জুড়ে দিয়েছে মোটেও অবাক হবেন না বা ভয় পাবেন না। স্বাভাবিক ভাবে আলাপন চালিয়ে যাবেন। মনে করবেন কোনো জ্বীন, পরী, ভূত, প্রেত বা প্রেত-আত্মার আপনাকে পছন্দ হয়েছে। সামুতে যদি আপনার কাউকে জ্বীন ভুত বলে সন্দেহ হয় কিংবা কোনো পোস্ট ভাল বা বদ জ্বীনের লেখা বলে সন্দেহ হয় লিংক সহ জানাবেন।
আসুন আমরা জ্বীন ভুত চিনতে শিখি।
আবার কেউ সামুর মডারেটরদের জ্বিন ভুত ভেবে বসবেন না। তারাও তো অদৃশ্য। তবে জ্বীন ভুত মডারেটরদের ফাঁকি দিয়ে কোনো পোস্টকে নির্বাচিত অনির্বাচিত করে দেয়াটাও অসম্ভব নয়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।