আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৃথীবির প্রাচীন এবং ভয়ংকর শাস্তি প্রদান পদ্ধতি

working in DPL আজকে আমি আপনাদের মধ্যযুগ এবং তারও আগের কিছু মৃত্যুদন্ড প্রদান পদ্ধতি আপনাদের কে জানাব.... ১০. DEATH BY BOILING আপনি কি কখনও যখন কিছু গরম উপচে পড়ার কারণে আপনি মর্মযন্ত্রণাপূর্ণ ব্যথা পেয়েছেন কি? যদি হ্যাঁ তবে আপনি এই সঞ্চালনের বিশেষ পদ্ধতির সঙ্গে জড়িত কষ্ট কল্পনা করতে সক্ষম হতে পারেন । দুর্ভাগা ব্যাক্তি কে একটি জল ভর্তি পাত্রর মধ্যে রাখা হয় । কল্পনা করতে ছিল প্রথমে ঠান্ডা. তারপর একটি অগ্নি পাত্র নীচে দেয়ি হত যাতে পানি ধীরে ধীরে গরম হয় এবং বন্দী জিবন্ত সেদ্ধ হতে থাকে। এই ভাবে এক সময় সে মারা যেত। . শাস্তির এই পদ্ধতিটি প্রায় 500,000 বছর বয়সী এবং চর্চা হত প্রাচীন চীন এ।

নিশ্চিত চীন কিছু পাশবিক শাস্তি আবিস্কার করেছিল এবং এটাও বলা হয় যে মৃত্যুদন্ড এই পদ্ধতি যুক্তরাজ্য বিদ্যমান ছিল 1500 শতক পর্যন্ত। ০৯. CRUCIFIXION এই মৃত্যুদন্ড এই পদ্ধতি যীশু খ্রীষ্টের অনুসরণ করে। একটি ক্রুশকাঠ এ বন্দি ব্যাক্তিকে পেরেক দিয়ে হাত পা কাঠের বা লোহার ক্রুশে দিয়ে উন্মুক্ত স্থানে ছেড়ে দিত। বেশির ভাগ সময় বন্দী সাধারণত রক্ত ঝরা থেকে মারা যেত। কোন কারনে যদি সে মারা না যেত তবে ক্ষুধা বা তৃষ্ণা দ্বারা মারা যেত।

সে সমস্ত বন্দী ছিল ভাগ্যবান, সে শুধু তীব্র ঠান্ডা বা তাপ দ্বারা মারা যেত। ০৮. FLAYING এর মত নিষ্ঠুর পদ্ধতি আমি আর শুনিনি । এটি বন্দিকে জীবন্ত রেখে ত্বকের সমগ্র শরীর থেকে চামড়া অপসারণ করা হত । এটি ছিল একটি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড প্রদান সার্বজনীন পদ্ধতি । মাঝে মাঝে ব্যাথার তীব্রতা বাড়ানোর জন্য লবণ মাখানো হত।

এই ভাবে অশেষ যন্ত্রনা ভোগ করে বন্দি মারা যেত। ০৭. DISEMBOWELMENT এটি ছিল সবচেয়ে গুরুতর শাস্তি । তখনকার দিনে চোর এবং ব্যভিচারে ছিল বেশি তাই এই শাস্তি প্রচলন হয়েছিল। ইংল্যান্ডে disembowelment বেশিরভাগই ছিল রেওয়াজ । এই শাস্তি হল অত্যাবশ্যক অঙ্গ আপনার শরীর থেকে এক এক করে ছুড়ি বা ধারালো কোন অস্ত্র দ্বারা অপসারণ করা হত বন্দি মারা না যাওয়া পর্যন্ত।

০৬. BREAKING WHEEL এই বিশেষ যন্ত্র ক্যাথরিন এর চাকা নামেও পরিচিত ছিল । এ পদ্ধতিতে বন্দি কে একটি বড় চাকার সাথে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রশস্ত ব্যবধানযুক্ত করে আবদ্ধ করা হত এবং তা ঘুরানোর সাথে সাথে অঙ্গ প্রসারিত হত। চাকা ঘোরানোর সময় একটা হাতুড়ি দিয়ে একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র ব্যক্তির হাড় এ নিয়মিত বিরতিতে আঘাত করা হত । এই প্রক্রিয়ায় মৃত্যু সাধারণত খুব দীর্ঘ হত। সাধারণত একজন ব্যক্তির প্রতিটি অঙ্গ নষ্ট করা হত ।

এটা অবশ্যই একটি দীর্ঘ ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু। যদি সব বন্দি ছিল ভাগ্যবান যারা বুকে বা পেটে একটি সরাসরি ঘা গ্রহণ করে অবিলম্বে মৃত্যু বরন করত। ০৫. IMPALEMENT আপনি একটি ইনজেকশন মাধ্যমে ঔষধ গ্রহণ করার কথা ভাবুন; অতন্ত্য চিকন এই সুই যদি আপনার চামড়া ভেদ করে, আপনি ব্যথা অনুভব করেন। এখন এই সুই হাজার হাজার গুণ বড় কল্পনা করুন, এবং তা আপনার পেট এর মধ্যে কেউ এটি যদি ঠেলে ঠেলে প্রবেশ করায় তবে তা কেমন লাগবে??? বা এটা কল্পনা করুন যে এটা আপনার মুখ দিয়ে চালিত হচ্ছে। কিংবা আপনি এটি আপনার কল্পনা মলদ্বার বা যোনি মাধ্যমে কেউ প্রবেশ করায় তবে তা কেমন হবে।

?????? এই পদ্ধতি সব সময়ে একটি প্রাচীন শাস্তি হিসাবে চর্চা করা হত। ০৪. CRUSHING এই শাস্তি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বেশি ব্যবহৃত হত। বন্দি ব্যাক্তির মাথা একটি পাথর অথবা একটি সামান্য extruded পৃষ্ঠতলের আবদ্ধ করা হত। একটি উচ্চ প্রশিক্ষিত হাতি দ্বারা ধীরে ধীরে মাথা উপর চাপ প্রয়োগ করে মাথা পিষ্ট করা হত। বন্দি তার শেষ নি: শ্বাস - প্রশ্বাস নেওয়ার পূর্বে সমস্ত অন্তর দ্বারা মৃত্যুর horror বোধ করত ।

ভাবুন তো একবার ব্যাপারটি। ০৩. DEATH BY BURNING শিরোনাম থেকে আসলে ব্যাখ্যা করা কঠিন এই শাস্তি সম্পর্কে। এ পদ্ধতিতে প্রথম পায়ে দেয়া হত, তারপর উরু, নিম্ন উদর, তারপর বুকে এবং পরিশেষে ঘাড় এবং মাথা । বন্দি ব্যক্তি সাধারণত মৃত্যু পর্যন্ত অবর্ননীয় যন্ত্রনা ভোগ করত যতক্ষন না ঘাড় এবং মুখ আগুন লেগে মারা নাযেত। শুধু কল্পনা করুন যে কি বেদনাদায়ক প্রক্রিয়ায় পুরো ব্যাপারটি ঘটত।

০২. SAWING আপনি একটি করাত এবং মানব দেহ সর্ম্পকে ভাবুন। এই পদ্ধতিতে সাধারণত বন্দি ব্যক্তিকে পা ধরে ঝুলিয়ে দিত । তারপর করাত এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে সমগ্র শরীরের মধ্য দিয়ে চালিত করা হত এবং অবশেষে মাথা দুই ভাগের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হত। ভয়াবহ ব্যাপার। ০১. SLOW SLICING এটা ছিল 900 খ্রিস্টাব্দ এর প্রচলিত পদ্ধতি ছিল ।

এবং সাধারণত চীন এ চর্চা করত। এটা চীন হিসাবে 'Ling চি' নামে যা 'দীর্ঘস্থায়ী মৃত্যু' । শব্দগুলি ভীতিকর? এটা আসলে. ব্যক্তির slicing যা নিছক একটি ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আস্তে আস্তে কাটা হত। এটি ছিল একটি খুব ধীর মৃত্যু প্রক্রিয়া, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশ মিনিটের বেশি দীর্ঘস্থায়ী । দেখুন ভালো লাগে কিনা? ভালো লাগলে জানাইয়ের কষ্ট করে  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.