আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিন্সেস ডায়ানা-ডাই ইলুমিনাতি গেম কার্ডের ব্যাখা।

প্রিন্সেস ডায়ানা- যাকে বলা হয় হৃদয়ের রানী। যদিও তিনি কখনোও রানী হতে পারেননি। হতে পারেননি কুইন অফ ওয়েলস। আজ তার মৃত্যু বার্ষিকী। এরকম দিনেই ফ্রান্সে প্রেমিক আল ফায়েদের সাথে ফ্রান্সের একটা টানেলে গাড়ী দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।

ভয়াবহ রকমের দুর্ঘটনা ঘটে সেদিন। শুধু বেঁচে যায় দায়ানার দেহরক্ষী। পৃথিবী জুড়ে প্রচারিত হয়,মিডিয়ায় সারা পড়ে যায় খবর। কার এক্সিডেন্টে প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু। অনেকেই মনে করে তার মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে হয়নি, এর পেছনে রাজ পরিবারের হাত আছে, অনেকে মনে করে ব্রিটিশ ইন্টালিজেন্স এর সাথে জড়িত।

‘MI6 team in Paris at time of Diana crash’ ুনেকে এটাও ভাবে যে গাড়ির ড্রাইভারকে অনেক টাকার অফার দেয়া হয়েছিলো। যদিও এর প্রমান পাওয়া যায় নি। তবে ফ্রান্সের রাস্তায় ট্রাফিকের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, পাপারাজ্জিরা যখন তাদের ধাওয়া করে, গাড়ী চালক তার স্পিড বাড়িয়ে দেয়, এর উপর সে থাকে মাতাল। গাড়ি যখন টানেলে প্রবেশ করে তখনোও তার স্পিড ঐ বাড়ানো অবস্থাতেই ছিলো, সাধারনত টানেলে স্পিড কমাতে হয় কারন রাস্তা সরু। কিন্তু সে তা করেনা, আর ঠিক ঐ অবস্থাতেই সামনে একটা সাদা ফিয়াট গাড়ি এসে হাজির হয়, যে গাড়ীটার নাম পরবর্তীতে রাখা হয় গোস্ট ফ্যান্টম ফিয়াট।

হর্ন বাজানোর পরও সেটা সাইড দেয় নি। অনেকে এরকম শোনা যায় যা সে ফিয়াট গাড়ীর ড্রাইভার ছিলেন একজন পাপারাজ্জি যে ডায়ানাকে প্রথম থেকেই ফলো করতো, পরে সে নিজ বাড়ীতে আত্নহত্যা করে। DIANA: FIAT DRIVER ‘SHOT IN THE HEAD’ চেপে আসে অনেকটা, ফলাফল পিলারের সাথে সজোরে আঘাত হানে দোদি আল ফায়েদের লিমুজিন। কিন্তু সে গাড়ীটার নাম্বার দেখার পরও সেটা গ্রেপ্তার করার কোন ততপরতা দেখা যায় নি কারো ই। এমনকি তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় কোন ফিয়াট নামক গাড়ী নাকি ছিলোই না।

DIANA KILLED BY FIAT DRIVER SAYS POLICE CHIEF তদন্ত রিপোর্টও করা হয় নি রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে। এমনকি কোন পোস্ট মর্টেমও না। যেটা করা হয় সেটা ডায়ানাকে হাসপাতালে নেয়ার পর ঐ হাসপাতালের ডাক্তাররাই করে। কিন্তু ব্রিটেনে লাশ আনার পর সেটা সরাসরি কবর দেয়া হয়। দোদি আল ফায়েদের বাবা বলেছিলেন সেই ফিয়াট গাড়ীটাই হতে পারে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের।

েরা সবাই মিলে হত্যা করেছে ডায়ান আর তার ছেলেকে। কিন্তু তদন্ত রিপোর্টে সেটা অস্বীকার করা হয়। যারা ডায়ানার গাড়ী দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন, Diana was alive after the crash: Witness তারা সবাই সেই ফিয়াট উনো গাড়ীটিকে দেখেছে সেই রাতে টানেলে। WITNESSES PICK OUT FIAT DRIVER IN DIANA CRASH এছাড়াও দুর্ঘটনার প্রায় ১৫ মিনিট পর এম্বুলেন্স আসে ঘটনাস্থলে। েমন শোনা যায় দুর্ঘটনার পর এক জন মহিলা ডায়ানাকে গাড়ী থেকে উদ্ধার করে টানেলের পাশে বসায়, কিন্তু আয়াম্বুলেন্স এসে তাকে সরিয়ে দেয়।

তিনি এটাও বলেন যে দুর্ঘটনার পর অনেক্ষন ডায়ানা ও মাই গড বলে কাতরাতে থাকে। এর অনেক পরে আসে এম্বুলেন্স। পরে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্য রত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। রিপোর্টে বলা হয় কার্ডিয়াক এরেস্টের ফলে মৃত্যু। আর দেরী করার কারন হিসেবে এম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ বলে ডায়ানার পা সিটের সাথে আটকে ছিলো, এর কারনে দেরী হয়েছে।

প্রত্যক্ষ্য দর্শী জানান সেখানেই অনেক রক্ত ক্ষরন হয় তার। কিন্তু ছবিতে দেখা যায় গাড়ীর সামনের অংশটাই ফ্যাটালি ইনজুরড হয়েছে, পিছনের অংশটা (যেখানে ডায়ানা বসা ছিলো) সেটা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি। সামনে এর বাদিকে ছিলো ড্রাইভার তার বরাবর পেছনে ফায়েদ, যেহেতু বাম দিকে প্রেসার বেশী পরে তাই বাম দিকের ২ জনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। আর ড্রাইভারের পাশে এর সিটে ছিলো ডায়ানার দেহ রক্ষী, যিনি বেচে যান, আর তার বরাবর পেছনে ছিলো ডায়ানা। প্রশ্ন হচ্ছে সামনের সিটে দেহ রক্ষী হাসপাতালে গিয়ে বেচে যান, কিন্তু ডায়ানার মৃত্যু হয় কিভাবে আর তাও আবার কার্ডিয়াক এরেস্টের ফলে! প্রিন্স চার্লসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে ডায়ানা নিজেকে মিডিয়া থেকে আড়াল করতে চাইতেন, চাইতেন ক্যামেরার ফ্লাশ যেনো তার পিছু নিতে না পারে।

অনেকতা আত্নগোপন করতে চাইতেন নিজেকে। কিন্তু মিডিয়া তার পিছু ছাড়ে নি। ব্রিটিশ রাজ পরিবার সেক্রেট সোসাইটির সদস্য। অনেকেই জড়িত ডায়ানার মৃত্যুর সাথে। মৃত্যুর আগে ডায়ানাকে মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছিলো।

এ কারনেই তাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে মিডিয়ার চোখ কে ফাকি দ্যে চলতে হয়েছে। ডায়ানার এসাসিনেশনে ইলুমিনাতিরা দুটি এজেন্ডা ব্যাবহার করেছে, পাপারাজ্জি আর হুইসপারিং ক্যাম্পেইন। হুইসপারিং ক্যাম্পেইন মূলত হয়ে থাকে মিডিয়া দ্বারা, স্ক্যান্ডাল ছরানোই এদের কাজ। ভিক্টমকে মানসিক ভাবে অবসাদ গ্রস্ত করতে এদের জুড়ি নেই। ফলাফল হয় ভিক্টিম আত্নহত্যা করবে আর না হয় নেশার দিকে ঝুকে পড়বে।

মানসিক ভাবে হত্যা হওয়া ছারা আর কিছুই করার থাকেনা তখন। মিডিয়া ডায়ানার বিরুদ্ধে অনেক খবর ছড়াচ্ছিলো যেটা ব্রিটিশ পরিবারের জন্য বিব্রত কর। যেমনঃ • ডায়ানা একজন মুসলিমকে বিয়ে করতে যাচ্ছে। • ডায়ানা ফায়েদকে বিয়ে করলে প্রিন্স হ্যারি আর উইলিয়ামের সৎ বাবা হবেন একজন মুসলিম। • ডায়ানা সন্তানুসম্ভবা।

• বাচ্চা হলে প্রিন্সেস এর বাচ্চা হবে মুসলিম, ইত্যাদি। • রাজ পরিবারে মুসলিম সন্তান। এরকম আরোও স্ক্যান্ডাল, ষঢ়যন্ত্র ছড়াচ্ছিলো ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড গুলো। ডায়ানাকে কেনো হত্যা করা হলো? এ প্রশ্ন আসতেই পারে। এর একটাই উত্তর, ডায়ানা স্বাধীন চেতা মানুষ ছিলেন, তার অনেক চ্যারিটেবল সংস্থা ছিলো, এমনকি সে ছিলো যুদ্ধের বিপরীতে।

অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ এলাকায় সে গিয়ে মানুষকে সরাসরি সাহায্য করেছে, এমনকি আফ্রিকায় ল্যান্ড মাইন বিরোধী প্রচারনা, গৃহ যুদ্ধ বিরোধী প্রচারনা তার নেতৃত্বে হয়েছে, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠার পথে সে ছিলো একটা বাধা। এ কারনেই তাকে হত্যা করা হয়। তবে মৃত্যুর কারন যা ই হোক না কেনো। ডায়ানা যে কখমোও রানী হতে পারবে না, এবং চার্লস হবে ভবিষ্যতের রাজা, এটা আগেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিলো ইলুমিনাতি গেইম কার্ডে। কার্ডের ছবি দেখেই আমি বলছি আপনারা মিলিয়ে নিন।

প্রিন্সেস ডায়ানার মাথার মুকুটটা লক্ষ্য করুন ভালোভাবে, এই মুকুটের নাম হচ্ছে প্রিন্সেস তিয়ারা, অর্থাৎ এটা শুধুমাত্র প্রিন্সেসের জন্য, রানীর জন্য নয়। এই মুকুট বিয়ের সময় রানী ৩য় এলিজাবেথ (চার্লসের মা) ডায়ানাকে উপহার দেয়। এবার প্রিন্স চার্লসের কার্ড দেখুন, তার হাতে যে মুকুট টা আছে সেটা হচ্ছে রাজার মুকুট, এর নাম সেন্ট এডমান্ড ক্রাউন, কেবল মাত্র ব্রিটেনের রাজা ও রানীরাই এ মুকুট পড়ার অধিকার রাখে। ডায়ানা যদি রানী ই হতো তাহলে হয়তো কার্ডে তার মাথার এডমান্ড ক্রাউন থাকতো, কিন্তু না সেটি গিয়েছে প্রিন্স চার্লসের হাতে,অর্থাত সে রাজা হতে যাচ্ছে,হয়েছেও তাই। চার্লসের শার্টের পকেটে ইলুমিনাতি সাইন দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য ডায়ানার সাথে চার্লসের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারনে তাকে প্রিন্সেস উপাধিও হারাতে হয়। হতে পারেননি শেষ পর্যন্ত রানী। যেটার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল ইলুমিনাতি কার্ডে। প্রিন্স থাকা অবস্থায় চার্লস যে মুকুট পেয়েছলেন তার মা এর কাছ থেকে সেতার নাম ছিলো করনেট অফ প্রিন্স অফ ওয়েলস। দেখুন এই কার্ডের দেয়া মুকুট আর এই মুকুটের পার্থক্য পান কিনা।

হ্যা যথেষ্ট পার্থক্য আছেতা নয় কি? আর কার্ডের মুকুটের সাথে এডমান্ড মুকুট টি মিলিয়ে দেখুন তো মিল পান কিনা? হ্যা এটাই রাজার মুকুট। যেটা ইলুমিনাতি কার্ডে চার্লস ধরে আছে। এবার আসি তাদের কার্ডের ব্যাক গ্রাউন্ড নিয়ে। প্রিন্সেস ডায়ানার কার্ডের নাম princess Di । Diana কে সংক্ষেপে Di ডাকা হতো।

কিন্তু লেখাটা পড়লে উচ্চারন হয় প্রিন্সেস ডাই অর্থাৎ প্রিন্সেস এর মৃত্যু। এটা একটা ইঙ্গিত। আর পেছনের দিকে খেয়াল করুন, ডায়ানার মুকুট পরিহিত ছবির পিছনে ক্যামেরা ম্যান আর ক্যামেরার ফ্লাশ দেখা যাচ্ছে। এদেরকে দিয়ে পাপারাজ্জি বোঝানো হয়েছে। এমন অনেক পাপারাজ্জি রয়েছে যারা সেক্রেট সোসাইটির সাথে জরিত।

এই পাপারাজ্জি ই ছিলো ডায়ানার কার এক্সিডেন্টের কারন, এ থেকেই বোঝা যায় এটা প্রি প্লানড। কারন কার্ড রিলিজ পেয়েছে ১৯৯৫ এ, আর ডায়ানার মৃত্যু হয় ১৯৯৭ সালে! এবার আসুন চার্লসের কার্ডে, পেছনে একটা পলো খেলোয়াড় পোলো খেলছে। এর মানে কি? হ্যা এটা দিয়ে দোদি আল ফায়েদের সাথে ডায়ানার প্রথম পরিচয় এবং বিবাহ বিচ্ছেদ ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এবং ডায়ানার সাথে একজন হবে ইলুম্নাতিদের বলির পাঠা, এটাও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। দোদি আল ফায়েদের সাথে ডায়ানার প্রথম দেখা হয় পোলো খেলার মাঠে।

মাঠে তখন খেলা চলছিলো প্রিন্স চার্লস এবং দোদি আল ফায়েদের দলের মধ্যে। সে খেলায় দোদি আল ফায়েদের দল হেরে যায়। the couple first met in 1986—when the Al Fayed polo team, for which Dodi played, beat Charles's team in a match at Windsor Great Park এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানেই প্রথম কথা হয় ডায়ানা আর ফায়েদের। আসলেই বিস্নয়কর, আপনাদের মতো আমার মনেও প্রশ্ন ঘুরছে, যে, এই কার্ড যিনি তৈরী করেছেন (স্টিভ জ্যাকসন) তিনি কিভাবে এতো সব জানলেন?! নাকি সবই কো ইন্সিডেন্স?! এর উত্তর আসলেই আমার কাছে নাই। আমিও অপারগ,আর এ কারনেই আগ্রহ নিয়ে এই কার্ড গুলো আমার কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রতিদিন দেখি আর ভাবি, কিভাবে সম্ভব? রয়েল পরিবার কি কাপুরুষতার পরিচয় দিলেন না এমন একটা ষড়যন্ত্র করে? দোদি আল ফায়েদ পোলো খেলায় সেদিন হেরেছিলেন ঠিকই, কিন্তু জিতে নিয়েছিলেন চার্লসের হৃদয়ের রানী কে।

প্রিন্স চার্লস কি জীবনের খেলায় হেরে গেলেন না? সত্যিকারের রাজা আর রানী সে, যে সিং হাসনের আশায় না থেকে নিজেকে প্রজাদের সেবায় বিলিয়ে দেয়। ডায়ানাও তা ই করেছিলেন, এ কারনেই তিনি সাধারন মানুষের হৃদয়ের রানী। আর সত্যিকারের সিঙ্ঘাসন হচ্ছে মানুষের হৃদয়, সোনায় মোড়ানো চেয়ার না। ডায়ানা রানী না হয়েও মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছেন, ক্যামিলা পার্কার তার কাছেও ্যেটে পাড়েণ নি। এ কারনে মানুষ ডায়ানাকে এখনোও রানী বলেই সম্বোধোন করে থাকে।

একটা ব্যাপার দেখুন, ডায়ানা মরবে কিনা সেটা নয়, উনি যে কখনোও রানি হতে পারবে না, সেটা কিন্তু ইলুমিনাতি কার্ড প্রেডিক্ট করে গেছে বহু আগেই! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.