আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়েট কোলা পানীয়গুলোও কিন্তু ওজন বাড়ায়

ভালোবাসা যখন প্রান্তে, হৃদয় কাদে শূণ্য হয়ে মুটিয়ে যেতে চান না বলে ডায়েট কোলা খাচ্ছেন? বিশ্বাস করুন ড্যারেন জোন্সও তাই ভাবতেন। আর তাই তিনি প্রতিদিন ডায়েট কোক খেতেন ১৮ ক্যান। সম্প্রতি বৃটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল-এ জোনসের ছবি ছাপা হয়েছে। তার ওজন এখন ৫০০ পাউন্ড বা প্রায় ২২৭ কেজি। শুধু জোনস নন, ডায়েট সোডায় আসক্ত আরো কিছু তারকার নাম পাওয়া যায়।

এ তালিকায় আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সঙ্গীত শিল্পী ভিক্টরিয়া বেকহাম, এলটন জন, মুভি মোগল হার্ভি উইনস্টাইন এবং জেফরি কাজেনবার্গ। নিউ ইয়র্ক টাইমসে তাদের এ আসক্তি নিয়ে খবরও ছাপা হয়েছে। খ্যাতিমান ডায়েটিশিয়ান আলিশা জায়েডও গতবছর টুইটারে ডায়েট কোকের প্রতি নিজের আসক্তির কথা জানিয়েছেন। গবেষকরা সোডা মেশানো ডায়েট পানীয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রমাণ পেয়েছেন। এর ক্ষতিকর প্রভাবে হৃদরোগ, স্ট্রোক কিংবা কিডনিতে সমস্য হতে পারে।

এছাড়া ওজন বৃদ্ধি এবং নারীদের ক্ষেত্রে অপরিণত শিশু জন্মদানের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। ডায়েট পানীয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটি নিয়মিত গ্রহণে আসক্তি তৈরি হয়, যেমনটা হয়েছিল ড্যারেন জোন্স-এর বেলায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সোডাযুক্ত পানীয় খাচ্ছেন এমন কেউ যদি একদিন পানীয় না খান তবে তার ওজন ২৬ আউন্স কমে যায়। আসক্তির কারণ হিসেবে সোডাযুক্ত কোলায় ক্যাফেইনকে দায়ী করা হচ্ছে। আট আউন্স কোকে ৪৭ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে।

জার্নাল অফ জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিন মানবদেহে সোডার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছে। আড়াই হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের ওপর চলে এ গবেষণা। প্রতিদিন সোডা খাওয়ানোর ফলে সেখানকার ৪৩ শতাংশ লোকের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সালে হারভার্ডের একদল গবেষক জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন দুইয়ের বেশি ক্যান কোলা খেলে এর প্রভাবে কিডনি ৩০ শতাংশ অকেজো হয়ে যায়।

কাজেই সোডা জাতীয় পানীয় সেটি ডায়েট হোক বা প্রচলিত ধরনেরই হোক, সাবধান! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।