আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুরে এলাম লুলহাট

inside you're ugly ugly like me লুলহাটঃ দিনাজপুরের একটা জায়গার নাম। রামসাগর থেকে আসার পথে লগের ফ্রেন্ড কইল মাক্সো ডাইনে দেখ লুলহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাকাইয়া থ হৈয়া গেছিলাম। আসলে জায়গাডা লুলহাট না পুলহাট। হালায় ভুল দেখছিল।

তবে রামসাগরের লুলকাহিনী ভুলার মত না। রামসাগরে ঢুইকাই দেখলাম আবহাওয়া প্রতিকূল। যেকোন সময় মেঘ তার বাচ্চাকাচ্চা পয়দা করতে পারে আর টাইম ও ছিল শর্ট। ভিজার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সম্ভব না। তাই একটা ভ্যানে উঠলাম।

কিছুদূর যাইতে না যাইতে উথাল পাতাল বৃষ্টি। ভ্যানমামা একটা নীল পলিথিন বের করে বলল মাথার উপ্রে দিয়া বইয়া থাকেন। আমি পুরা মাথা ঢাকনা দিলাম। প্রচন্ড বৃষ্টি। আমরা দুইজন ভ্যানের সামনের দিকে আর দুইজন পিছনে।

এমন সময়ে পিছনের ফ্রেন্ড সিনেমা স্টাইলে চিল্লানি দিল বাচাও বাচাও। পর্দা সরাইয়া দেখি বৃষ্টিতে এক যুগল দৌড়াইতাছে। দুইডাই পুরা ভিজা মেয়েটা সামনে পোলাডা পিছনে। স্টাইলডাও বাংলা সিনেমার ছিল। কোনমতে রামসাগর দেইখা বাসষ্ট্যেন্ডের দিকে রওয়ানা দিলাম।

লাস্ট বাসটা পাইয়া উইঠ্যা গেলাম। ওমা ১ ঘন্টা পরেও দেখি বাস ছাড়েনা। কাহীনি কি? এলাকার কিছু পোলাপাইন বাসে উঠে এক যাত্রীরে পিডাইতে চায়। হেডফোনডা কান থেইকা নামাইয়া ঘটনা কি বুঝতে চেষ্টা করলাম। হুনলাম ঢাকার একপোলা সিথি ভাইয়ের মাইয়ার লগে দেখা কর্তে আইছে।

এখন সিথিভাইয়ের ভাবী মেয়েরজামাইর দল উনারে শান্টিং দিতে চায়। মনে মনে কইলাম কেডা এই হুমুন্দির নাতি। পিছনে ফিরা দেখি রামসাগরের ঐ বৃষ্টিভিজা রোমিও। এরপরে আবার হেডফোনে কনসেনট্রেইট করলাম। এরপর বাসে চড়ে গেলাম পারবতীপুর।

উদ্দেশ্য জয়পুরহাট। ট্ড়েনে উঠতেই মাথা খারাপের যোগার। ৬০ জনের বগিতে আনুমানিক ২০০ জন যাত্রী। কার কোলে যে কে বইয়া আছে বুঝতেই কষ্ট হৈয়া যায়। আড়াই ঘন্টার মত একপায়ে দাড়াইয়া থাকতে হৈছে।

এরমধ্যে কিছু গাজাখোর ইস্মার্ট পোলাপাইন ভুলভাল লালনের গান শুরু করছে। আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারতাছিনা এরমধ্যে তাদের একজন নিজেরে চূড়ান্ত রকমের জোকার প্রমানের জন্য ভাষন দেয়া শুরু করল, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিব। তত্‍খনাত এক ফ্রেন্ড তারে কইল ভাই, রক্ত না পেইন৬০ জনের বগিতে আনুমানিক ২০০ জন যাত্রী। কার কোলে যে কে বইয়া আছে বুঝতেই কষ্ট হৈয়া যায়। আড়াই ঘন্টার মত একপায়ে দাড়াইয়া থাকতে হৈছে।

এরমধ্যে কিছু গাজাখোর ইস্মার্ট পোলাপাইন ভুলভাল লালনের গান শুরু করছে। আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারতাছিনা এরমধ্যে তাদের একজন নিজেরে চূড়ান্ত রকমের জোকার প্রমানের জন্য ভাষন দেয়া শুরু করল, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিব। তত্‍খনাত এক ফ্রেন্ড তারে কইল ভাই, রক্ত না পেইন, পেইন। আমাদের গন্তব্য প্রায় চলে আসছি ভাবলাম এগুলাতো বহুত পেইন দিল এবার একটু রিভার্স হোক। কোনমতে ট্রেনের দরজার কাছাকাছি আইসা আওয়াজ দিলাম ভাই গান তো ভালই চল্তাছিল থামল কেলা? চলুক।

আবালডি নগদে ফাডা গলা দিয়া প্যাক প্যাক ইস্টার্ট দিল, আজ দুঃখ ভোলার দিন। ;->;-> রাগে দুঃখে ইচ্ছা করল দরজা দিয়া লাফ দেই। পরে নিজেরে কন্ট্রোল দিলাম। ট্রেন ১ মিনিটের মাথায়ই থামল কোনমতে নাইমাই বিড়ি ধরাইলাম আর ওবায়দুল কাদেরের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে করতে বাড়ির দিকে হাটা দিলাম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.