আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলমানেরা এসলাম শিখেছে খ্রিস্টানদের কাছ থেকে

এক ঐতিহাসিক সত্য আপনাদের সামনে আজ তুলে ধরছিঃ- ইউরোপের খ্রীস্টান জাতিগুলো সামরিক শক্তিবলে পৃথিবীর সবকটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ অধিকার করার পর এরা যাতে আর কোনদিন খ্রীস্টারদের শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিল । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলো দুটি। (এক) যে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলিতে প্রকৃত শিক্ষা হোত তা বন্ধ কোরে দেওয়া। (দুই) শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা। (এক) খ্রীস্টানরা সামরিক বলে বিজয় লাভ করলেও তারা নিশ্চিন্ত হতে পারছিলো না।

আর সেজন্য- তখন বিদ্যমান বিদ্যালয়গুলি, যেগুলির নাম ছিলো মাদ্রাসা (যে গুলিকে তারা তাদের জন্য হুমকী মনে করলো) ধ্বংস কোরে দিলো। এই ধ্বংস তারা কোরেছিলো কয়েকটি উপায়ে, বেছে বেছে কতকগুলি বন্ধ কোরে দিল, কতকগুলিকে সর্বরকম সাহায্য বন্ধ কোরে দিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে ফেলে দিলো। (দুই) শিক্ষা ব্যবস্থা এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে সৎ-চরিত্রবান মানুষ যেমন তৈরি করা যায় তেমনি অসৎ-দুশ্চরিত্র মানুষেও পরিণত করা যায়। শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হতে হবে যাতে তারা প্রকৃত শিক্ষা না পায়, এবং এই জাতি যেন কখনও তার প্রকৃত স্বত্বা খোঁজে না পায়। আর তাই আরবী মাধ্যমে নতুন কোরে মাদ্রাসা শিক্ষা চালু করা।

আর এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলো অরিয়েন্টালিস্ট বা প্রাচ্যবিদদের, যাদের কাজই ছিলো এসলাম সহ প্রাচ্যের বিভিন্ন ধর্ম, কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস ইত্যাদির উপর গবেষণা করা। তারা অনেক দনি ধরে বহু গবেষণা করে অতি সতর্কতার সাথে জাতির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য মনে পড়তে পারে এমন সব কিছুকে ছেটে ফেলে সেই এসলামের সামরিক দিকটাও বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় ছোট-খাট ব্যাপার ও বিষয় দিয়ে নতুন পাঠ্যক্রম বা সিলেবাস তৈরী করা হলো। আর তা প্রয়োগ করে দেখার জন্য ১৭৮০ সনে কোলকাতায় "আলীয়া মাদ্রাসা" নামে একটি মাদ্রাসা তারা তৈরী করে তার পরিচালনার ভার অর্পণ করে এ দেশীয় একজন মোল্লার হাতে, যিনি খ্রিস্টানদের বেধেঁ দেওয়া সিলেবাস বা পাঠ্যসূচি দিয়ে এসলাম শিক্ষা দিবেন। কিন্তু মাদ্রাসার সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনভার নিজেদের হাতে রেখে দিলেন। অর্ধশতাব্দী ধরে এ পদ্ধতিতে শিক্ষা দেবার পর তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখলো যে এ থেকে তাদের আশানুরুপ অল আসছে না, তখন তাদের তৈরী এসলাম শিখিয়ে মুসলিম জাতিটিকে চিরতরে পঙ্গু, অথর্ব কোরে নিজেদের শাসন দীর্ঘদিনের জন্য পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে ১৮৫০ সনে ব্রিটিশ খ্রীস্টান শাসকরা তাদের প্রতিষ্ঠিত আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদটিও নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়।

প্রথমে ডঃ স্প্রিংগারকে এ পদটিতে বসান । তারপর একাধিক্রমে ২৭ জন খ্রীস্টান দীর্ঘ ৭৬ বৎসর (১৮৫০-১৯২৭) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে আসীন থেকে এই মুসলিম জাতিকে এসলাম শিক্ষা দিলেন। ফ্রান্সরা- আলজেরিয়া ও অন্যান্য উপনিবেশে; ব্রিটিশরা- ট্রিপলী, লিবিয়া, ইটালি, মিশর, ভারতে; ওলন্দাজ (ডাচ)রা ইন্দোনেশীয়া ও ইন্দোচীনে। এক কথায় মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র ইউরোপীয় শক্তিগুলি এই জাতিটিকে অন্ধ করে রাখার মোটামোটি এই একই পদ্ধতি কার্যকর করলো এবং তারা শতভাগ সফলও হলো। তারা যে সফল তা মুসলিম জাতিটির দিকে তাকালেই বুঝা যায়।

তারা অতি সামান্য, তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে,মাসলা-সাসায়েল,ফতোয়া,দাড়ি,টুপি,পাগড়ী,ডিলা,কোলুখ,জোব্বা ইত্যাদি নিয়ে একে উপরের সাথে আজ মারামারিতে ব্যস্ত। তারা আজ ভুলে গেছে তাদের কেন পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে, ভুলে গেছে রাসূলাল্লাহ কি দেখিয়ে গেছেন আর কি করে গেছেন। তারা ভেবে দেখে না খ্রীস্টানরা "কোন্ ইসলাম শিখিয়েছে"? আর এর ফলে রাসূলাল্লাহর আনিত 'এসলাম' এখন আর পৃথিবীতে নেই, উক্ত কারণে তা বিকৃত হয়ে গেছে। আজ যারা উক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হোচ্ছে তারা একটা বিকৃত এসলামই শিখছে এবং সমাজে এরই চর্চা হচ্ছে, ফলে খ্রীস্টানদের এই বিকৃত এসলাম আজ আর- সমাজে শান্তি দিতে ব্যার্থ হচ্ছে। অথচ "এসলাম অর্থই হলো শান্তি" আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন- আলীয়া মাদ্রাসার ইতিহাস, মূলঃ- আঃ সাত্তার, অনুবাদ- মোস্তফা হারুণ, ইসলামী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ।

মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ইতিহাস, মাওলানা মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.