আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদ্ভুত যত বিবাহ বিচ্ছেদ..........

। । দৈনিক পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন হতে নেয়া লেখাটি....... লুলায়িতঁ বিবাহ বিচ্ছেদ ১. ময়না পাখির কথায় বিবাহ বিচ্ছেদ! চীনে এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে। বাড়ির আঙ্গিনায় পোষা এক ময়না পাখির কথা শুনে স্ত্রী তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। পোষা ময়না পাখিটি স্বামী-স্ত্রী পোষেন, পাখিটিকে বিভিন্ন কথা বলতে শেখান।

একবার ছুটিতে স্ত্রী গিয়েছিলেন বেড়াতে। বেড়ানো শেষ করে বাড়ি ফিরে শুনতে পান তার ময়না পাখিটি তিনটি শব্দ ও বাক্য আওড়াচ্ছে। 'ধৈর্য ধর', 'ডিভোর্স' এবং 'আমি তোমাকে ভালোবাসি'। ময়না পাখির কোনো দোষ নেই। পরে জানা যায়, বারান্দায় দাঁড়িয়ে মহিলাটির স্বামী যখন মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন এ কথাগুলো শিখে পোষা ময়না পাখিটি।

আর সেগুলোই দিনভর আবৃত্তি করে চলেছে পাখিটি। ব্যাস, এই পাখির কথার সূত্রপাত ধরেই মহিলা তার স্বামীকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। ২. স্ত্রী অতি লাজুক, তাই বিবাহ বিচ্ছেদ! লাজুক মেয়ে সব স্বামীর কাছেই স্ত্রী হিসেবে পছন্দনীয় কিন্তু বিয়ের পরও স্বামীর কাছে অতিরিক্ত লজ্জা পাওয়া এক বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর এই অতিরিক্ত লজ্জা পাওয়ার বিষয়টি স্বামীর চোখে ধরা পড়লেও তিনি এটাকে স্বাভাবিক বলেই মেনে নেন কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যেও তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘর ছেড়ে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেননি। কারণ তার সঙ্গে চলতে, ফিরতে, কথা বলতে তার স্ত্রী লজ্জা পান! ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান তার স্বামী।

৩. হানিমুনে শাশুড়ি সঙ্গী হওয়াতে বিবাহ বিচ্ছেদ! ইতালিতে এই ব্যতিক্রমী বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাটি ঘটে। বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে দেশের বাইরে হানিমুনে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে এয়ারপোর্টে হাজির হয়ে দেখেন সেখানে তার স্ত্রীর সঙ্গে শাশুড়িও এসে হাজির এবং তিনি তাদের হানিমুন সফরের সঙ্গী হতে চান। তারা সবাই বেড়াতে যান এবং তিন সপ্তাহ বেড়িয়ে আসেন। নিজ বাড়ি ফিরে স্বামী সিদ্ধান্ত নেন বিবাহ বিচ্ছেদের। কারণ তার শাশুড়ি এই রোমান্টিক সফরকে নষ্ট করেছে বলেই তার কষ্ট।

শেষে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এই জুটির। ৪. ডাকনাম জেনে বিবাহ বিচ্ছেদ! এই আরব মহিলা ১৭ বছর সংসার করার পর তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালেন। কারণ তার স্বামীর ডাকনাম! ঘটনার সূত্রপাত, একদিন তার স্বামী মোবাইল ফোন ঘরে ফেলে কাজে গেলেন। হঠাৎ তার স্বামীর মোবাইলে ফোন এলে স্ত্রী ফোনটি হাতে তুলে দেখেন সেখানে লেখা 'গুয়ানতানামো'! স্ত্রী রীতিমতো একটা ধাক্কা খেলেন। পরে তার স্বামী বাসায় এলে এ নিয়ে কলহ বেধে যায়।

শেষমেশ তার স্বামী জানান, এটা তার ডাকনাম, স্ত্রী নামটি অপছন্দ করে বলেই সে নামটি এতকাল গোপন রেখেছিল। সত্য জানার পর আর দেরি নয়, মহিলা তার স্বামীকে ত্যাগ করেন। ৫. কেক খেতে পীড়াপীড়ি করায় বিবাহ বিচ্ছেদ! এটি চীনের একটি ঘটনা। এক লোকের স্ত্রী নিজ হাতে কেক বানাতেন আর তার স্বামীকে প্রতিবার নাশতা ও ভারী খাবারের পর একটু কেক খেতে জোর করতেন। 'কেক খাও' কথাটি শুনতে শুনতে স্বামীর অবস্থা একেবারে শোচনীয়।

বার বার কেক খেতে দেওয়ায় এবং কেক খেতে জোর করায় স্বামী বিরক্ত হলেও স্ত্রীকে এ রূপ আচরণ থেকে বিরত রাখতে পারছিলেন না। এক সময় স্বামীর মনে হলো তার স্ত্রী স্বাভাবিক নন। উপায় না পেয়ে লোকটি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান! ৬বেশি পরিচ্ছন্নতার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ! ২০০৯ সালের ঘটনা, এক মহিলা তার স্বামীর কাছে ডিভোর্স চাইল। কারণ সে তার স্বামীকে ঘরদোর পরিষ্কার করছে এমনটি দেখতে চায় না! মূলত তার স্বামী ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে এতটাই মনোনিবেশ করে ফেলেছেন যে, সেটা রীতিমতো অসুস্থতার লক্ষণ। বাড়ির আঙ্গিনা, রান্নাঘর ইত্যাদি পরিষ্কার করার পাশাপাশি তার স্বামী ঘরের প্রতিটি কাজে হাত লাগাতেন শুরুতে।

বহুবার এ বিষয়ে এতটা মনোনিবেশ না করতে স্ত্রীর অনুরোধ ছিল। কিন্তু সেদিন একটি দেয়ালের ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি দেয়ালই তার স্বামী ধসিয়ে দিল। কারণ দেয়ালটা নাকি বেশি ময়লা ছিল, তারপর আর তার সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয় বলে জানান তার স্ত্রী। ফলশ্রুতিতে ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদ। ৭. বাজিতে হেরে যাওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ! রাশিয়ার বাসিন্দা এন্ড্রেই কার্পোভ টাকা-পয়সা সব খুইয়ে জিদের বসে তার স্ত্রীকে বাজি ধরে বসেন তাস খেলায়! দুর্ভাগ্যবশত তিনি তাস খেলায় হেরে যান।

স্ত্রীকে এভাবে না হারালেও এ ঘটনা তার স্ত্রী টাতিয়ানার কানে গেলে স্ত্রী এক মুহূর্ত দেরি না করে তার জুয়াড়ি স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বসেন। বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোর পর তার স্ত্রী তাকে শাসিয়ে গেছে, সে নিশ্চয়ই ওই লোকের কাছে বিয়ে বসতে যাচ্ছে, যার কাছে তার স্বামী বাজি হেরেছে! ৮ মুখ দেখতে চাওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ! আরব দেশের ঘটনা। বিয়ের ক'দিন পর স্বামী তার স্ত্রীর মুখ দেখতে চাইলে স্ত্রী দ্রুত ঘর ছেড়ে বাইরে চলে গেল। পরে স্বামী জানতে পারেন, এটি তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, তাদের বাড়ির মেয়েরা কাউকে কখনো মুখ দেখায় না, এমনকি স্বামীর সামনেও তারা মুখ ঢেকে চলে! আর কখনো মুখ দেখতে চাইবে না এ শর্তে অনেক বুঝিয়ে স্ত্রীকে স্বামী ঘরে ফিরিয়ে আনেন। এরপর অনেক দিন স্ত্রীকে এরূপ প্রাচীনপন্থা থেকে সরে আসার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকেন।

স্ত্রীর বক্তব্য হলো, ভালোবাসা থেকে বিয়ে, সংসার- এখানে মুখাবয়ব দেখানোর কী প্রয়োজন? স্ত্রী মুখ দেখতে চাওয়ার কারণে অবশেষে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। হতে নেয়া লেখাটি......  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.